আইবিএস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

আইবিএস (IBS) কত প্রকাৱ ও কি কি?


 

আইবিএস সাধাৱনত তিন প্রকাৱ। যথা-
(1) আইবিএস সি (IBS-C) : যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে এবং পায়খানা ক্লিয়ার না হয়, মনে হবে পায়খানা হবে হবে ভাব, কিন্তু হয় না- এ ধরনের আইবিএস কে সাধাৱণত C  বলা হয়।

(2)  আইবিএস ডি ( IBS-D) : যে সমস্ত আইবিএস রোগীর দিনে বেশ কয়েকবার পাতলা পায়খানা হয়, খেতে বসলেই কিংবা খাওয়া শেষ হলেই পায়খানায় চাপ দেয়, খুব সকালে ঘুম ভাঙা মাত্রই পায়খানার খুব চাপ দেয় এবং পাতলা পায়খানা হয়- এটাকে আইবিএস D বলা হয়।

(3) আইবিএস এম ( IBS-M) :   আর যখন কোন আইবিএস রোগীর কয়েকদিন ধৱে খুব কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে এবং কয়েকদিন ধৱে ডায়রিয়া থাকে, মানে যখন কোন রোগীর মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া দুইটি বিদ্যমান থাকে। সাধারণত এই আইবিএস কে মিক্স বা M বলা হয়।

Read more →

আইবিএস (IBS), আইবিডি(IBD) রোগীর লাইফস্টাইল ও কোন খাবাৱ থেকে দূৱে থাকবেন?।




আইবিএস, আইবিডি এবং গ্যাসট্রোএন্টাৱলজির অন্তর্ভুক্ত যেকোনো রোগের ক্ষেত্রেই লাইফস্টাইল ও খাবার রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা বেশিরভাগ বাঙালি খাবার খেতে খুব পছন্দ করি এবং মজা করে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করি এবং সেই ধরনের খাবারই খেতে বেশি পছন্দ করি যা খাওয়া ঠিক নয়, ক্ষতিকারক। কিন্তু জ্বীহবা কে কন্ট্রোল করা তো সবাৱ জন্য অনেক কঠিন কাজ। তারপরও সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে নিয়ন্ত্রণ করে চলা উচিত। আর আমরা যারা এ সম্পর্কীয় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছি তাদের ক্ষেত্রে নিয়মমাফিক চলা ও খাওয়া অবশ্যই মেনে চলা উচিত।
 
যাহোক এখন আমি কথা বলবো আইবিএস ও আইবিডি ৱোগীদেৱ  জীবন যাপন ও খাবার দাবার সম্পর্কে। অনেকেই বিষয়গুলো জানেন কিন্তু যারা নতুন রোগী বা পরিবারেৱ কেউ এইসব রোগে আক্রান্ত, তাদের অনেকেই জানতে চান। তাদের জন্যই আমার  আজকের এই লেখাটা। যে ভাই ও বোনেরা আইবিএস ও আইবিডি ৱোগে আক্রান্ত তাদের অবশ্যই জীবন যাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন কারো যদি রাত্রি জেগে থাকার অভ্যাস থাকে, কিছু বদভ্যাস যেমন ধূমপান, মদ্যপান, গোপনীয় কিছু কু অভ্যাস ইত্যাদি থেকে থাকে তাহলে তা বর্জন করতে হবে। সকাল সন্ধ্যায় একটু শরীরচর্চা (যেমন হাঁটা) অনেক বেশি উপকার বয়ে আনে। সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে। এক কথায় সুশৃংখল নিয়মে জীবন যাপনে অভ্যস্ত হতে হবে।

খাবারের ব্যাপারে অনেক সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে তিনটি খাবার বেশিৱ ভাগ আইবিএস এবং আইবিডি রোগীদের জন্য ক্ষতি করে। তা হলো

 (1) দুধ: দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় যেকোনো খাবার। যেমন দুধ, মিষ্টি, পিঠা, পায়েস প্রভৃতি। 

 (2) গম: গমে থাকে গ্লুটেনিন যা অন্ত্র সমূহেৱ জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই গম থেকে তৈরি করা যেকোন খাবার যেমন রুটি, পরোটা বিস্কুট, চানাচুর, ফাস্টফুড সহ যেকোনো খাবার না খাওয়া উত্তম। 

(3) মাংস: মাংস গাটেৱ জন্য ক্ষতিকাৱক। বিশেষ করে গো মাংস, খাসিৱ মাংস, কবুতৱ মাংস । তবে মুৱগীৱ মাংস খাওয়া যেতে পাৱে।

এরপরেও কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো রোগের লক্ষণকে ত্বরান্বিত করে। যেমন উচ্চ আঁশযুক্ত শাক-সবজি, ড্রাই ফ্রুট যেমন: খেজুর, কিসমিস। এছাড়াও কাঁচা ফলমূল, যতটা কম খাওয়া যায়। ইনফ্লামেশন একটিভ থাকা আইবিডি রোগীদের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল যেমন লেবু,কমলালেবু, মালটা, আঙ্গুৱ, আমলকি ইত্যাদি ফল থেকে দূরে থাকা উত্তম। অনেকেই জানি যে, ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে কোন ক্ষত থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সহায়তা করে। তাই বেশি বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু এই সত্যটা যে সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, এটা মাথায় রাখতে হবে। আইবিডি রোগীদের অন্ত্রসমূহে যে আলসাৱ/ক্ষত থাকে, তা অটোইমিউনি সিস্টেমেৱ আলসাৱ। তাই ভিটামিন সি খেলে এই আলসার উল্টো বৃদ্ধি পাবে। তাই ভুল করেও এই ভুলটা করবেন না। তবে নিয়ন্ত্রণ থাকলে একটু একটু খেতে পারেন। এছাড়াও বেশি তৈলাক্ত ও মসলাদার খাবাৱ, দানাদাৱ শস্য যেমন ডাল, ভুট্টা, বাদাম ইফতার থেকে দূরে থাকতে হবে।

তবে সকল রোগীর ক্ষেত্র একরকম  না। কারণ অনেক রোগী বলে যে তার মাংস বা দুগ্ধ খাবার খেলে কোন সমস্যা হয় না।  তাই সবচেয়ে ভালো হয় যে, প্রত্যেকটা রোগী যদি নিজে নিজে বের করতে পারে কোন কোন খাবারে তার সমস্যা হচ্ছে? সেই খাবারগুলো সে এড়িয়ে চললো।


Read more →

আইবিএস(IBS) কি? আইবিএস এর চিকিৎসায় হোমিওৱ অবদান।

 


আইবিএস(IBS): ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (irritable bowel syndrome). যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়- পেটে জ্বালা যন্ত্রণাময় বা বিরক্তিকর লক্ষণ। সারা পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ আইবিএসে ভুগতেছে। খাবার খাওয়ার পরে পেটে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। কারো পেট ভুটভাট করে, জ্বালা-যন্ত্রণা করে, বদহজম,পেট ফুলে ওঠে, পেট ব্যথা করে । ঘন ঘন পায়খানা হয়, পায়খানার সাথে আম/মিউকাস যায়


। কারও আবাৱ পাতলা পায়খানা হয়। পায়খানা করেও আরাম বোধ লাগেনা। মনে হয় পায়খানা ক্লিয়ার হয়নি। এককথায় আপনাকে অস্বস্তিকর এক অবস্থায় ফেলবে। এই বিরক্তিকর অবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে যাবেন। ডাক্তার অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। কিন্তু কিছুই ধরা পড়বে না। এটা আরেক রকমের বিরক্তিকর অবস্থা। এরপর এন্ডোস্কোপি, কোলোনোস্কোপি করলেও কোন কিছু ধরা পড়বে না। তখন একে আইবিএস হিসেবে গণ্য করা হয়। আইবিএস হলে আপনার শরীরের ওজন কমতে থাকবে এবং মানসিকভাবে আপনি বিপর্যস্ত হবেন। কাজ কর্মের প্রতি আপনার মনোযোগ হারিয়ে যাবে। তাছাড়াও অনেকেৱ আইবিএস থেকে আস্তে আস্তে আইবিডিৱ (IBD) দিকে চলে যায়। আইবিডি হলে আপনার অবস্থা আরো খারাপ। তাই আইবিএস হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উত্তম।
# চিকিৎসা: আইবিএস সহজে ভালো হতে চায় না। শুধু আইবিএস নয় পেটের যেকোনো পীড়া় সহজে ভালো হতে চায় না। এলোপ্যাথিতে আইবিএস এর তেমন কোনো চিকিৎসা নেই বললেই চলে। কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে এর খুব ভালো চিকিৎসা রয়েছে এবং অসংখ্য আইবিএস রোগী হোমিও চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে যাচ্ছেন। তাই হোমিও চিকিৎসা আইবিএস-এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা/অবদান রাখতে পারে। একজন ক্লাসিকাল হোমিও ডাক্তার রোগীর মানসিক, শারীরিক, অভ্যাসগত, জীবন যাপন ও পারিবারিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করে একটি সুন্দর রোগীলিপি তৈরি করে। রোগলিপি তৈরি করতে গিয়ে তিনি রোগের উৎস অর্থাৎ কোথায় থেকে রোগের সূচনা শুরু হল, কিভাবে শুরু হল, এর পেছনে দায়ী কি?- ইত্যাদি খুঁজে বের করেন এবং এর আলোকে একটি সিঙ্গেল মেডিসিন সিলেক্ট করেন। এই সিঙ্গেল মেডিসিনে রোগী ধৈর্য সহকারে চিকিৎসা নিলে অবশ্যই সুস্থ হয়ে যাবেন। এছাড়াও রোগীর জীবন যাপনে পরিবর্তন আনতে হবে সেটাও ডাক্তার বলে দিবেন। এজন্য ডাক্তারকে ও অনেক ধৈর্য নিয়ে রোগীর পিছনে সময় ব্যয় করতে হবে এবং সে অনুযায়ী রোগীর ও চিকিৎসা নিতে হবে। তাহলে অবশ্যই আল্লাহর রহমতে আইবিএস নিরাময় হবে। হোমিওপ্যাথিতে লক্ষণ সমষ্টির বিচারে আইবিএস নিরাময়ে সবচেয়ে সফল কয়েকটি ঔষধ হচ্ছে- নাক্স ভোম, মার্কুরিয়াস, সালফার, লাইকোপোডিয়াম, নাইট্রিক অ্যাসিড, নেট্রাম কার্ব, কার্বোভেজ, নেট্রাম ফস, পালসেটিলা, আর্সেনিক এলবাম। এছাড়াও আরো অনেক ওষুধ লক্ষণ বিচারে আসতে পারে।
**ইজি লাইফ স্টাইল & হোমিও**
সহজ চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি
দূর হয় কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধি।

Read more →

পেটের সমস্যা (আইবিএস) অবশেষে হোমিওতে সুস্থ

আমার এক ব্যাচ সিনিয়র আশৱাফ ভাই। বাড়ি টাঙ্গাইল। হঠাৎ অনেকদিন পর দেখা। কুশল বিনিময় ও অনেক কথা। কথার মাঝে হঠাৎ করে বলে বসলেন যে আমার বাবা কয়েক মাস ধরে পেটের 


সমস্যায় ভুগতেছেন। অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে কিন্তু লাভ হচ্ছে না ।টেস্টেও কিছু ধরা পড়তেছে না। ডাক্তার বললো সম্ভবত আইবিএস । তো আমি বললাম হোমিও তে কি দুই একবার দেখানো হয়েছে? বললো না হোমিওতে দেখানো হয়নি। এই কথা বলাতে উল্টো আমাকে একটা পরামর্শ দিতে বললো। তো আমি বললাম ঠিক আছে যদি অল্পতেই হয় তাহলে এখনই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি আর যদি না হয় তাহলে পরবর্তীতে ফোন দিয়ে আমার সাথে কথা বলে রোগীলিপি তৈরি করে চিকিৎসা দিলে ভালো হবে। যাহোক আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দিলেন। আঙ্কেলের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝলাম। ওনি নাক্সেৱ রোগী। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দুই-তিনবার পায়খানা হয়। পায়খানা ক্লিয়ার হয় না। পায়খানাৱ আগে পেটে ব্যথা থাকে। পায়খানা করলে আরাম পায়। তাছাড়া একটা গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ আছে, খেতে বসলেই পায়খানার চাপ আসে অথবা খাওয়া শেষ হওয়া মাত্রই পায়খানায় যেতে হয়। সারাদিন সাত-আটবার পায়খানা ও খুব অস্বস্তিতে ভোগেন। তাছাড়াও আঙ্কেল নাকি খুব রাগী এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে।

উপরোক্ত লক্ষণগুলোকে আমি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এনে শামীম ভাইকে বললাম আপনি নাক্সেৱ M/2, M/3, M/4 নিয়ে যান। আঙ্কেলকে একমাস খেতে বলেন। আল্লাহ ভরসা ওনি সুস্থ হয়ে যেতে পাৱেন। এক মাস পর আমাকে জানায়েন।
চার পাঁচ মাস পর কথা হল শামীম ভাইয়ের সাথে। কথাপ্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলাম যে আপনার বাবার কি অবস্থা? শামীম ভাই, বললো ও ভালো কথা। আব্বার তো পেটের সমস্যা আর নেই। এখন দিনে 1/2 বার পায়খানা হয়। পেটে ব্যথা ও নেই আর খাওয়ার পর পায়খানার চাপ দেয় না। তাই আর ওষুধ নেওয়া হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর কি অশেষ রহমত। মাত্র এক মাসের ঔষুধ খেয়ে 4/5 মাস সুস্থ আছেন। আল্লাহ যেন উনাকে বাকিটা জীবন সুস্থ রাখেন এই দোয়াই করি।
এই পোস্টটা শেয়ার করলাম শুধু মনের আনন্দ শেয়ার করার জন্যই নয়, যাদের হোমিও সম্পর্কে বিশ্বাস কম এবং যারা হোমিও সম্পর্কে জানতে ও শিখতে আগ্রহী, তাদের জন্য। এই কেসটিতে আমি রোগীলিপি তৈরি করি নাই, তাই দিতে পারলাম না। তবে অবশ্যই ক্লাসিকাল হোমিওপ্যাথি অনুসরণ করা হয়েছে। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ইজি লাইফ স্টাইল অ্যান্ড হোমিওৱ পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ।

Read more →

আইবিএস নিয়ে কিভাবে ভালো থাকবেন??

 


আইবিএস হলো  মানুষের একটি বিরক্তকর পেটের অবস্থা।  শুধু পেট নয়, আইবিএস এর কারণে সারা শরীরে সমস্যা দেখা দেয়।  বিশেষ করে মনে এর বিরূপ অবস্থা পড়ে বেশি। অবস্থা দুঃখজনক হলেও এটা সত্যি যে এই সমস্যার পুরোপুরি কোনো সমাধান নেই বললেই চলে।  কেননা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান  এখনো নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা বের করতে পারে নাই।  তবে  ক্লাসিকাল হোমিও চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই ভাল থাকে এবং কিছু অংশ ৱোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়।  আর যারা সুস্থ হতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট।  আপনারা একটু  চোখ কান খোলা রেখে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনে একে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পাৱেন।  আপনার আইবিএস-এর লক্ষণ অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, শাক ইত্যাদি যেসব খাবারে সমস্যা বাড়ে, সেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। রোজকার খাদ্যপঞ্জি মেনে চলার অভ্যাস থাকলে রোগী সহজেই বুঝতে পারবেন কবে কোন খাবারে তাঁর সমস্যা হয়েছিল। এ ছাড়া মানসিক চাপ কমাতে হবে। প্রয়োজন হলে উপসর্গ বুঝে  ক্লাসিক্যাল হোমিও চিকিৎসা নিতে পারেন। তবে আইবিএসের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই আপনার নিজের হাতে। স্বাস্থ্যকর ও শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন যাপন করলে ভালো থাকবেন।

আইবিএস নিয়ে ভালো থাকার উপায়-
-----------------------------------------------------

# যেসব খাবারে পেটের সমস্যা বাড়ে, সেসব এড়িয়ে চলুন। দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, শাক, অতিরিক্ত তেলে ভাজা বা ডিপ ফ্রাই খাবার, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, বেকারি, কৃত্রিম চিনি, ক্যাফেইন ইত্যাদি এড়িয়ে চলা ভালো।

# নিয়মিত ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটির চেষ্টা করুন। এতে পেটের গ্যাস বা ফাঁপা ভাব কমবে।

# একসঙ্গে অনেক না খেয়ে সারা দিনে অল্প অল্প করে ভাগ করে খান। খাবারের টাইমটেবিল বজায় রাখুন।

# মানসিক চাপ বা স্ট্রেস কমাতে ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, মেডিটেশন করতে পারেন।  তাছাড়া আমি  আমার  চিকিৎসা জীবনের অভিজ্ঞতাই বলবো:  যারা মনকে কন্ট্রোল করতে পারে মানে কন্ট্রোল করার ক্ষমতা রাখে  এবং খুব সহজেই  মন থেকেই স্ট্রেসকে ঝেড়ে ফেলতে পারে। সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করে, তারা কিন্তু আইবিএস থেকে সুস্থ হয়ে যায়।

একের অধিক ওষুধে রোগীর ক্ষতি হয়,
একটি ওষুধেই জটিল রোগের রোগী সুস্থ হয়।
তাই আপনারা একটি পূর্ণাঙ্গ ৱোগলিপি তৈরীর মাধ্যমে একটি ওষুধে চিকিৎসা নিন,
সকল ৱোগ থেকেই সুস্থ হন।

#আইবিএস
#IBS

Read more →

আইবিএসেৱ সাধারণ লক্ষণ সমূহ


Easy Lifestyle & Homeo

============================
আইবিএস এর  নির্দিষ্ট কোন
প্যাথলজিক্যাল টেস্ট নেই।  যে ঐ টেষ্ট টা করে আমি নিশ্চিত হবো আমার আইবিএস।  তাই নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ ৱোগীৱ  মধ্যে থাকলে  আইবিএস হিসেবে গণ্য করা হয়।  তবে এন্ডোস্কোপি, কোলোনোস্কোপি  করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে  এটা  আইবিএস।  একজন আইবিএস রোগীর মধ্যে যে সাধারণ লক্ষণগুলো  দেখতে পাওয়া যায়-
#  শরীরে একটা  অস্বস্তি্ বা  বিরক্তকর ভাব থাকে।  মনেও দারুণ প্রভাব পড়ে।  কোন কিছু ভাল লাগেনা। কোন কাজে মনোনিবেশ করতে পারেনা।

#  কোষ্ঠকাঠিন্য  ও ডায়রিয়া পর্যাক্রমে আসে।  দেখা যায় রোগীর দুই তিন দিন ধরে পায়খানা হচ্ছে না।  আবার যেদিন পায়খানা হয় সেদিন তিন থেকে চাৱ বার হয় বা এর চেয়ে অধিক বার হয়।

#  কারো কারো পেট মোচরাতে থাকে, পেটে কামড় দেয়,  পেট ব্যথা করতে থাকে।  বারবার  নিষ্ফল পায়খানার চাপ থাকে।  কিন্তু পায়খানা করতে গেলে পায়খানা হয় না।

#  অনেক রোগীর খাবার পরেই পায়খানার চাপ দেয়। পায়খানা করে আসাৱ পর আবার পায়খানা চাপ দেয়।  এজন্য রোগীর মনে প্রভাব পড়ে। রোগী বাইরে কোথাও যেতে চায়না মনে ভয় পায়  যে কোন সময় পায়খানার চাপ দিতে পাৱে।

#  আইবিএস রোগীদের একেক জনের মল একেক রকম হয়।  কারো খুব শক্ত ,  কারো খুব নরম/পাতলা,  কারো কাদার মত ,  কারো আঠালো পদার্থের মত হয়।  তবে সব রোগীর মলেই মিউকাসেৱ অস্তিত্ব থাকে।

#  কিছু  রোগীর পেটে ভুটভাট শব্দ হয়।  কারো উপরের পেটে, কারো তলপেটে  বুদবুদ শব্দ সহ  গ্যাস দেখা দেয়।

#  বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে একটা সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়,  তা হলো শারীরিক দুর্বলতা ও  মানসিক বিপর্যয়।

আইবিএস এৱ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি অনেকটাই কার্যকরী।  তাই দৈনন্দিন জীবনে   কিছু অভ্যাস পরিবর্তন এনে ও হোমিও মেডিকেশন নিয়ে  অতি দ্রুত এই সমস্যা থেকে উত্তরণ হওয়া সম্ভব।

সহজ চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি
দূর হয় কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধি।

#আইবিএস
#IBS
#পেটেসমস্যা

Read more →

আইবিএস হোমিও চিকিৎসায় কেন পুরোপুরি ভালো হয়ে যায় এবং কোন আইবিএস রোগীৱ হোমিও চিকিৎসা নিয়েও পুরোপুরি সুস্থ হওয়া কঠিন হয়ে যায়?



পেটের সমস্যায় ভোগেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি রোগী আছে আইবিএস-এর।  শতকরা হিসেবে প্রায় 20 জন। কারণ এ রোগ ভাল হয় না।  আইবিএস কেন হয় এর সঠিক কারণ এখনো আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাছে  অধরা  বলে এলোপ্যাথিতে এর পার্মানেন্ট  সুস্থ হওয়ার চিকিৎসা নেই।  কিন্তু ক্লাসিকাল হোমিওপ্যাথিতে এর পার্মানেন্ট  সুস্থ হওয়ার চিকিৎসা রয়েছে।  কেন হোমিওপ্যাথিতে আইবিএস রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায় সে বিষয়ে আলোচনা করব।

# হোমিও চিকিৎসায় আইবিএস কেন পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়?  আমরা জানি যার সমস্যা আছে, তার সমাধান আছে।  যেকোন সমস্যার সমাধান করা খুব সহজ হয় কখন?  যখন সমস্যাটার পেছনে দায়ী কে বা কি কারণ তা আমরা নির্ণয় করতে পারি,  ঠিক তখনই সমস্যাটাৱ সমাধান করা সহজ হয়।  যেহেতু হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা।  তাই আইবিএস রোগীর প্যাথলজিক্যাল টেস্টে কোন কিছু নির্ণয় না হলেও  রোগীর  মধ্যে যথেষ্ট কিছু লক্ষণ পাওয়া যায়।  যা হোমিও চিকিৎসার মূল মন্ত্র বলা যায়। তাছাড়া একজন অভিজ্ঞ ক্লাসিক্যাল হোমিও ডাক্তার  যখন রোগীর লক্ষণ সংগ্রহ করে রোগীলিপি তৈরি করেন।   তখন তিনি রোগীর  আইবিএস টা কোথা থেকে সূচনা শুরু হলো যেমন:  পারিবারিক ইতিহাস থেকে/  ডিস্ফাংশন  অর্থাৎ আমাদের মস্তিষ্ক ও এনজাইম  জনিত কারণে অন্ত্রের ডিস্ফাংশন হচ্ছে কি না/রোগীর শরীরে কোন রোগ চাপা দেওয়ার কারণে কিনা/ রোগীর বিশৃংখল জীবনযাপন/ অনিদ্রাজনিত কারণ/ অনিয়মিত খাবার-দাবার গ্রহণ/  অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া কমে গেছে কিনা/শিশুকালে বিভিন্ন রোগের কারণে প্রচুর  এলাপ্যাথি ঔষুধ গ্রহণ করেছেন কিনা/ ৱোগীৱ জীবনে বড় রকমেৱ কোন শোক, চিন্তা, মনোকষ্ট  আছে কিনা সহ আৱো বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় বিবেচনায় এনে আইবিএস এর প্রকৃত কারণ নির্ণয়েৱ চেষ্টা করা হয়।    রোগী কোন কারনে আইবিএস সমস্যায় ভুগতেছেন সেটা নির্ণয় করে ঔষুধ প্রয়োগ করলে  ক্লাসিকাল হোমিও চিকিৎসায় আইবিএস পুরোপুরি নির্মূল হয়ে যায়।  এজন্য একজন আইবিএস রোগীকে  অভিজ্ঞ ক্লাসিক্যাল হোমিও চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে  দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

#  হোমিও চিকিৎসা নিয়েও কোন আইবিএস রোগী পুরোপুরি  সুস্থ হতে পাৱে না?  অনেক সময় দেখা যায়, সামান্য জ্বর ভালো হতে চায় না। জ্বরের প্রকৃত কারণ নির্ণয় করতে না পারার জন্য।  ঠিক কিছু কিছু আইবিএস রোগী আছে যাদের কোনো কারণই খুঁজে পাওয়া যায় না।  এসব আইবিএস রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করা কঠিন হয়ে যায়। 

    আরেকটি কারণ হলো আইবিএস রোগী  অল্প সময়ে পুরোপুরি সুস্থ হতে চায়। কয়েকদিনের ওষুধ খেয়ে একটু আরাম পেল। পরবর্তী আৱ চিকিৎসা গ্রহণ করে না।

কিছু রোগী আছে, যাৱা ঘনঘন ডাক্তার পরিবর্তন করে এবং ভাবে হোমিওতে এ ৱোগ ভালো হবে না। মন যদি  দুর্বল হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়া কঠিন ।

#IBS

Read more →

আ ই বি এ স ? ? ? ? ? ?




আইবিএস এর রোগীরা আইবিএস নিয়ে খুবই বেশি চিন্তিত থাকেন।  চিন্তিত থাকারই কথা।  তবে এখান থেকে বের হতে চাইলে  আইবিএস নিয়ে চিন্তা না করে ছোট্ট ছোট্ট সুন্দর  ভাবনা বা রোমান্স, প্রিয়জন কিংবা পরিবার,  নিজের ক্যারিয়ার কিংবা ইউনিক কোন কাজ বা গুণ  অর্জনে মনোনিবেশ করতে পারেন।  আমাদের সমাজের চারপাশে অনেক কে দেখতে পাবেন। যাদেৱ দুই হাত নেই পা দিয়ে লিখে, মুখ দিয়ে লিখে  পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতেছে।  মূর্খ কোম্পানি মালিকের  অধীনে দেশেৱ সর্বোচ্চ শিক্ষিত মানুষগুলো কাজ করছে।  তাই আইবিএসের রোগীরা মনের শক্তি দিয়ে ৱোগকে চাপা দিয়ে  অনেক ভালো কিছু করাৱ ক্ষমতা রাখে  এবং করতে পারলে আইবিএস কিন্তু একসময়  মনের অজান্তেই পালিয়ে যাবে।  কোন কিছুতেই মানুষের জীবন আটকে থাকে না।  ইচ্ছাশক্তি দিয়ে  শত বাধা পেরিয়ে, বিন্দাস জীবনেৱ  রঙিন স্বপ্ন গুলোকে উড়িয়ে নেওয়া সম্ভব।

#EasyLifestyleandHomeo
#ClassicalHomeo
#IBS
#আইবিএস

Read more →

অভিজ্ঞতার আলোকে- কোন ধৱন আইবিএস ৱোগী পুৱোপুৱি সুস্থ হতে পাৱে?

আইবিএস রোগীরা  আইবিএস নিয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন।  তাছাড়া আমি আমার পেজে আইবিএস নিয়ে বেশ কিছু পোস্ট করেছি।  তাই নতুন করে আর কিছু বলবো না।  তবে আইবিএস রোগীর চিকিৎসা কৱায়  আমার কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়েছে।  সেই বাস্তব অভিজ্ঞতা টা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য  এই পোস্টটা লিখা। আইবিএস নিয়ে  মেডিকেল সাইন্সে সহ ৱোগীদেৱ মাঝেও অনেক জল্পনা-কল্পনা রয়েছে।  অনেক রোগী প্রশ্ন করে আইবিএস ভালো হয় কিনা?  তো আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বলবো দুটোই।  হ্যাঁ সত্যিই কিছু রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায় আর কিছু রোগী কখনো সুস্থ হতে পারে না।  যাৱা পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেনা তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ রেখে স্বাভাবিক জীবন-যাপন চালিয়ে যেতে হবে।  এখন প্রশ্ন হল কোন শ্রেণীর রোগী গুলো ভালো হয়ে যায় আর কোন শ্রেণীর ৱোগী গুলো কোনদিনই ভালো হয়না?   যাদের আইবিএস এর বয়স দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে থাকে,  এমন রোগীদের মধ্যে থেকেই বেশ কিছু রোগী হোমিও  চিকিৎসায় পুৱোপুৱি  সুস্থ হয়ে যায়। আর কিছু রোগী আস্তে আস্তে দীর্ঘ সময় ধরে ভোগে এবং এই রোগী   ক্রনিক আইবিএসে পরিণত হয়। আমরা জানি,  আইবিএস রোগের জন্য নার্ভ সিস্টেম অনেকটাই দায়ী।  আমাদের পাকস্থলী, বৃহদান্ত্র,  ক্ষুদ্রান্ত্র সমূহে স্বতন্ত্র অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম ৱয়েছে।  যা আপনা আপনা অন্ত্র সমূহের কাজ গুলো চালিয়ে যায় । এই অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেমের কারণে যদি আইবিএস সৃষ্টি হয়, তাহলে খুব সহজেই আইবিএস ভালো হয়ে যায়।  কিন্তু ব্রেইনেৱ  নার্ভাস সিস্টেমের কারণে যদি কাৱো  আইবিএস দেখা দেয়,  সে ক্ষেত্রে আইবিএস ভালো হওয়া খুব কঠিন।  তাই শুরু থেকেই আইবিএস ৱোগীদেৱ যত্ন নিয়ে চিকিৎসা করা উচিত। তাহলে অধিকাংশ রোগী  আইবিএস নামক অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে।

রোগীদের জ্ঞাতার্থে একটি কথা।  অধিকাংশ মানুষই  দুনিয়াতে আসেন প্রায় পুরোপুরি সুস্থ অবস্থায়। আর এই সুস্থ মানুষগুলো এক সময় অসুস্থ হয়ে যায়।  অসুস্থ অনেক রোগী প্রশ্ন করেন যে  আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাব তো?  আর কোন দিন তো এই অসুখ হবে না?  রোগীদের এমন প্রশ্ন বা চিন্তা করা কি ঠিক???  আমি বলব কখনই ঠিক নয়।  কারণ যে রোগটা আপনার কোন দিনই ছিল না, সেই রোগটা হয়েছে। এই ৱোগ থেকে আপনি পুরোপুরি মুক্তি লাভ করলেন।  কিন্তু আপনার জীবন দশায় আবার নতুন করে এই রোগ আরেক বার হবে না, বা হলেই কেন ভাববেন  আগের রোগ  ফিরে এসেছে???

#Easylifestyleandhomeo
#IBS

Read more →

জানুন, আইবিএস যেসব কারণে হয়ে থাকে।

যে কোন রোগের ক্ষেত্রে  আপনাৱ যদি রোগের কারণ বা  উৎস সম্পর্কে জানা থাকে। তাহলে সেই রোগের চিকিৎসা, মেইনটেনেন্স,  মন থেকে হতাশা দূর করে আত্মবিশ্বাস  অর্জন করা সম্ভব হয়।  তাই জানার বিকল্প নেই।  আজকে আমরা জানবো যে সব কারনে আইবিএস হতে পারে।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনো আইবিএস রোগের প্রাইমারি বা প্রাথমিক কারণ খুঁজে পায়নি। তবে সেকেন্ডারি অনেক বিষয় এ রোগ জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী বলে গবেষণায় পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে একটা বিষয় সাধারণ মানুষের জানা থাকা দরকার। সেটি হলো- মানবদেহের নার্ভ সিগন্যাল ও হরমোন ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টেস্টাইন ও ব্রেইনের মধ্যে গভীর সংযোগ বিদ্যমান। ওই সিগন্যালগুলো বাউয়েল ফাংসান ও লক্ষণসমূহকে প্রভাবিত করে। মানুষ যখন প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকে তখন নার্ভগুলো অত্যন্ত একটিভ বা কর্মদীপ্ত হয়ে যায়। ফলে ইন্টেস্টাইন বা অন্ত্রসমূহ সংবেদনশীল হয়ে  বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে।  

এ রোগের উল্লেখযোগ্য সেকেন্ডারি কারণসমূহ  হলো:
# মানসিক চাপ 
# বিভিন্ন খাদ্য হজম না হওয়া/এলার্জি 
# খাদ্যাভ্যাস হঠাৎ পরিবর্তন করা (অতিরিক্ত গরম কিংবা ঠাণ্ডা খাবার গ্রহণ) 
# অনিয়মিত খাদ্য সঠিক সময়ে গ্রহণ না করা
# দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখা এবং গ্যাসে পরিপূর্ণ হওয়া
# পরিমিত ঘুম না হওয়া
# পর্যাপ্ত পানি পান না করা
#  হঠাৎ বড় কোনো মানসিক আঘাত, ভয় বা শোক
# নার্ভাস সিস্টেমের দুর্বলতা বা অটোনমিক নার্ভ সিস্টেম ঠিকমত কাজ না করলে বাউলের মুভমেন্ট ঠিকমতো না হলে
# ভীষণ ক্রোধ এবং উদ্বেগ
#  কোলন বা মলাশয়ের মধ্যে অস্বাভাবিক গাঁজন প্রক্রিয়া
#  অতিরিক্ত অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার। যেমন- অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিডিপ্রেসান (বিষন্নতার জন্য), সরবিটল (ফলজাত চিনি যা দিয়ে সিরাপ জাতীয় ওষুধ তৈরি হয়), মেয়েদেৱ মাসিক ঋতু চলাকালীন হরমোনাল পরিবর্তন হয়ে ও হতে পাৱে।
 তাই আমরা  সামান্য সচেতন থেকে  উপরোক্ত কাৱণগুলো এড়িয়ে চলে  বিরক্ত কর এই ব্যাধি থেকে দূরে থাকতে পারি।

Read more →

এলোপ্যাথিতে আইবিএস কেন ভাল হয় না ?

এলোপ্যাথি অনেক ডাক্তারগণ আইবিএস রোগীকে সরাসরি বলে দেন যে আইবিএস চিকিৎসায় ভালো হয় না। অর্থাৎ রোগী এই রোগ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয় না। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে আধুনিক চিকিৎসা এলোপ্যাথিতে কেন আইবিএস ভালো হয় না? পুরোপুরি আইবিএস ভালো না হওয়ার কারণ কি? হ্যাঁ অবশ্যই এর পেছনে কারণ আছে। নিচে তা উল্লেখ করা হলো-
# আইবিএস রোগ সৃষ্টি হওয়ার পেছনে দায়ী কে, নির্দিষ্ট কারণ কি? আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনো এর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হোন নাই। তাই পুরোপুরি সুস্থ করার চিকিৎসা ও ঔষধ আবিষ্কার করতে ও সক্ষম হোন নাই। তবে কিছু ধারনা করেছেন যেমন দুশ্চিন্তা, ঘুম ঠিকমতো না হওয়া, অত্যাধিক ওষুধ গ্রহণের ফলে ভালো ব্যাকটেরিয়া কমে যাওয়া, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ না করা, অনিয়মিত জীবনযাপন ইত্যাদি কারণে আইবিএস হতে পারে।
# যেহেতু প্যাথলজিক্যাল কোন টেস্টে আইবিএস এর অস্তিত্ব ধরা পড়ে না। অর্থাৎ বৃহদান্ত্রের কোন কোষ বা কলার কোন পরিবর্তন হয় না। তাই এলোপ্যাথিতে এর নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই।
# এলোপ্যাথিতে বিভিন্ন রোগেৱ নির্দিষ্ট একের অধিক ঔষুধ আবিষ্কার হয়েছে। যার ফলে এলোপ্যাথি ডাক্তার গণ ঐই রোগের নির্দিষ্ট ঔষধ রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আইবিএস রোগ নির্মূলের জন্য কোন নির্দিষ্ট ওষুধ আবিষ্কার হয় নাই। কিন্তু সাময়িক কষ্ট উপশমের জন্য কিছু ঔষুধ আছে, যা এলোপ্যাথি ডাক্তার কোন আইবিএস রোগীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে থাকেন।
মূলত এই কারণগুলোর জন্যই এলোপ্যাথিতে আইবিএস রোগ পুরোপুরি নির্মূল হয় না।

Read more →

All posts

জেনে নিন, হোমিও চিকিৎসা কখন সেৱা ও সর্বোচ্চ কার্যকরী চিকিৎসা?

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ও জীবনযাপন নৱমাল ভাবে চলে।  কিন্তু হঠাৎ করেই যদি শরীরে কোন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তখন স্...