বাত ব্যথা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সায়েটিকা কি? জেনে নিন আপনাৱ কোমৱে সায়েটিকায় কেন ব্যথা হয়?



অধিকাংশ কোমরের ব্যথা সায়েটিকার কারনে হয়। ত্রিশোর্ধ নারী পুরুষ উভয়  সায়েটিকাৱ ব্যথায় ভোগেন। খুব বিরক্তকর ও অস্বস্তিকর এই ব্যথা।

# সায়েটিকা কি?

সায়েটিকা হলো মানব শরীরের সবচেয়ে বড় নার্ভ। এই নার্ভ কোমর থেকে শুরু হয়ে দুই ভাগে ভাগ হয়ে পিছন দিক দিয়ে দুই হিপ হয়ে দুই উরু, দুই হাঁটু আর পা থেকে সোজা নীচে পায়ের পাতা পর্যন্ত গিয়ে থেমেছে। চিকিৎসার পরিভাষায় যেকোনো কারণে এই নার্ভে  প্রদাহ হলে তখন ব্যথা অনুভব হয় এবং ব্যথা ঠিক কোমর থেকে শুরু হয়ে উরু দিয়ে নিচে পায়ের পাতা পর্যন্ত যেতে পারে। সাধারণত এই ব্যথা কে  সায়েটিকার ব্যথা বলা হয়।

#  কেন হয় সায়েটিকায় ব্যথা-

আমাদের মেরুদন্ডের হাঁড়ের ফাঁক দিয়ে দিয়ে নার্ভ জোড়ায় জোড়ায় বের হয়ে শরীরের দুই পাশের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এই নার্ভগুলো শরীরের সংবেদন (অনুভূতি) আর সঞ্চালন (নড়াচড়া) এর তথ্য আদানপ্রদান করে শরীরকে সচল রাখতে সাহায্য করে। মেরুদন্ডের প্রতি দুইটি হাঁড়ের মাঝে জেলির মতো নরম একটা পদার্থ থাকে যাকে ডিস্ক বলে। মেরুদন্ডে অতিরিক্ত চাপ পড়লে এই ডিস্ক স্থানচ্যুত হয়ে নার্ভের উপর এসে পড়লে নার্ভে চাপ পড়ে নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার মেরুদন্ডের হাঁড় ক্ষয় হয়ে সরু হয়ে গিয়েও নার্ভে চাপ পড়ে নার্ভের ক্ষতি হয়ে নার্ভের অসুখসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতা শুরু হয়। নার্ভের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নার্ভ হলো সায়েটিকা নার্ভ।

অতিরিক্ত ভারি কোন জিনিস তুললে, দীর্ঘ সময় বসে বা শুয়ে থাকলে, অনেক সময় ধরে গাড়ি চালালে, এমনকি ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি থেকেও সায়েটিকা নার্ভের ক্ষতি হয়ে সায়েটিকার ব্যথা শুরু হয়।

#EasyLifestyleHomeo
#SacitcaPain

Read more →

বাত কি? খুব সহজেই জেনে নিন, পরিবারের বয়োজ্যৈষ্ঠদেৱ কষ্টদায়ক বাতের ব্যথাৱ কাৱণ।




বাত কি?

বাত একটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক ও কষ্টদায়ক রোগ। আমাদের শরীরের হাড়, মাংস, অস্থিসন্ধিতে দীর্ঘমেয়াদি যে ব্যথা হয়ে থাকে, সেটাকে বাতব্যথা বলে থাকে। আমরা সাধারণত জানি বয়স্ক মানুষদের বাতের ব্যথা দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে একবারে কিশোর থেকে যেকোন বয়সের মধ্যেই বাতের ব্যথা দেখা যাচ্ছে। এটা খুবই একটি মারাত্মক রোগ। কারণ ব্যথার তীব্রতার কারণে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। তাছাড়া অনেকেই হাঁটা চলাফেরা করতে না পেরে বিছানা গত হয়ে যায়।

বাতেৱ কারণ-

বিভিন্ন কারণে বাতের ব্যথা হলেও মূলত প্রধান দুইটি কারণে বাতের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী ও কষ্টদায়ক হয়। যথা-
* প্রথমত- ইমিউন সিস্টেম ডিজঅর্ডাৱ
* দ্বিতীয়ত- ৱক্তে ইউরিক এসিড বৃদ্ধির কারনে হয়।

# প্রতিকার-
কোন রোগ প্রতিকার করতে চাইলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে যে, রোগটি কোথায় থেকে আসতেছে বা এর পিছনে কারণ কি?
তাই কারো বাতের ব্যথা কি কারনে হচ্ছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য খুব সহজে আমরা দুটি প্যাথলজিক্যাল টেস্ট RA Factor & Uric acid করে নিতে পারি।
যদি RA Factor স্বাভাবিক মাত্রা চাইতে অধিক আসে তাহলে বুঝতে হবে অটো ইমিউনিটি সিস্টেম  ডিজঅর্ডারের কারণে বাতের ব্যথা হচ্ছে। এ বাতেৱ ৱোগ কোনদিন ভাল হয় না। তবে বিভিন্ন উপায়ে নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়। যেমন- ফিজিওথেরাপি,  মেডিকেশন ও ইমিউনিটি  উত্তেজক খাবার থেকে বিরত থেকে।

আর প্যাথলজিক্যাল টেস্টে যদি ইউৱিক এসিডেৱ মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি আসে, তাহলে বুঝতে হবে রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেশি।  আর অস্থিসন্ধিতে এই ইউরিক এসিড জমা হয়ে স্টোন তৈরি করে এ রোগের উৎপত্তি কৱছে। মূত্রের মাধ্যমে যে পরিমাণ স্বাভাবিক ইউরিক এসিড বেরিয়ে যায়, তার থেকে বেশি পরিমাণ ইউরিক এসিড যখন আমাদের যকৃত তৈরি করে তখনই তা রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। অথবা খাবারের মাধ্যমে বেশি পরিমাণ ইউরিক এসিডের উৎস যেমন লাল মাংস, ক্রিম, রেড ওয়াইন ইত্যাদি গ্রহণ করলে এবং বৃক্ক (কিডনি) রক্ত থেকে যথেষ্ট পরিমাণে তা ফিল্টার করতে না পারলে বাতের উপসর্গগুলো দেখা দেয়।

ইউরিক এসিডের কারণে বাতের ব্যাথা হলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যেকোনো উপায়ে যেমন মেডিকেশন, শারীরিক পরিশ্রম ও ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পায় এমন খাবার থেকে বিরত থেকে শরীর থেকে ইউরিক এসিড স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে পাৱলেই বাতেৱ ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য হোমিওপ্যাথিতে খুবই ভালো প্রাকৃতিক মেডিকেশন রয়েছে যা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত, সহজলভ্য ও সস্তা।

Read more →

All posts

জেনে নিন, হোমিও চিকিৎসা কখন সেৱা ও সর্বোচ্চ কার্যকরী চিকিৎসা?

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ও জীবনযাপন নৱমাল ভাবে চলে।  কিন্তু হঠাৎ করেই যদি শরীরে কোন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তখন স্...