আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনো আইবিএস রোগের প্রাইমারি বা প্রাথমিক কারণ খুঁজে পায়নি। তবে সেকেন্ডারি অনেক বিষয় এ রোগ জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী বলে গবেষণায় পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে একটা বিষয় সাধারণ মানুষের জানা থাকা দরকার। সেটি হলো- মানবদেহের নার্ভ সিগন্যাল ও হরমোন ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টেস্টাইন ও ব্রেইনের মধ্যে গভীর সংযোগ বিদ্যমান। ওই সিগন্যালগুলো বাউয়েল ফাংসান ও লক্ষণসমূহকে প্রভাবিত করে। মানুষ যখন প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকে তখন নার্ভগুলো অত্যন্ত একটিভ বা কর্মদীপ্ত হয়ে যায়। ফলে ইন্টেস্টাইন বা অন্ত্রসমূহ সংবেদনশীল হয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে।
এ রোগের উল্লেখযোগ্য সেকেন্ডারি কারণসমূহ হলো:
# মানসিক চাপ
# বিভিন্ন খাদ্য হজম না হওয়া/এলার্জি
# খাদ্যাভ্যাস হঠাৎ পরিবর্তন করা (অতিরিক্ত গরম কিংবা ঠাণ্ডা খাবার গ্রহণ)
# অনিয়মিত খাদ্য সঠিক সময়ে গ্রহণ না করা
# দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখা এবং গ্যাসে পরিপূর্ণ হওয়া
# পরিমিত ঘুম না হওয়া
# পর্যাপ্ত পানি পান না করা
# হঠাৎ বড় কোনো মানসিক আঘাত, ভয় বা শোক
# নার্ভাস সিস্টেমের দুর্বলতা বা অটোনমিক নার্ভ সিস্টেম ঠিকমত কাজ না করলে বাউলের মুভমেন্ট ঠিকমতো না হলে
# ভীষণ ক্রোধ এবং উদ্বেগ
# কোলন বা মলাশয়ের মধ্যে অস্বাভাবিক গাঁজন প্রক্রিয়া
# অতিরিক্ত অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার। যেমন- অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিডিপ্রেসান (বিষন্নতার জন্য), সরবিটল (ফলজাত চিনি যা দিয়ে সিরাপ জাতীয় ওষুধ তৈরি হয়), মেয়েদেৱ মাসিক ঋতু চলাকালীন হরমোনাল পরিবর্তন হয়ে ও হতে পাৱে।
তাই আমরা সামান্য সচেতন থেকে উপরোক্ত কাৱণগুলো এড়িয়ে চলে বিরক্ত কর এই ব্যাধি থেকে দূরে থাকতে পারি।























.jpeg)





0 comments:
Thanks a million for visiting and your valuable review.