আইবিএস, আইবিডি এবং গ্যাসট্রোএন্টাৱলজির অন্তর্ভুক্ত যেকোনো রোগের ক্ষেত্রেই লাইফস্টাইল ও খাবার রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা বেশিরভাগ বাঙালি খাবার খেতে খুব পছন্দ করি এবং মজা করে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করি এবং সেই ধরনের খাবারই খেতে বেশি পছন্দ করি যা খাওয়া ঠিক নয়, ক্ষতিকারক। কিন্তু জ্বীহবা কে কন্ট্রোল করা তো সবাৱ জন্য অনেক কঠিন কাজ। তারপরও সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে নিয়ন্ত্রণ করে চলা উচিত। আর আমরা যারা এ সম্পর্কীয় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছি তাদের ক্ষেত্রে নিয়মমাফিক চলা ও খাওয়া অবশ্যই মেনে চলা উচিত।
যাহোক এখন আমি কথা বলবো আইবিএস ও আইবিডি ৱোগীদেৱ জীবন যাপন ও খাবার দাবার সম্পর্কে। অনেকেই বিষয়গুলো জানেন কিন্তু যারা নতুন রোগী বা পরিবারেৱ কেউ এইসব রোগে আক্রান্ত, তাদের অনেকেই জানতে চান। তাদের জন্যই আমার আজকের এই লেখাটা। যে ভাই ও বোনেরা আইবিএস ও আইবিডি ৱোগে আক্রান্ত তাদের অবশ্যই জীবন যাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন কারো যদি রাত্রি জেগে থাকার অভ্যাস থাকে, কিছু বদভ্যাস যেমন ধূমপান, মদ্যপান, গোপনীয় কিছু কু অভ্যাস ইত্যাদি থেকে থাকে তাহলে তা বর্জন করতে হবে। সকাল সন্ধ্যায় একটু শরীরচর্চা (যেমন হাঁটা) অনেক বেশি উপকার বয়ে আনে। সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে। এক কথায় সুশৃংখল নিয়মে জীবন যাপনে অভ্যস্ত হতে হবে।
খাবারের ব্যাপারে অনেক সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে তিনটি খাবার বেশিৱ ভাগ আইবিএস এবং আইবিডি রোগীদের জন্য ক্ষতি করে। তা হলো
(1) দুধ: দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় যেকোনো খাবার। যেমন দুধ, মিষ্টি, পিঠা, পায়েস প্রভৃতি।
(2) গম: গমে থাকে গ্লুটেনিন যা অন্ত্র সমূহেৱ জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই গম থেকে তৈরি করা যেকোন খাবার যেমন রুটি, পরোটা বিস্কুট, চানাচুর, ফাস্টফুড সহ যেকোনো খাবার না খাওয়া উত্তম।
(3) মাংস: মাংস গাটেৱ জন্য ক্ষতিকাৱক। বিশেষ করে গো মাংস, খাসিৱ মাংস, কবুতৱ মাংস । তবে মুৱগীৱ মাংস খাওয়া যেতে পাৱে।
এরপরেও কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো রোগের লক্ষণকে ত্বরান্বিত করে। যেমন উচ্চ আঁশযুক্ত শাক-সবজি, ড্রাই ফ্রুট যেমন: খেজুর, কিসমিস। এছাড়াও কাঁচা ফলমূল, যতটা কম খাওয়া যায়। ইনফ্লামেশন একটিভ থাকা আইবিডি রোগীদের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল যেমন লেবু,কমলালেবু, মালটা, আঙ্গুৱ, আমলকি ইত্যাদি ফল থেকে দূরে থাকা উত্তম। অনেকেই জানি যে, ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে কোন ক্ষত থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সহায়তা করে। তাই বেশি বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু এই সত্যটা যে সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, এটা মাথায় রাখতে হবে। আইবিডি রোগীদের অন্ত্রসমূহে যে আলসাৱ/ক্ষত থাকে, তা অটোইমিউনি সিস্টেমেৱ আলসাৱ। তাই ভিটামিন সি খেলে এই আলসার উল্টো বৃদ্ধি পাবে। তাই ভুল করেও এই ভুলটা করবেন না। তবে নিয়ন্ত্রণ থাকলে একটু একটু খেতে পারেন। এছাড়াও বেশি তৈলাক্ত ও মসলাদার খাবাৱ, দানাদাৱ শস্য যেমন ডাল, ভুট্টা, বাদাম ইফতার থেকে দূরে থাকতে হবে।
তবে সকল রোগীর ক্ষেত্র একরকম না। কারণ অনেক রোগী বলে যে তার মাংস বা দুগ্ধ খাবার খেলে কোন সমস্যা হয় না। তাই সবচেয়ে ভালো হয় যে, প্রত্যেকটা রোগী যদি নিজে নিজে বের করতে পারে কোন কোন খাবারে তার সমস্যা হচ্ছে? সেই খাবারগুলো সে এড়িয়ে চললো।























.jpeg)






3 comments:
Thanks a million for visiting and your valuable review.