ঘৱোয়া টিপস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মানবদেহে হরমোন এর ব্যালেন্স ঠিক রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

 


শরীরের স্বাভাবিক কার্যাবলী ঠিক রাখতে হরমোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইন্সুলিন, ইস্ট্রোজেন, ডোপামিন, এফএসএইচ, টিএসএইচ ইত্যাদি জৈবিক রাসায়নিক উপাদান মেজাজ, চুলের বৃদ্ধি, ওজন, প্রজনন ক্ষমতা, মানসিক অবস্থা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে।
হরমোনের সঠিক সরবরাহ বজায় রাখতে শরীরের সকল গ্রন্থি একই তালে তাল মিলিয়ে কাজ করে। আর এর সামান্য ঘাটতিই স্বাস্থ্যগত জটিলতা ডেকে আনতে পারে যার জন্য ছুটতে হয় চিকিৎসকের কাছে, খেতে হয় ওষুধ।
এই ওষুধেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যা বয়ে আনতে পারে আরও বড় বিপদ।
তবে প্রাকৃতিক উপায়েও হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো সেই উপায়গুলো।

# স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তার প্রভাব শরীরে চোখে পড়বেই আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি। তাই গ্রন্থিগুলোর সক্রিয়তা যাতে অতিরিক্ত বা অতি সামান্য না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদানের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
সেখানে থাকতে হবে পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ভোজ্য আঁশ আর কমাতে হবে কার্বোহাইড্রেট এবং চিনির পরিমাণ। সেই সঙ্গে হরমোনের উৎপাদন বাড়াতে চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি।
‘ক্যাফেইন’ ও দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ করলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।
অপরদিকে ‘গ্রিন টি’ শরীরে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ সরবরাহের মাধ্যমে ‘ঘ্রেলিন’, ‘ইন্সুলিন’য়ের মাত্রা কমায় এবং শরীরে ‘কর্টিসল’ হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

# কম কিংবা বেশি খাওয়া: শরীরের চাহিদার তুলনায় কম কিংবা বেশি খাবার খাওয়ার কারণেও হরমোনে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল অতিরিক্ত খাওয়া কিংবা অতিসামান্য খাওয়ার কারণে ‘ইন্সুলিন’য়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, ‘কর্টিসল’য়ের উৎপাদন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। যা শরীরের বিপাকক্রিয়ার উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর তাই লিঙ্গ, বয়স এবং স্বাস্থ্য বিবেচনা করে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।


# নিয়মিত শরীরচর্চা: ব্যায়াম করলে শুধু শরীর গঠনই হয় না সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্যও বজায় থাকে। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের মধ্যে থাকলে শরীর সুঠাম হওয়ার পাশাপাশি ঝরবে বাড়তি চর্বি, উৎপাদন বাড়বে প্রদাহরোধক হরমোনের এবং ‘ইন্সুলিন’য়ের সংবেদনশীলতা বাড়বে।
অ্যারোবিকস’, ‘স্ট্রেংথ ট্রেইনিং’, ‘এন্ডুরেন্স ট্রেইনিং’ ইত্যাদি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর।
# মানসিক চাপ সামলান: ব্যস্ত জীবনযাত্রা, সময়ের সামঞ্জস্যতার অভাব ইত্যাদি মানসিক চাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আর শরীর যখন চাপে থাকে তখন হরমোনের উৎপাদন প্রক্রিয়াও শৃঙ্খলা হারায়। তাই নির্দিষ্ট রুটিন মেনটেন করে মানসিক চাপ সামলাতে হবে।
# পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের অভাব থাকলে মেজাজ খারাপ থাকে, তার পেছনে একটি বড় কারণ হরমোনজনীত সমস্যা। তাই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।

Read more →

মানবদেহের বিভিন্ন স্থানে সিস্ট এবং তা ভালো করার ঘরোয়া উপায়

 


# সিস্ট ত্বকের নীচে মসৃণ, গোলাকার এবং শক্ত গঠনের হয়। শরীরের যে কোনো স্থানে সিস্ট হতে পারে।
সিস্ট সাধারণত ইনফেকশনের জন্য, সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড ব্লক হয়ে গেলে, বাহ্যিক কোনো উপাদান প্রবেশ করলে এবং টক্সিনের কারণে হয়ে থাকে।
শরীরের টিস্যুর ভেতরে হয় সিস্ট এবং এর মধ্যে তরল বা আধা তরল পদার্থ থাকে।
কখনো কখনো সিস্ট ব্যথামুক্ত হয় এবং খুব ধীরে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এ সিস্ট যদি সংক্রমিত হয় তাহলে সিস্টে ব্যথা, চুলকানি বা জ্বলুনি হতে পারে। কখনো কখনো সিস্ট ফেটেও যেতে পাৱে।
সিস্ট যদি অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন- কিডনি, লিভার এবং অগ্নাশয়ে হয় তাহলে তা ছোট হয় এবং কোনো লক্ষণ প্রকাশ করেনা বলে বোঝাও যায় না। কিন্তু যদি ত্বকের নীচে হয় তাহলে তা চামড়ার নীচে বিশ্রী লাল ফোলা দেখায় যা স্পর্শ করলে নরম অনুভূত হয় এবং ব্যথা করে।
ত্বকের এই সিস্ট ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। সিস্ট ভালো করার ঘরোয়া প্রতিকারের উপায় –
** ইজি লাইফ স্টাইল & হোমিও**
(১) অ্যালোভেরা :
দিনে কয়েকবার অ্যালোভেরা জেল সিস্টের উপরে ঘষুন। এছাড়াও শরীর থেকে অপদ্রব্য বের হয়ে যাওয়ার জন্য এবং সিস্টকে সংকুচিত করার জন্য ১ কাপ অ্যালোভেরার জুস পান করুন।
# অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার :
সিস্ট থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার অত্যন্ত কার্যকরী। ত্বকের পিএইচ এর ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে, যে কোনো ইনফেকশন দূর করতে এবং চুলকানি ও জ্বালা-পোড়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার।
একটি তুলার বল অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে ভিজিয়ে নিয়ে সিস্টটি মুছে নিন। দিনে কয়েকবার এটা করুন। এছাড়াও ১ গ্লাস পানিতে ২ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।
# হলুদ :
সিস্ট দূর করতে চমৎকারভাবে কাজ করে হলুদ। ১ কাপ উষ্ণ দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন। এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং পরিপাকের উন্নতি ঘটায়। ভালো ফল পাওয়ার জন্য ১০ দিন হলুদ মেশানো দুধ পান করুন।


# মধু :
সাময়িক ভাবে ক্ষত ভালো করতে পারে মধু। ত্বকের নীচের সিস্ট ভালো করার জন্য মধুর প্রলেপ অত্যন্ত কার্যকরী।
গম ও ঘাস ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এর সাথে মধু মিশিয়ে সিস্টের উপর প্রলেপ দিন এবং একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। সারারাত এভাবে রেখে দিন। কিছুদিনের মধ্যেই খুব ভালো একটা ফল পাবেন।
** ইজি লাইফ স্টাইল & হোমিও**

Read more →

প্রস্রাবের ইনফেকশনের প্রাথমিক লক্ষণ ও ঘৱোয়া ভাবে সমাধান।


সারা দিনে আমরা যত পানি খাই তা আমাদের কিডনির মাধ্যমে ছেঁকে মূত্রনালি দিয়ে মূত্র হিসেবে বেরিয়ে যায়। প্রস্রাবে ইনফেকশন নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে হলেও নারীদের মধ্যে এ ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। প্রস্রাবে ইনফেকশনের উপসর্গগুলি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক

প্রস্রাবে ইনফেকশনের প্রাথমিক লক্ষণ:
# প্রস্রাব গাঢ় হলুদ হওয়া
# প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা ব্যথা অনুভব করা
# কিছুক্ষণ পরপর প্রস্রাবের বেগ অনুভব হলেও পরিমাণে অল্প হওয়া
# প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া
# বমি ভাব বা বমি হওয়া
# সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব বা কাঁপুনি দিয়ে ঘন ঘন শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া
# তলপেটে বা পিঠের নিচের দিকে মারাত্মক ব্যথা হওয়া
#অনেক সময় মূত্রের সঙ্গে রক্তও যেতে পারে।
# ঊরুর দুই কোনাতে ব্যথা থাকতে পারে।
প্রস্রাবে ইনফেকশনের কয়েকটি কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার নিচে আলোচনা করা হলো--
# যাঁরা অতিরিক্ত ঘেমে যান এবং সবারই প্রতিদিন অন্তত আড়াই- চাৱ লিটার পানি পান করা উচিত।
# ভিটামিন সি মূত্রথলীকে ভাল রাখে এবং প্রস্রাবের সময় জ্বালা ভাব কমাতে সহায্য করে তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
# আনারসে আছে ব্রোমেলাইন নামক একটি উপকারি এঞ্জাইম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীদেরকে সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়। তাই প্রশ্রাব বা ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রতিদিন এক কাপ আনারসের রস খান।
# আমাদের নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, পুষ্টিকর খাবার, মৌসুমি ফল খেতে হবে।
# ঘুমানোর আগে মূত্র ত্যাগ করে ঘুমাতে হবে।
# নিয়মিত গোসল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। পরিধেয় বস্ত্র, বাসস্থান, টয়লেট পরিচ্ছন্ন হওয়াটা জরুরি।
# যাদের কিছুদিন পর পর ইউরিনে ইনফেকশন হয়, তাঁরা দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

# ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। 

Read more →

মেদযুক্ত শরীরের ওজন কমানোৱ খুব সহজ কৌশল।

 

ওজন কমানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন। না খেয়ে থাকাসহ বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেন অনেকে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করে যদি ওজন কমাতে না পারেন তাহলে আগের পরিকল্পনাগুলো ছেড়ে দিন। নিতে পারেন নতুন কোনো পদ্ধতি। আপনার খাওয়া কমিয়ে দিন। তবে কখনোই না খেয়ে থাকবেন না। আপনি ৩ বেলা খাবারকে ৫ বা ৬ বেলা করে খেতে পারেন। এর ফলে আপনার শরীরও আগের চেয়ে ভালো থাকবে

ওজন কমানোর তিনটি কার্যকরী উপায়।
১. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওজন বৃদ্ধি পায় এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা। বিশেষ করে চিনি এবং অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার। যখন আপনি ওজন কমাতে চাইবেন, তখন আপনার ক্ষুধার মাত্রা নিচে নামিয়ে আনুন। আপনার শরীরে জমে থাকা চর্বি কমাতে কাজ করুন। চর্বি কমানোর অন্যতম ভালো উপায় হলো পানি পান করা। বিশেষ করে হালকা গরম পানি। বেশি করে পানি খাওয়ার ফলে আপনার কিডনি ভালো থাকবে। এটি পেট মোটা হওয়া কমাবে।
এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে প্রথম সপ্তাহে ১০ পাউন্ড বা তারও বেশি ওজন কমানো সম্ভব। এতে আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী ওজন কমবে। এর ফলে আপনার কম ক্যালরিযুক্ত খাবারে অভ্যাস তৈরি হবে। সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিয়ে নিতে পারবেন। চর্বি কমানো এ পদ্ধতি সহজভাবেই আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। সবচেয়ে বড় কথা শর্করাজাতীয় খাবার এবং স্টেক খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
২. খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনুন। আপনার খাদ্যতালিকায় এমন খাবার যুক্ত করুন যাতে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনার খাবারের তালিকায় একটি প্রোটিনযুক্ত খাবার, একটি চর্বিযুক্ত এবং সবুজ শাকসবজি রাখুন। পুষ্টির এ উপকরণগুলো রেখে প্রতিদিন ২০ থেকে ৫০ গ্রাম রাখুন। আপনার খাবারের তালিকার প্রোটিনের উৎসগুলোও রাখুন। এগুলো হলো গরু ও মুরগির মাংস, চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ এবং ডিম। ওজন কমানোর সময় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া উচিত না।
উচ্চ প্রোটিন আছে এমন ৬০ শতাংশ খাবার বাদ দিলে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। রাতে ঘুমানোর আগে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করে ওজন কমালেও একটি জিনিস আপনাকে মানতে হবে। প্রোটিন হলো পুষ্টির রাজা। ফুলকপি, টমেটো, পাতাকপি, লেটুস পাতা, শসা ইত্যাদি কম কার্বনযুক্ত সবজি। আপনি কম কার্বনযুক্ত উপকরণ দিয়ে প্লেট ভর্তি করে ফেলেন। এ উপকরণগুলো দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ খাবার খেলেও ওজন বাড়বে না। মাংস, মাছ, সবজি, ভিটামিন এবং খনিজ খেলে আপনার শরীর ভালো থাকবে।
৩. ব্যায়াম করতে পারেন। এটি খুবই কার্যকর। সপ্তাহে আপনাকে দুই থেকে তিনবার জিমে যেতে হবে। শুধু গিয়ে বসে থাকলে হবে না। আপনাকে ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত ব্যায়ামগুলোও করতে হবে। যদি জিমে নতুন যাওয়া শুরু করেন তাহলে প্রথম দিনেই কষ্টকর ব্যায়াম করা উচিত নয়। এতে উল্টো ফল হতে পারে। তাই ব্যায়াম করার আগে প্রশিক্ষকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। তাহলে আপনি যার জন্য ব্যায়াম করবেন সেই ফলটা পাবেন।

Read more →

এক মিনিটেই ঘুমিয়ে যাওয়াৱ দাৱুণ কৌশল।

 



যাদের বিছানায় শুয়ে দীর্ঘসময়ে ও ঘুম আসতে চায়না।  ঠিক তাদের ক্ষেত্রে এই কৌশলটি কাজে লাগবে।
কর্মব্যস্ত দিনের শেষে বিছানায় গড়িয়ে লম্বা ঘুম। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের পর ফের চাঙ্গা হয়ে নতুন করে কাজে লেগে পড়া। এ স্বপ্ন আমরা অনেকেই দেখি। কিন্তু বাস্তবে আর তেমনটা হয়ে ওঠে না  সবার ক্ষেত্রে। বিছানায় শুয়েই সহজে ঘুম আসতে চায় না অনেকের। আর তার উপর স্মার্টফোনের নেশায় আসক্ত হলে তো আর কথাই নেই। ঘরের আলো নিভিয়েই দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোনের দিকে চেয়ে থেকে নষ্ট হয় আরও খানিকটা সময়। রাতে আবার অনেকেৱ বার বাৱ ঘুম ভেঙে যায়। তাহলে উপায়?  এ সমস্যা থেকে কিভাবে পরিত্রান পাওয়া যেতে পারে? আৱ  ঘুম না হওয়ার চিন্তা  যদি মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।  তাহলে তো ঐ রাত নির্ঘুম কাটাতে হয়। তাই বিছানায় শোয়ার মিনিট খানেকের মধ্যেই ঘুম আসার একটি অত্যন্ত সহজ কৌশল রপ্ত করে দেখতে পারেন।

একটি বিশেষ শ্বাসক্রিয়ার অভ্যাস  মনোযোগ সহকারে করে ফেলতে পারলেই তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যাবে। যে অভ্যাসের পোশাকি ভাষা ‘৪-৭-৮’। যাদের রাতে ঘুম আসে না তাদের জন্য এই সহজ উপায়ের পথ বাতলেছেন লেখক ডক্টর অ্যান্ড্রু ওয়েইল। ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘুমের দেশে পৌঁছে যেতে কীভাবে নিঃশ্বাস নিতে হবে?

লেখক জানান, প্রথমে নাক দিয়ে চার সেকেন্ড শ্বাস নিন। তারপর সাত সেকেন্ড শ্বাসক্রিয়া আটকে রাখুন। আর আগামী ৮ সেকেন্ড মুখ দিয়ে আস্তে করে  রিলাক্স মুডে নিঃশ্বাস ত্যাগ করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত ঘুম না আসে এভাবেই শ্বাসক্রিয়া চালান। বেশিক্ষণ না, মিনিট খানেকের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়বেন।

লেখকের মতে, এর ফলে হৃদপিণ্ডে কেমিক্যালের প্রভাব কমে যায়। আর তাতেই চটজলটি ঘুম এসে যায়।

আরেক লেখক আলিনা গোঞ্জালেজ বলছেন, “এমন অদ্ভুত অভ্যাসে যে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে, বিষয়টা প্রথমে আমার কিছুতেই বিশ্বাস হয়নি। একপ্রকার পরীক্ষা করতেই ট্রিকটা করে দেখি। কিন্তু পরের দিন সকালে উঠে মনেই করতে পারলাম না শেষ আট সেকেন্ডের পর আর জেগেছিলাম কিনা। এতটাই গভীর ঘুম এসে গিয়েছিল। এই টেকনিকটা যেন ড্রাগের মতো কাজ করল।” আসলে এভাবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিলে দেহ-মন দুইই শান্ত হয়ে যায়। আর উত্তেজনা থেকে আপনাকে অনেকখানি দূরে নিয়ে যায়। তাই রাতে নিশ্চিন্ত ভাল ঘুমের জন্য একবার ‘৪-৭-৮’ ট্রিকটি ট্রাই করেই দেখুন না। ওদের মত আপনিও নিমিষেই ঘুমের দেশে চলে যেতে পারেন।

#Insomonia
#Sleepingproblem
#ঘুমেৱসমস্যা

Read more →

দাঁত ব্যথা কমানোর কার্যকরী ঘরোয়া চিকিৎসা।



আমৱা  দৈনন্দিন জীবনে  ছোটখাটো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়।  যেমন মাথাব্যথা, কান ব্যথা, দাঁত ব্যথা, পেট ব্যাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ব্যথাৱ সম্মুখীন হয়।  এসব ক্ষেত্রে প্রথমেই আমরা ডাক্তারের কাছে যেতে চাই না। তাই আমৱা প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কিছু ঘরোয়া কার্যকরী চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারি।  যেমন হুটহাট করে অনেকেই  দাঁত ব্যথায় ভোগেন।  ঠিক তাদের জন্য আজকে ঘরোয়া দশটি   দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য কার্যকরী টোটকা-

1.    লবণের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। দাঁতে লাগিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট, দিনে কয়েকবার। দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।  ব্যথা কমে গেলেও কয়েকদিন এটা করুন। 

2.     এক কোয়া রসুন থেঁতলে নিয়ে অল্প একটু লবণ মিশিয়ে দাঁতে লাগান। বেশি যন্ত্রণা হলে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খান,  চমৎকার রেজাল্ট পাবেন।

3.   দুটি লবঙ্গ থেঁতো করে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। অথবা দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে ব্যথার স্থানে জিভ দিয়ে চেপে রাখুন।  দেখবেন ব্যাথা অনেক কমে গেছে।

4.     এক টুকরা কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে খেয়ে নিন।
যদি বেশি ঝাঁঝ লাগে তবে দাঁতের ওপর পেঁয়াজ চেপে রাখলে আরাম পাওয়া যাবে। 

5.    আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এক টেবিল চামচ  সরিষার তেল ও লবণেৱ সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। দু মিনিটেই ব্যথা শেষ। 

6.   দাঁত, মাড়ি, গলার ব্যথা কমাতে খুব ভাল কাজ করে লবণ পানি। এক গ্লাস অল্প গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন। 

7.    পেয়ারা পাতা দাঁত ব্যথায় দারুণ উপকারী। দুটি পেয়ারা পাতা চিবিয়ে ব্যথাওয়ালা দাঁতে চেপে রাখুন। আরাম পাবেন।

8.   তুলায় কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট নিয়ে দাঁতে চেপে ধরে রাখুন। 

9.   দূর্বা ঘাসের রস দাঁতের ব্যথা কমাতে পারে। এটা দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সহায়তা করে। 

10. সবশেষ উপায় হলো বরফ। হাতের কাছে কোনো কিছু না পেলেও যদি শুধু বরফ পাওয়া যায়, তবে কাজ হবে। এক টুকরা বরফ তুলা বা কাপড়ে মুড়ে দাঁতে চেপে রাখুন, ব্যথা কমতে থাকবে।
#দাঁত
#Dental

Read more →

এলার্জি কে বিদায় দিন, তাও আবাৱ বিনা চিকিৎসায়, বিনা পয়সায়।



**ইজি লাইফস্টাইল & হোমিও**

এলার্জি এক অসহনীয় অটো  ইমিউনিটি সিস্টেমেৱ ব্যাধি, যা জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এলার্জিতে হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য, ধুলাবালিতে ভীষণ প্রতিক্রিয়ায় শ্বাসকষ্ট,  শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি, এমনকি শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অঙ্গ অতি সংবেদনশীল হয়ে কষ্ট দিতে থাকে । এলার্জি কতটা ভয়ংকর সেটা ভুক্তভোগী মাত্রই জানে। উপশমের জন্য কতো কিছুই না করতে হয়  আমাদের।  এলার্জি একবার যাৱ দেখা দেয়, তার  আর রক্ষা নাই। এই বিরক্তকর এলার্জি ভালো করার জন্য অনেক কিছুই করেছেন। কিন্তু তা থেকে রেহাই পাননি। তাই এবার বিনা পয়সায়,  বিনা চিকিৎসায় এলার্জিকে গুডবাই জানান এই জীবন  অতিষ্ঠকারী এলার্জিকে।

# বিনা চিকিৎসায়, বিনা পয়সায়  এলার্জি  থেকে মুক্তি পেতে যা করতে হবে  আমাদের--

আশা করি, নিমগাছ আমরা সবাই চিনি।  এই পরিচিত নিম গাছের টাটকা  সবুজ পাতা সংগ্রহ করে পানিতে  ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর খুব ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে যাতে পাতাগুলো কুরকুরে মুরমুরে হয়। এবাৱ শুকনো নিম পাতাগুলো পাটায় পিষে গুড়ো করতে হবে এবং সেই গুড়ো ভালো একটি কৌটায় ভরে রাখতে হবে।  ব্যস, হয়ে গেল এলার্জি বিদায়ের টনিক । এবার ১ চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুঁড়ো ও এক চা চামচ ইসবগুলের ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। আধা ঘন্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন  এবং প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাত্রে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন।  প্রথমে তিতার কারণে কষ্ট হতে পারে। তবে কয়েকদিন খেলেই অভ্যাসে পৱিনতি হবে। এভাবে ২১ দিন একটানা খেতে হবে। কার্যকারিতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে। এরপর থেকে এলার্জির জন্য যা যা খেতে পারতেন না যেমন- হাঁসের
হয়ে যায়।
#এলার্জি
#Alergii

Read more →

জানুন,খাবারেই লুকিয়ে আছে যৌন সমস্যার সমাধান।




বর্তমান যুগে যৌন সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে অনেকেৱ  মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন অনেকেই। এদের মাঝে শতকরা ৯৯ ভাগই পুরুষ। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সকলেই কমবেশি একই ধরনের সমস্যার কথা বলেন এসময়। প্রত্যেকেই মনে করেন তার সমস্যা আর কারো হয় না এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি নেই। তখন দু:চিন্তার কারণে শারীরিক সমস্যার থেকে বড় হয়ে দেখা দেয় মানসিক সমস্যা। অথচ কিছু সাধারণ খাবারেই আছে অধিকাংশ যৌন সমস্যার ভালো সমাধান।

সমস্যায় পড়লে আমরা ওষুধের মাঝে মুক্তি খুঁজি, অথচ আশেপাশের কত খাবারে যে রয়েছে যাদুকরী কেরামতি সেটা আমরা অনেকেই জানি না।

সবুজ শাকপাতা দিয়ে শুরু করা যাক। দেশি সবুজ শাক, পালং শাক, লাল শাক ইত্যাদি পাতা অবহেলা করবেন না। ব্রুকলি, স্পিনেচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি এসব সবজিতে রয়েছে ভিটামিন বি সহ অন্যান্য এন্টি অক্সিডেন্ট যেগুলো সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অপরিহার্য।

ডিম খাবেন। ডিমে পাবেন শরীরের বৃদ্ধির জন্য আমিষ এবং বিভিন্ন ভিটামিন। সুস্থ যৌন জীবন যাপনে আমিষের প্রয়োজন রয়েছে। আমিষ ছাড়া দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয় পূরণ হয় না।

প্রতিদিন ফল খেতে হবে। দেশি টক ফল খেতে পারেন। লেবু, বাতাবি লেবু, কমলা লেবু, মাল্টা ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল প্রয়োজন প্রতিদিন। গরমের দিনে খাবেন তরমুজ। তরমুজে রয়েছে মহা উপকারী এক রাসায়নিক সিট্রুলিন; পুরুষের জন্য যার ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত। দেশি জাম, বিদেশি স্ট্রবেরি ইত্যাদি ফলেও রয়েছে এধরণের গুণাবলীচা পান করবেন প্রতিদিন। দিনে এক বা দুই কাপ চা পান করলে দেহে প্রবেশ করে বিভিন্ন এন্টি অক্সিডেন্ট, যা পুরুষের নানা সমস্যার সমাধানে সিদ্ধহস্ত।

পুরুষের সক্ষমতার পেছনে জিঙ্ক বা দস্তার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। মাংসে পাবেন জিঙ্ক। অনেকেই খাবারের মেনু থেকে প্রাণীজ আমিষ তথা মাংস বাদ দিয়ে দেন, এটা ঠিক না। মাংস খাবেন পরিমিত পরিমাণে। এর সাথে সুষম খাদ্য দুধ পান করবেন। দুধেও পাবেন জিঙ্ক।

নিয়মিত বাদাম খাওয়া খুব ভালো একটা অভ্যাস। বাদামের তেল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। এটা পুরুষদের জন্য খুব উপকারী। দেশি বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি যেকোনো বাদামেই এই উপকার পাবেন। বাদামে  আরো রয়েছে ভিটামিন ই যার সুনাম রয়েছে বার্ধক্যের সাথে যুদ্ধে।

সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ জীবনের অন্যতম উপাদান। জাতীয় মাছ ইলিশ এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডে ভরপুর, অন্যান্য সামুদ্রিক মাছেও পাবেন প্রচুর পরিমাণে এই তেল। মাছে আরো রয়েছে আরজিনিন নামে একধরনের যৌগ যার একটি কাজ হচ্ছে পুরুষদের সক্ষমতায় সহায়তা করা।

চকোলেটের মাঝে ডার্ক বা কালো রঙের চকোলেটে রয়েছে ফেনথায়লামিন নামের রাসায়নিক পদার্থ যা শরীরে বাড়তি উদ্দিপনা যোগায়।

Read more →

ঔষধ ছাড়া খুব সহজে ঘৱোয়া বা প্রাকৃতিক উপায়ে অর্শ বা পাইলস ৱোগেৱ সহজ সমাধান।



       আমাদের দেশে  ত্রিশোর্ধ মানুষেৱ  অর্শ বা হেমোরয়েড/পাইলস ( গ্রামে বুটি রোগ বলে) বেশি দেখা দেয়।  এই ৱোগ টি বেশ কষ্টদায়ক। ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার অভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, স্থূলতা, গর্ভাবস্থায়, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকার অভ্যাস, ব্যায়াম না করা ইত্যাদি কারণে অর্শ রোগ শরীরে বাসা বাঁধে বা বাড়তে থাকে। সাধারণত ওষুধ বা অস্ত্রপচারের মাধ্যমে পাইলসের চিকিৎসা হয়ে থাকে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়েও এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়গুলো:

# অলিভ অয়েল: অর্শরোগের সবচেয়ে বড় প্রতিশেষধ হচ্ছে অলিভ অয়েল। টয়লেটে যাওয়ার আগে মলদ্বারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুণ, যন্ত্রণা উপশম হবে। এছাড়া রোজ এক চা চামচ অলিভ অয়েল খান। এটি দেহের প্রদাহ দ্রুত হ্রাস করতে সাহায্য করে। অর্শরোগে নিরাময়ের ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকরী।

# আদা ও লেবুর রস: ডিহাইড্রেশন অর্শরোগের অন্যতম আরেকটি কারণ। আদাকুচি, লেবু এবং মধু মিশ্রণ দিনে দু’বার খান। এই মিশ্রণ নিয়মিত খেলে অর্শরোগ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি খেলেও অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।

# বরফ: ঘরোয়া উপায়ে অর্শ নিরাময় করার অন্যতম উপাদান বরফ। বরফ রক্ত চলাচল সচল রাখে এবং ব্যথা দূর করে দেয়। একটি কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে ১০ মিনিট রাখুন। এভাবে দিনে বেশ কয়েকবার বরফ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।

# অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: একটি তুলোর বলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগিয়ে ব্যথার স্থানে লাগান। শুরুতে এটি জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করবে, কিন্তু কিছুক্ষণ পর এই জ্বালাপোড়া কমে যাবে। এটি পদ্ধতিটিও দিনে বেশ কয়েকবার অবলম্বন করুন। অভ্যন্তরীণ (ইন্টারনাল) অর্শরোগের জন্য এক চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে দিনে দু’বার খান। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

# অ্যালোভেরা: বাহ্যিক (এক্সটারনাল) অর্শরোগের জন্য আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি দ্রুত ব্যথা কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

অভ্যন্তরীণ অর্শরোগের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা পাতার কাঁটার অংশ কেটে জেল অংশটুকু একটি প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এ বার এই ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেলের টুকরো ক্ষত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এটি জ্বালা, ব্যথা, চুলকানি কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

#EasyLifestyleandhomeo
#অর্শ-পাইলস

Read more →

মন ভালো রাখার কিছু কৌশল। শুধু সুস্থতা নয়,নিজেকে প্রতিষ্ঠত কৱতেও মন ভালো থাকা চাই।



মন ভাল তো সব ভালো। মন ভাল না থাকলে দেখবেন আপনার কোন কিছুই ভালো লাগবে না। আৱ এই মন হুটহাট অল্পতেই খারাপ হয়ে যায়। তাই মনকে সবসময় ভালো রাখতে চাইলে কিছু কৌশল অবলম্বন করা উচিত। আগে জানতে হবে আমার মন কি চায়?  কোন ব্যাপার গুলো মনে দোলা দেয়।  কারণ ছোট ছোট কারণে যেমন মন খারাপ হয়ে যায়। তেমনি ছোট্ট ছোট্ট কিছু কারণে মন অনেক ভাল হয়ে যায়। তাই আমাদের সবকিছুতেই ভাল লাগা খুঁজে বের করতে হবে। যেমন চা পান কৱলেন। এমনটা না করে  দরকার হলে একটু বেশি করে চা নিয়ে আয়েশ করে ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে চা টা পান করুন। দেখবেন, আগের চেয়ে ভালো লাগছে।  অবসর সময়ে জনস্বার্থে ছোটখাটো কিছু করার চেষ্টা করুন। দেখবেন মনে অনেক ভালোলাগা আসবে।  প্রিয়জনকে নিয়ে ভাবুন।  সুন্দর কিছু সময় কাটানোর কল্পনা ভেবে রাখতে পারেন।  ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে থাকুন  এবং সে অনুযায়ী এগুতে থাকুন।  দেখবেন মনে ভালোলাগাৱ  বাতাস বইছে।  কোন কারণে মন বেশি খারাপ থাকলে  আরও কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। যেমন-

# হাসির অনুষ্ঠান দেখুন: প্রিয় ড্রামা বা ট্র্যাজেডি সিরিজগুলো বাদ দিয়ে কমেডি সিরিজ দেখুন। হাসির সিরিয়াল বা সিনেমা মন ভালো করে তুলতে সাহায্য করে।  ফানি ভিডিও ক্লিপগুলো অনেক সহায়ক হতে পারে।

# মন ভালো করা গান: ‘স্যাড সং’ বা মৃদু লয়ের গান যতই প্রিয় হোক না কেনো মন খারাপ থাকলে এই ধরনের গানগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। বরং মজার ও মন ভালো করা গানগুলো শোনার চেষ্টা করুন। ভালো গান শোনার ফলে শরীরে ডোপামাইন নামক একটি হরমোন নিঃসৃত হয় যা মন ভালো করে তুলতে সাহায্য করে।

# প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলুন-
ফোনে কথা বলুন অথবা ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে পরিবারের সঙ্গে বা প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে আসুন। তাদের সঙ্গে নিজের সমস্যা এবং মন খারাপের কারণ নিয়ে কথা বলুন। মানসিক চাপের বিষয়গুলো নিয়ে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কথা বললে মন অনেক হালকা মনে হয়। তাছাড়া কথা বলার মাধ্যমে অনেক সময় সমস্যার সমাধানও বেরিয়ে আসে।

# শখের কাজ করুন: ছবি আঁকা, গান গাওয়া বা পছন্দের বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখা, বাগান করা ইত্যাদি যেকোনো পছন্দের কাজ বেছে নিতে পারেন শখ হিসাবে। তাছাড়া নতুন কোনো খাবারও রান্না করতে পারেন নিজের ও পরিবারের জন্য। এ ধরনের কাজগুলো আপনাকে ব্যস্ত রাখবে এবং মানসিক অবসাদও দূর করবে।

# ব্যায়াম করুন: শুধু সুস্বাস্থ্যের জন্য নয়, মন ভালো রাখতেও ব্যায়াম বেশ উপযোগী। মাত্র পাঁচ মিনিট টানা ব্যায়াম করলে এন্ড্রোফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। যা ১২ ঘণ্টা মন ভালো রাখতে সহায়তা করে। এর জন্য জিমে যাওয়া তেমন জরুরিনয়। ঘরেও করা যায় এমন ব্যায়াম করলেও তা মানসিক অবস্থার উন্নতিতে সহায়তা করবে।
 
  মন ভালো থাকলে পুরো দেহ সুস্থ থাকে।  রোগবালাই কাছে ঘেঁষতে পারে না।  আর সুস্থ মন, সুস্থ দেহ ভবিষ্যতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে একধাপ এগিয়ে দেয়।

Read more →

খুব সহজে বাড়িতে বসেই ঘরোয়াভাবে প্রেগনেন্সি টেস্ট কৱুন বিনা খৱচে।



কোন বিবাহিত নারী তার মাসিকের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর এই চিন্তায় পড়েন তিনি অন্তঃসত্ত্বা কিনা? আসলেই কি তিনি মা হতে চলেছেন? তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনেক সময় ডাক্তারের নিকট যেতে হয়। তো ডাক্তারের নিকট আগেই না গিয়ে বাড়িতেই ঘরোয়াভাবে এই টেস্ট করা যায় খুব সহজে বিনা খরচে। আসলে কোন নাৱী গর্ভধারণ কৱলে শরীরে বিটা এইচসিজি নামে একটি হরমোন তৈরি হয়। যার উপস্থিতি প্রস্রাবেও নির্ণয় করা যায়। তাই বাড়িতে থাকা টুথপেস্ট বা ভিনেগার দিয়ে খুব সহজেই পরীক্ষা করা যায়

# টুথপেয়স্ট: টুথপেস্ট সবার বাড়িতেই থাকে। তাই আপনি গর্ভবতী কিনা এটা বুঝতে সবচেয়ে সহজে এবং ঘরোয়া ভাবে পৱিক্ষা কৱে নিতে পাৱেন এই টুথপেস্ট দিয়ে। একটি পরিষ্কার কন্টেইনারে আপনার সকালের ইউরিনের সাথে অল্প কিছু টুথপেস্ট মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন। যদি ইউরিন নীল রং ধারণ করে অথবা ফেনা উঠে যায় তবে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী। তবে হ্যাঁ অব্যশই সাদা টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন।

# ভিনেগাৱ: ভিনেগার দিয়ে খুব সহজেই পরীক্ষা করা যায়। সকালের প্রথম ইউরিনের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। যদি এর রং পরিবর্তন হয় তবে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী। আর যদি কোন রং পরিবর্তন না হয় তাহলে আপনি গর্ভবতী না।

Read more →

জেনে নিন, এই শীতে আপনি বা আপনার শিশুর নিউমোনিয়াৱ সেরা ও কার্যকরী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।



শীত প্রায় চলেই এসেছে। আর এই শীতের সাথে কিছু রোগেৱ দেখা পাওয়া যায়। যেমন সাধারণ সর্দি-জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, আমাশয় ও বাতের রোগীদের বাতের ব্যথার তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। তো আজকে আলোচনা করব নিউমোনিয়ার সহজলভ্য সেৱা ও কার্যকরী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে। কারণ বাংলাদেশে এই শীতকালে বহু শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়। শুধু শিশু নয়, বয়স্ক বৃদ্ধ সহ সবাই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক কষ্ট পায়। এমনকি শ্বাসকষ্টের কারণে প্রাণহানি ঘটে। আগের পোস্টে নিউমোনিয়া কি? এৱ কারণ, লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আজ নিউমোনিয়ার সেরা ও কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব-

# একোনাইট ন্যাপ- হঠাৎ করে আপনার বা আপনার শিশুর সর্দি জ্বর দেখা দেয় এবং খুব অল্পসময়ের মধ্যেই মানে দুই ঘণ্টার মধ্যে যদি সর্দি জ্বর শ্বাসকষ্ট চরম আকার ধারণ করে। রোগী কাতরাতে থাকে বা অস্থির হয়ে যায় ছটফটানি দেখা দেয় সাথে মৃত্যু ভয় থাকে ও পানির পিপাসা পায়। তাহলে একোনাইট ন্যাপ হোমিও ওষুধটি 30 মিনিট অন্তর 2 মাত্রা দিন। ইনশাল্লাহ আল্লাহর রহমতে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে।

# ব্রায়োনিয়া- শুষ্ক কাশি যুক্ত বুকে জমাট বাধা কফ সহ শ্বাসকষ্ট। এমন নিউমোনিয়ার রোগীর জন্য আল্লাহর এক বিশেষ রহমত  ব্রায়োনিয়া হোমিও ঔষুধটি। হ্যাঁ, যাদের বুকে কফ জমে আছে। কাশি হচ্ছে কিন্তু কফ উঠছে না, মনে হচ্ছে কফ/শ্লেমা উঠলে আরাম পাওয়া যেত। বুকে কফ জমে থাকার কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে বা দিতে পারে। নড়াচড়া করলে বা বাহিরে গেলে রোগীর কাশি বা শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাচ্ছে। এসময় শিশুরা কোলে উঠতে চায় না বা কোলে থাকতে চায় না। ৱোগীৱ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে। এমন নিউমোনিয়া রোগীর ক্ষেত্রে ব্রায়োনিয়া  চমৎকার ঔষুধ। কয়েক মাত্রা ব্রায়োনিয়া রোগীর কফ পাতলা কৱে দেয়। ফলে কাশির সাথে ও পায়খানার সাথে কফ বের হয়ে যায় এবং রোগীর সুস্থতা লাভ করে।

# এন্টিম টার্ট- এন্টিম টার্ট হলো নিউমোনিয়ার আরেকটি মহামূল্যবান হোমিও ঔষুধ। নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে ব্রায়োনিয়ার ৱোগীৱ লক্ষণ থেকে এন্টিম টার্ট রোগীর লক্ষণ বিপরীতধর্মী। যেসব নিউমোনিয়া রুগীৱ পাতলা কফসহ কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। রোগীর বুকে সাই সাই, গড় গড় শব্দ করে। কাশির সাথে কফ উঠে। কিন্তু আরাম লাগে না। জিহবার উপর সাদা আস্তরণ পড়ে। শিশুরা কোলে থাকতে চায়। এক কোল থেকে আরেক কোলে যায় এবং ঘ্যান ঘ্যান করে এবং কাশির সাথে বমি করে দেয়। এসব লক্ষণ কোন রোগীৱ মধ্যে পাওয়া গেলে এন্টিম টার্ট।  কোনো শিশু বা বয়স্ক  ব্যক্তিৱ যে কোন টিকা নেওয়ার পর নিউমোনিয়া হলে এন্টিম টার্ট আরোগ্য এনে দিবে।

#  ফসফরাস- যদি কোন নিউমোনিয়া রোগীর লক্ষণ ব্রায়োনিয়া ও এন্টিম টার্ট রোগীর লক্ষণেৱ মাঝা মাঝী লক্ষণ দেখা যায় এবং যাদের সন্ধ্যায় কাশি বা শ্বাস কষ্ট বৃদ্ধি পায়, তবে ফসফৱাস।

Read more →

জেনে নিন, খুব সহজেই সুস্থ থাকাৱ কিছু ঘৱোয়া টিপস।



একটু স্বাস্থ্য সচেতনতা ও চোখ-কান খোলা ৱেখে  আমাদের চারপাশেৱ হাতের নাগালেই থাকা বিভিন্ন উপাদান  কাজে লাগিয়ে  নিজে ও পরিবারের সবাইকে সুস্থ ৱাখা যায়। যেমন-

#  হজমের জন্য খনিজ 
লবণ, পেট ব্যথা সারাতে রক সল্ট বা খনিজ লবণ কার্যকর। এতে প্রচুর প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান রয়েছে, যা হজমে সহায়ক। আর এটি যদি লেবুর রসের সঙ্গে সেবন করা হয় তাহলে হজমশক্তি আৱো বাড়াতে পারে। এটি ক্ষেত্রবিশেষে পেট ব্যথাও দূর করতে পারে।

# সুস্থ থাকতে হলুদ-দুধ-

দুধের মাঝে সামান্য হলুদ মিশিয়ে পান করা যায়। এটি নানাভাবে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। দুধের সঙ্গে হলুদ খুব ভালোভাবে মিশে যায়। দুধে প্রোটিন ও নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। অন্যদিকে হলুদের রয়েছে আরোগ্য ক্ষমতা। বিশেষত মাংসপেশি, ত্বক ও হজমের সমস্যা দূর করতে হলুদ কার্যকর। নানা ধরনের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে সহায়তা করে হলুদ। এ ছাড়া এটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হলুদ-দুধ পান করলে তা নানা রোগ থেকে মুক্ত থাকতে সহায়তা করে।

#  শিশুর জন্য সরিষার তেল-

শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং সুস্থ হাড় গঠনে সরিষার তেল কার্যকর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরিষার তেলকে উষ্ণ তেল বলা হয়। শিশুর ঠাণ্ডা সমস্যায় এটি আরাম দেয়। এটি শিশুর দেহের ঘর্মগ্রন্থিগুলো খুলে দেয় এবং ত্বককে নমনীয় ও কোমল করে। শিশুকে সরিষার তেল ব্যবহার করে মালিশ করলে তা রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। এর কড়া গন্ধ শিশুকে পোকামাকড় ও মশা থেকে কিছুটা হলেও দূরে রাখে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একেবারে ছোট শিশুকে সরিষার তেল মালিশ করা যাবে না। তার এক বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলে ভালো হয়।

#  ঠাণ্ডা সমস্যায় মধু ও 
আদা গুরুত্ব-

সর্দিকাশি কিংবা ঠাণ্ডা সমস্যায় আদা ও মধু খুবই কার্যকর। আদা পানিতে সিদ্ধ করে তাতে সামান্য মধু দিয়ে সেবন করা যেতে পারে। এটি গলার ঠাণ্ডা সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও বটে। আদা ও মধু গলা ব্যথা ও ফুলে যাওয়া উপশম করে।

Read more →

শীতকালে বিরক্তকর চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া খুব সহজ উপায়।



  জীবনে কারো চুলকানি হয় নাই বা চুলকায় না এমন লোক পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া কঠিন। চুলকানি  কখনো কখনো খুবই বিরক্তিকর অবস্থাৱ সৃষ্টি কৱে।  যেমন শীতকালে ত্বক শুস্ক হওয়াৱ কাৱনে রাতের বেলা ঘুমের মধ্যে চুলকাইলে খুবই বিরক্ত লাগে,  ঘুম নষ্ট হয়ে যায়।  আবার লোকজনের মধ্যে  চুলকাইলে বিরক্তকর অবস্থায় পড়তে হয়।  আর এই বিরক্তকর চুলকানি থেকে খুব সহজেই রেহায় পাওয়া যেতে পারে ঘৱোয়া উপায়ে-

# পর্যাপ্ত পানি পান-
চুলকানির চিকিৎসায় কেবলমাত্র শরীরের বাইরের দিক বা ত্বক নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হবেন তা নয়, আপনার শরীরের ভেতরের দিকটাও বিবেচনায় রাখতে হবে। তাছাড়াও এমনিতেই শীতকালে সবাই পানি কম পান করে। তাই ডা. অ্যাডিগান বলেন, ‘প্রচুর পানি পান করে হাইড্রেটেড থেকে আপনার ত্বককেও হাইড্রেটেড বা আর্দ্র রাখতে পারেন।’ ত্বক আর্দ্র থাকলে চুলকানির প্রবণতা কমে যাবে।

# বেকিং সোডা-
বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করলে তা ত্বকের জন্য আরামদায়ক হতে পারে। মিনেসোটার রোজল্যান্ডে অবস্থিত তারিন ডার্মাটোলজির ত্বক বিশেষজ্ঞ মোহিবা তারিন বলেন, ‘ত্বকের চুলকানি কমাতে একটি কার্যকর উপায় হলো পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করা। বেকিং সোডা ত্বকের পৃষ্ঠের অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে প্রদাহ কমায়, পিএইচে ভারসাম্য আনে ও ত্বকের ওপরে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।’

# ভিটামিন ডি-
শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন দিনগুলোতে চুলকানির প্রবণতা বেড়ে যায়। এটা কিন্তু কালতালীয় ব্যাপার নয়। শরীরে ভিটামিন ডি কতটুকু রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে ত্বকের চুলকানি বাড়তে পারে অথবা কমতে পারে। ডা. তারিন বলেন, ‘আপনার শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি নিশ্চিত করতে ত্বকে ৱোদ লাগান। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভিটামিন ডি কমে গেলে (সাধারণত শীতকালে) ত্বকের সমস্যা ও চুলকানি অগ্নিমূর্তি ধারণ করতে পারে।’

# ওমেগা ৩-
একটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হলো ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকে চুলকানির তাড়না দমন করতে সহায়ক হতে পারে। ডা. তারিন চুলকানির সমস্যায় ভোগা লোকদের বেশি করে ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে উৎসাহিত করছেন, যেমন- অ্যাভোকাডো, বাদাম ও স্যালমন মাছ। পর্যাপ্ত ওমেগা ৩ খেলে আপনার ত্বকেও এ ফ্যাটের অনুপ্রবেশ ঘটবে, ফলে চুলকানি প্রশমিত হবে।

# নারকেল তেল অথবা জলপাই তেল-
চুলকানির সবচেয়ে সেরা ঘরোয়া চিকিৎসাটি হয়তো আপনার হাতের কাছেই রয়েছে। নারকেল তেল ও জলপাই তেল ত্বকের হাইড্রেশন বা আর্দ্রতার জন্য ভালো এবং ত্বকের ক্ষতি করে না, বলেন নর্থ ক্যারোলিনার চ্যাপেল হিলে অবস্থিত ডার্মাটোলজি অ্যান্ড লেজার সেন্টারের ত্বক বিশেষজ্ঞ ক্রিস জি. অ্যাডিগান। যেকোনো শুষ্ক ও চুলকানির স্থানে এসব তেল মাখতে পারেন।

# ওটমিলের গুঁড়া-
ওটমিলও ত্বকের চুলকানি উপশম করতে পারে। গোসলের পানিতে অল্প পরিমাণ কলোইডাল ওটস (খুব সূক্ষ্ম ওটস পাউডার) মিশিয়ে গোসল কৱতে পাৱেন।

Read more →

All posts

জেনে নিন, হোমিও চিকিৎসা কখন সেৱা ও সর্বোচ্চ কার্যকরী চিকিৎসা?

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ও জীবনযাপন নৱমাল ভাবে চলে।  কিন্তু হঠাৎ করেই যদি শরীরে কোন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তখন স্...