গর্ভবতী মা ও শিশু লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শিশুদের মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা বের হওয়ার কারণ এবং করণীয় কি?




আমাদেৱ মুখে ছয়টি লালা গ্রন্থি থাকে । যা থেকে সর্বদা লালা নিঃসরণ হয়। সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর মুখ থেকে লালা বের হয় না। কারণ এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত শিশুরা সাধারণত চিত হয়ে শুয়ে থাকে। ফলে মুখ উপরে থাকায় লালা বের হয় না। কিন্তু তিন মাসের পর থেকে চার বছর অব্দি মুখ দিয়ে লালা বের হতে পারে। এটা শিশুদের জন্য একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু চার বছরের পরেও যদি শিশুদের মুখ থেকে লালা বের হয়। তাহলে অবশ্যই চিকিৎসা নেওয়া দরকার। যাহোক বিভিন্ন কারণে তিন মাস বয়সের পর থেকে শিশুদের মুখ থেকে লালা বের হয় । এখন এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

* মুখের পেশি গঠনেৱ কারণে- কোন কোন শিশুদের ক্ষেত্রে শিশুদের মুখের চারপাশের পেশির গঠন হতে একটু বেশি সময় লাগে। ফলে শিশুদের মুখে লালা নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষমতা থাকে কম। ফলে মুখ থেকে লালা বের হয়। কিছুদিন পরে মুখের পেশিৱ গঠন সম্পন্ন হলে লালা ঝৱা আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যায়।

* ঠোঁট ফাঁক থাকাৱ কাৱনে- যখন শিশুরা নড়াচড়া শুরু করে, হামাগুড়ি দেয় দেয় তখন লক্ষ্য করলে দেখা যায় শিশুদের ঠোঁট দুটো ফাঁক থাকে। ফলে মুখে উৎপন্ন লালা ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে আসে। যেহেতু অবুঝ শিশু তাই কিছুই করার নেই। এই কারণে যদি লালা ঝরে তাহলে কিছুদিন পরে এমনি ঠিক হয়ে যাবে।

* নাক বন্ধ থাকার কারণ- যদি কোন কারনে শিশুর নাক বন্ধ থাকে তাহলে শিশুটি মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস করে থাকে। ফলে মুখটি খোলা থাকে এবং মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে আসে। তাই তাই শিশুর নাক যাতে বন্ধ না থাকে তার ব্যবস্থা করা উচিত। 

*  শিশু লালা গিলে ফেলতে না পাৱলে- লালা গ্রন্থী থেকে সব সময় লালা নিঃসরণ হয় এবং আমার সাথে সাথে তা গিলে ফেলি। কিন্তু ছোট শিশুটি যদি লালা গিলে খেতে না পারে সেক্ষেত্রে মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে আসতে পারে। এসব ক্ষেত্রেও সময়ের ব্যবধানে আপনি আপনি ঠিক হয়ে যায়।

* * শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি- মুখ দিয়ে লালা গড়িয়ে বের হওয়া  শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি  বুঝায়।  মানে শিশুর সময় মত দাঁত ওঠা, শরীরের অন্যান্য গঠন ঠিকমত হওয়া বুঝায়।

* কোন জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বেখেয়াল অবস্থায়- এটা শুধু ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে নয় বড় মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যখন কেউ কোন একটা বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বা বেখেয়াল অবস্থায় থাকে। তখন হঠাৎ মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে আসে। 

উপৱোক্ত কারণে শিশুর লালা নিঃসরণ হলে সামান্য একটু সচেতনতাই  মুখ থেকে লালা নিঃসরন কমানো যেতে পারে । চার বছর পর্যন্ত কোন শিশুর ক্ষেত্রে এটা চিন্তার কোন ব্যাপার না। চার বছরের ঊর্ধ্বে অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এক্ষেত্রে এলোপতি হোমিওপ্যাথিতে খুব ভালো চিকিৎসা রয়েছে।

Read more →

ছোট বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাব কৱাৱ অভ্যাস ছাড়ানোৱ হোমিও চিকিৎসা।



ছোট বাচ্চারা বিছানায় প্রস্রাব করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সেটা এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু কিছু বাচ্চা আছে এক বছর পর থেকেই আর বিছানায় প্রস্রাব করে না। আবার কিছু বাচ্চা আছে যৱা 5-10 বছর বয়সেও বিছানায় প্রস্রাব করে। শুধু তাই নয় 2/1 টা বাচ্চা যারা শিশুকাল থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক 18- 20 বছৱ বয়সেও মাঝে মাঝে বিছানায় প্রস্রাব করে। এমন বাচ্চাদের জন্যই আজকের এই পোস্ট।
# সালফাৱ- যেসব বাচ্চারা মিষ্টি খেতে পছন্দ করে এবং নোংরা স্বভাবের হয়। মানে হাতের কাছে যে ময়লা আবর্জনা যা পায় তাই মুখে দেয়। তাছাড়া গোসল করতে ভয় পায়। গোসল করিয়ে দিলে চিৎকার শুরু করে। গোসল করতে চায় না। এমন বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাবেৱ অভ্যাস ত্যাগের জন্য সালফার। তাছাড়া যে সমস্ত বুড়ো ছেলেমেয়েরা মাঝে মাঝে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর বিছানায় প্রস্রাব করে তাদের ক্ষেত্রেও সালফার চমৎকার কাজ করে।
# সিপিয়া- সিপিয়া হোমিওপ্যাথি ঔষুধ টি মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস দূর করার জন্য খুবই ভালো কাজ করে। যেসব মেয়ে শিশু রাতের প্রথম প্রহরে বিছানায় প্রস্রাব করে এবং প্রসাবে ঝাঁঝালো গন্ধ থাকে। এমন শিশুদের ক্ষেত্রে সিপিয়া।
# নেট্রাম সালফ- যেসব শিশুরা একটু ঠান্ডা আবহাওয়া বা বর্ষাকালে বিছানায় প্রস্রাব করে ।এমন শিশুর ক্ষেত্রে নেট্রাম সালফ।
# নাইট্রিক অ্যাসিড- যেসব শিশুর রাগ বেশি এবং রাগে চেঁচামেচি করে, জিনিসপত্র ছুঁড়ে মারে। তাছাড়া যেসব শিশুদের প্রস্রাবে ঘোড়ার প্রসাবের মত গন্ধ বের হয়। এইরূপ শিশুর শয্যায় প্রস্রাব করাৱ অভ্যাস সারাতে নাইট্রিক অ্যাসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
# নেট্রাম মিউর- যেসব শিশু গরম কাতুরে এবং গোসল করতে খুব পছন্দ করে। সব সময় পানির প্রতি তার আগ্রহ। পানি পেলে পানিতে খেলাধুলা শুরু করে এবং লবণ কাছে পেলে কাঁচা লবণ আংগুল দিয়ে খেতে থাকে। এইসব শিশুদের শয্যায় মূত্র ত্যাগের অভ্যাস দূর করতে নেট্রাম মিউর।
এছাড়াও বেনজয়িক এসিড, আর্জেন্ট নাইট্রিকাম, ক্যালকেরিয়া কার্ব শিশুদের শয্যায় মূত্রত্যাগের অভ্যাস দূর করতে ব্যবহার করা হয়। এ বিষয়ে কারো সংশয় থাকলে কিংবা প্রয়োজনে পেজের ইনবক্সে সরাসরি নক করতে পাৱেন।

Read more →

গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা ও নরমাল ডেলিভারির জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।



**ইজি লাইফ স্টাইল & হোমিও**

আজকে আমরা জানব কিভাবে গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা ও কিছু নিয়ম মেনে চললে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয় ,অবশ্যই নর্মাল ডেলিভারি জন্য মাকে মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে।

বর্তমানে সিজারিয়ান ডেলিভারি একটি ফ্যাশনে পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু আমরা সবাই জানি সিজারিয়ান ডেলিভারি স্বাস্থ্যের জন্য এবং বাচ্চার জন্য অনেক ক্ষতি করে I তাই যতটা সম্ভব সিজারিয়ান ডেলিভারি থেকে বিরত থাকতে হবে।
যদি আপনার কোন বড়োসড়ো জটিলতা না থেকে থাকে তবে আপনি অবশ্যই নর্মাল ডেলিভারি করাতে পারবেন I

যদি সামান্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলেন এবং সঠিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেন তাহলে অবশ্যই আমি বলবো নরমাল ডেলিভারি শতকরা 95 ভাগ সম্ভব ।

এজন্য অবশ্যই মাকে কিছু নিয়ম কানুন আগে থেকেই মেনে চলতে হবে I

এই কথাটা বেশি তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা বিয়ের দীর্ঘদিন পর বাচ্চা নিতে চান I

এখন কথা না বাড়িয়ে আমি কিভাবে কি কি নিয়ম কানুন মেনে চললে গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যাও হবে এবং সেইসাথে নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব এবং তার সম্ভাবনা প্রায়ই 95 ভাগ, তা আপনাদের সাথে শেয়াৱ কৱবো।
# প্রথমেই গর্ভবতী মাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
# পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
# মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে
# হাসিখুশি  জীবনযাপন করতে হবে
# হালকা ব্যায়াম ও  বিশ্রাম নিতে হবে।

**ইজি লাইফ স্টাইল & হোমিও**

হোমিও চিকিৎসা--------
  # গর্ভের প্রথম মাস  ক্যালকেরিয়া ফ্লোর 12X  রোজ রাতে গরম দুধের সাথে খাবেন। এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহে একদিন খাবেন।

# গর্ভের দ্বিতীয় মাস  ফাইভ ফস 6X   রোজ গরম দুধের সাথে দিনে দুইবার খাবেন।
#  গর্ভের তৃতীয় মাস  ফাইভ ফস 12x   রোজ দিনে দুইবার গরম দুধের সাথে খাবেন।
ক্যালসিয়াম ও আয়রনের ঘাটতি না থাকলে  আর খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
**ইজি লাইফ স্টাইল & হোমিও**

# গর্ভের শেষ 2/3 সপ্তাহ  কলোফাইলাম 30 শক্তি  প্রতিদিন একবার করে খাবেন।  আর যদি কষ্টকর প্রসবের সম্ভাবনা  থাকে সিমিসিফিউগা 30 শক্তি রোজ সকালে একবার করে খাবেন।
# বাচ্চার পজিশন যদি ঠিক না থাকে  তাহলে পালসেটিলা 200  শক্তি  এক সপ্তাহ একবার করে খাবেন। প্রয়োজনে উচ্চ শক্তি। বাচ্চার পজিশন ঠিক রাখার জন্য পালসেটিলার  খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রসবের ব্যথা উঠলে  সহজ ও সুন্দর প্রসবের জন্য পালসেটিলার উচ্চ শক্তি ব্যবহার করতে হয়।  বিফলে মেডোরিনাম উচ্চ শক্তি  খাওয়ালে দ্রুত সহজ-সুন্দর প্রসব হয়।Easy Lifestyle & Homeo
তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই খাওয়াতে হবে।

#EasyLifestylehomeo

Read more →

এডিনয়েড কি? লক্ষণ দেখে বুঝে নিন আপনার শিশুর এডিনয়েড সমস্যা না তো?


 

এডিনয়েড কি?

নাকের পেছনে এডিনয়েড গ্রন্থি থাকে। মূলত গলায় নাকের যেখানে ছিদ্র থাকে, তার পিছনে উপর তালুতে এর অবস্থান। এই গ্রন্থিতে প্রদাহ হয়ে ফুলে উঠে। এটি গঠনগত দিক থেকে টনসিলের মতো। আর এই জন্যই অধিকাংশ মা-বাবা টনসিল মনে করে ভুল করে। এতে শিশুর শ্বাসকষ্ট সহ অনেক রকম উপসর্গ দেখা দেয়। বাচ্চা মুখ হ্যাঁ করে ঘুমায়। 15 বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের এই এডিনয়েড সমস্যা হতে পারে। এই এডিনয়েড গ্রন্থি শিশুদের জন্য যেমন উপকারী তেমনি গ্রন্থি বৃদ্ধি হয়ে ক্ষতিৱ কারণও হতে পারে।

**  এডিনয়েড হলে শিশুৱ মধ্যে যে  লক্ষণ গুলো দেখতে পাবেন-
# শিশু ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে ভোগে। একবার সদি-কাশি হলে তা সহজে সারতে চায় না। সারাবছর যেন সর্দি-কাশিতে লেগেই থাকে।

# ঘুমের মধ্যে শিশু হঠাৎ চিৎকার দিয়ে উঠে, কান্নাকাটি কৱে। 

#  সমস্যা গলার পেছন থেকে ইউস্টেশিয়ান টিউবের মাধ্যমে কানে চলে যায়। ফলে ঘন ঘন কানে ব্যথা, কানে ইনফেকশন, কানের পর্দা ফেটে যাওয়া, কানের ভেতর পানি জমে।

#  ঘন ঘন গলার ইনফেকশন, খুসখুসে কাশি, গলার স্বর বসে যাওয়া হতে পারে।

# শরীরের ভেতর অক্সিজেনের স্বল্পতার জন্য ঘুম ঘুম ভাব, পড়াশোনা ও স্কুলে অমনোযোগী হওয়া, বুদ্ধিমত্তা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। রাতে বিছানায় প্রস্রাবও করতে পারে।

Read more →

টনসিল কি? শিশুর টনসিলের কারণ, লক্ষণ, নির্ণয় ও জটিলতা সম্পর্কে জানুন।



টনসিল কি?

টনসিল শব্দটির সাথে আমরা প্রত্যেকেই কম-বেশি পরিচিত। আমাদের প্রত্যেকেই জীবনে কখনো না কখনো অল্প-বেশি টনসিলের সমস্যায় পড়েছি।টনসিল ইনফেকশন সাধারণত তিন থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে বড়দের ক্ষেত্রে যে একেবারেই হয় না তাও নয়। টনসিল হলো আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অংশ এবং আমাদের মুখের ভেতরেই চারটি গ্রুপে তারা অবস্থান করে। এদের নাম লিঙ্গুয়াল, প্যালাটাইন, টিউবাল ও এ্যাডেনয়েড। এই টনসিলগুলোর কোনো একটির প্রদাহ হলেই তাকে বলে টনসিলাইটিস।

# টনসিল প্রদাহের কারণসমূহ—
*কোল্ডনেস বা ঠাণ্ডা লাগাজনিত ও শীতকালীন আবহাওয়া।

*স্যাঁতস্যাতে স্থানে বসবাস, কাজ এবং অবস্থান কৱা।

* অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপান। 

* বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়া।

# টনসিল প্রদাহের লক্ষণ বা উপসর্গসমূহ : 
গিলতে কষ্ট হওয়া, জিহ্বা ও কর্ণমূলে ব্যথা, জ্বর এবং ঠাণ্ডালাগার অনুভূতি হওয়া, মাথা ব্যথা, গলায় ব্যথা ও ক্ষতবোধ, চোয়াল এবং গলায় স্পর্শকাতরতা, গলার দুই পাশের গ্রন্থি বা লিম্ফনোড বড় হয়ে যাওয়া, গলায় সাদা বা হলুদ দাগ থাকতে পারে, গলা খুশখুশ করে আক্ষেপিক কাশি, শিশুদের মধ্যে ক্ষুধামন্দাভাব দেখা দিতে পারে, নিঃশ্বাস নিতে ফেলতে সমস্যা, টনসিল ফুলে খুব বড় হলে খাবার খেতে বা পান করতে সমস্যা হতে পারে।

# টনসিল প্রদাহের জটিলতা—
* ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী টনসিল প্রদাহ ফুলে থাকা।

* দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসনালীতে প্রতিবন্ধকতা, ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

* খেতে বা গিলতে সমস্যা হওয়া।

*কথাবার্তায় জড়তা বা অস্বাভাবিকতা।

* ক্রনিক কর্ণমূল প্রদাহ।

* হার্টের কপাটিকার রোগ।

* ব্যাকটেরিয়াল এন্ডোকার্ডাইটিস। এ ছাড়াও স্কারলেট ফিভার, বাতজ্বর এবং বিভিন্ন ধরনের হূদরোগও হতে পারে।

# টনসিল ডায়াগনোসিস—

* কফ কালচার করলে সংক্রমণকারী জীবাণু সম্পর্কে জানা যায়।

* CBC-তে সাধারণত শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়তি প্রকাশ পায়।

* ফিজিক্যাল এক্সজামিন কৱেও টনসিলাইটিস নির্ণয় করা যায়।

Read more →

জেনে নিন শিশুর টনসিলেৱ সেরা ও কার্যকরী হোমিও চিকিৎসা।

আসসালামু আলাইকুম। ইজি লাইফ স্টাইল এ্যান্ড হোমিও'র পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাগতম ও শুভেচ্ছা। আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সবাই ভালই আছেন। প্রকৃতি শীত আগমনের বার্তা দিচ্ছে এবং শহরের তুলনায় গ্রামে বেশ শীত পড়েছে। আর এই শীত আগমন থেকে শুরু করে পুরো শীত কালেই বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে শিশুদের টনসিল সমস্যা দেখা দেয়। তবে বড়দেরও দেখা দিতে পারে। টনসিল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আগের পোস্টে করেছি তাই আজকে আর করব না। হোমিও চিকিৎসা সহজলভ্য ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত প্রাকৃতিক ও একটি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা। তাই কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণেৱ মাধ্যমে সবচেয়ে কার্যকরী ও গ্রহণযোগ্য টনসিল নিরাময় মেডিসিন নিয়ে আলোচনা করব-

# বেলাডোনা- টনসিলের হোমিও চিকিৎসায় বেলাডোনা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঔষুধ। টনসিলের গ্ল্যান্ড দুটি ফুলে যদি খুব লাল দেখায়, জ্বালা থাকে।  শিশুর শরীরে যদি জ্বৱ বা উত্তাপ থাক এবং হঠাৎ টনসিলের ব্যথা বেড়ে যাচ্ছে আবার কমে যাচ্ছে। এমন লক্ষণ ভেদে বেলেডোনা খুবই কার্যকরী।

# ব্যারাইটা কার্ব- যেসব শিশু মোটাসোটা, নাদুস নুদুস, খুব সহজ-সরল বুদ্ধি কম, অস্পষ্ট কথা বলে বা তোতলা এবং মিষ্টি খেতে অপছন্দ করে। টনসিলের কারণে খাবার খেতে খুব কষ্ট হয় এমন শিশুর গলায় টনসিল হলে ব্যাৱাইটা কার্ব খুব ভাল কাজ কৱে।

# ব্যারাইটা আয়োডাইড- ক্রনিক বা পুরাতন টনসিলের জন্য ব্যারাইটা আয়োডাইড খুব গুরুত্বপূর্ণ হোমিও ঔষধ। যে সমস্ত শিশুদের বেশ কয়েক বছর ধরে টনসিলের সমস্যা রয়ে গেছে এবং শক্ত হয়ে গেছে টনসিল ভালো হলে আবার দেখা দিচ্ছে। কোনভাবেই পুরোপুরি ভালো হচ্ছে না। এমন পুরাতন টনসিলের ক্ষেত্রে ব্যাৱাইটা আয়োডাইড মহামূল্যবান ঔষুধ।

# হিপাৱ সালফাৱ- টনসিলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ হোমিও ঔষধ হলো হিপাৱ সালফার। সামান্য ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না এবং ঠান্ডা লাগলে টনসিলের সমস্যা দেখা দেয়। শিশুর গলায় টনসিলের কারণে কাঁটা ফোটার মত অনুভূতি ও খুবই স্পর্শ কাতর হয় এবং খাবার খেতে খুব কষ্ট হয়। এমন লক্ষণ ক্ষেত্রে হিপার সালফার যাদুৱ মত কাজ করে।

# সাইলেসিয়া- যে সমস্ত শিশুর মাথা ও পেট বড় থাকে। ঠান্ডায় টনসিল ফুলে বড় ও শক্ত হয়ে যায় এবং তেমন কোন ব্যথা থাকে না। টনসিলের এমন লক্ষণে সাইলেসিয়া।

# ফাইটোলক্কা- যেসব টনসিলে প্রদাহ দেখা যায়, ব্যথা থাকে এবং পূজ নিঃসরণ হয়, টনসিলেৱ এমন লক্ষণ ক্ষেত্রে ফাইটোলক্কা অত্যন্ত কার্যকরী।

পোস্ট পড়ে ঔষধ প্রয়োগ বাঞ্ছনীয় নয়। প্রয়োজনে আপনার নিকটস্থ কোনো হোমিও ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে ঔষধ প্রয়োগ করেন। কেননা হোমিও চিকিৎসার ক্ষেত্রে ঔষধের শক্তি ও মাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সহজ চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি
দূর হয় কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধি।

#EasyLifestyleHomeo

Read more →

জেনে নিন, এই শীতে আপনি বা আপনার শিশুর নিউমোনিয়াৱ সেরা ও কার্যকরী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।



শীত প্রায় চলেই এসেছে। আর এই শীতের সাথে কিছু রোগেৱ দেখা পাওয়া যায়। যেমন সাধারণ সর্দি-জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, আমাশয় ও বাতের রোগীদের বাতের ব্যথার তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। তো আজকে আলোচনা করব নিউমোনিয়ার সহজলভ্য সেৱা ও কার্যকরী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে। কারণ বাংলাদেশে এই শীতকালে বহু শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়। শুধু শিশু নয়, বয়স্ক বৃদ্ধ সহ সবাই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক কষ্ট পায়। এমনকি শ্বাসকষ্টের কারণে প্রাণহানি ঘটে। আগের পোস্টে নিউমোনিয়া কি? এৱ কারণ, লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আজ নিউমোনিয়ার সেরা ও কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব-

# একোনাইট ন্যাপ- হঠাৎ করে আপনার বা আপনার শিশুর সর্দি জ্বর দেখা দেয় এবং খুব অল্পসময়ের মধ্যেই মানে দুই ঘণ্টার মধ্যে যদি সর্দি জ্বর শ্বাসকষ্ট চরম আকার ধারণ করে। রোগী কাতরাতে থাকে বা অস্থির হয়ে যায় ছটফটানি দেখা দেয় সাথে মৃত্যু ভয় থাকে ও পানির পিপাসা পায়। তাহলে একোনাইট ন্যাপ হোমিও ওষুধটি 30 মিনিট অন্তর 2 মাত্রা দিন। ইনশাল্লাহ আল্লাহর রহমতে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে।

# ব্রায়োনিয়া- শুষ্ক কাশি যুক্ত বুকে জমাট বাধা কফ সহ শ্বাসকষ্ট। এমন নিউমোনিয়ার রোগীর জন্য আল্লাহর এক বিশেষ রহমত  ব্রায়োনিয়া হোমিও ঔষুধটি। হ্যাঁ, যাদের বুকে কফ জমে আছে। কাশি হচ্ছে কিন্তু কফ উঠছে না, মনে হচ্ছে কফ/শ্লেমা উঠলে আরাম পাওয়া যেত। বুকে কফ জমে থাকার কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে বা দিতে পারে। নড়াচড়া করলে বা বাহিরে গেলে রোগীর কাশি বা শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাচ্ছে। এসময় শিশুরা কোলে উঠতে চায় না বা কোলে থাকতে চায় না। ৱোগীৱ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে। এমন নিউমোনিয়া রোগীর ক্ষেত্রে ব্রায়োনিয়া  চমৎকার ঔষুধ। কয়েক মাত্রা ব্রায়োনিয়া রোগীর কফ পাতলা কৱে দেয়। ফলে কাশির সাথে ও পায়খানার সাথে কফ বের হয়ে যায় এবং রোগীর সুস্থতা লাভ করে।

# এন্টিম টার্ট- এন্টিম টার্ট হলো নিউমোনিয়ার আরেকটি মহামূল্যবান হোমিও ঔষুধ। নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে ব্রায়োনিয়ার ৱোগীৱ লক্ষণ থেকে এন্টিম টার্ট রোগীর লক্ষণ বিপরীতধর্মী। যেসব নিউমোনিয়া রুগীৱ পাতলা কফসহ কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। রোগীর বুকে সাই সাই, গড় গড় শব্দ করে। কাশির সাথে কফ উঠে। কিন্তু আরাম লাগে না। জিহবার উপর সাদা আস্তরণ পড়ে। শিশুরা কোলে থাকতে চায়। এক কোল থেকে আরেক কোলে যায় এবং ঘ্যান ঘ্যান করে এবং কাশির সাথে বমি করে দেয়। এসব লক্ষণ কোন রোগীৱ মধ্যে পাওয়া গেলে এন্টিম টার্ট।  কোনো শিশু বা বয়স্ক  ব্যক্তিৱ যে কোন টিকা নেওয়ার পর নিউমোনিয়া হলে এন্টিম টার্ট আরোগ্য এনে দিবে।

#  ফসফরাস- যদি কোন নিউমোনিয়া রোগীর লক্ষণ ব্রায়োনিয়া ও এন্টিম টার্ট রোগীর লক্ষণেৱ মাঝা মাঝী লক্ষণ দেখা যায় এবং যাদের সন্ধ্যায় কাশি বা শ্বাস কষ্ট বৃদ্ধি পায়, তবে ফসফৱাস।

Read more →

আজকেই জন্ম নেওয়া শিশুর কিছু সমস্যার গুরুত্বপূর্ণ হোমিও চিকিৎসা ।

 অনেক সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুৱ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। শিশুর এই ছোটখাটো সমস্যা দেখা দিলেই আমরা অনেকেই চিন্তায় পড়ে যাই। তাই চিন্তা না করে নবজাত শিশুর সমস্যাগুলো খুব সহজেই হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।

# কান্না: আমরা সবাই জানি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার করে কান্না শুরু করে দেয়। এটা হলে একদম স্বাভাবিক। কিন্তু যদি কান্না না করে, এটা একটা সমস্যা। এক্ষেত্রে আমরা হোমিওর প্রাথমিক চিকিৎসা টা অবলম্বন করতে পারি। একোনাইট 30 ঔষধটি পানির সাথে মিশে তিন ঘন্টা অন্তর 2 ডোজ খাওয়াতে পারি। আবার দেখা গেল যে শিশু অনবরত কান্না করতেছে। কোনভাবেই কান্না থামানো সম্ভব হচ্ছে না। ঘন্টার পর ঘন্টা কান্নাকাটি করতেছে। এক্ষেত্রে সিফিলিনাম 200 একমাত্রা খাওয়াতে পারি। আশা করি অবশ্যই আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে।চ

# প্রসাবে ও পায়খানা: জন্মের 12 থেকে 24 ঘণ্টার মধ্যে যদি শিশু প্রস্রাব পায়খানা না করে তবে একোনাইট 30 তিন ঘন্টা অন্তর 2 ডোজ। এতে কাজ না হলে নাক্স ভোম 30/ ওপিয়াম 30 তিন ঘন্টা অন্তর 2 ডোজ। ইনশাল্লাহ আল্লাহ রহমতে শিশুর সমস্যার সমাধান হবে।

# সর্দি: নবজাত শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিনেই যদি সর্দি দেখা দেয় তাহলে ডালকামরা 30 তিন ঘন্টা অন্তর অন্তর 3 ডোজ। ব্যর্থ হলে সাম্বুকাস, লাইকো।

# দুধ না খাইলে: নবজাত শিশু জন্মের পর যদি স্তন না টানিলে চায়না 6X 3 তিন ঘন্টা অন্তর অন্তর খাবে।শিশুকে যদি ওষুধ খাওয়ানো সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে শিশুটির মা ওষুধ খেয়ে শিশুকে দুধ খাওয়ালে হবে।

সদ্য জম্ম নেওয়া শিশু
সদ্য জম্ম নেওয়া শিশু

***  আপনার নিকটস্থ কোনো হোমিও ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ খাওয়ানো উত্তম।

Read more →

All posts

জেনে নিন, হোমিও চিকিৎসা কখন সেৱা ও সর্বোচ্চ কার্যকরী চিকিৎসা?

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ও জীবনযাপন নৱমাল ভাবে চলে।  কিন্তু হঠাৎ করেই যদি শরীরে কোন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তখন স্...