জেনাৱেল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

হৱমোন কি? মানব দেহে স্বচিত্র অবস্থান সহ বিভিন্ন হৱমোন গ্রন্থির নাম।


# হৱমোন---
হরমোন হচ্ছে এক প্রকার জৈব-রাসায়নিক তরল যা শরীরের কোনো কোষ বা গ্রন্থি থেকে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশে নিঃসরিত হয়। হরমোন হল একটি আভ্যন্তরীন উদ্দীপক। হরমোনের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অংশের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পরিবর্তনের সংকেত পাঠানো হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিপাকক্রিয়ার পরিবর্তনের জন্য অল্প একটু হরমোনই যথেষ্ট। এটি একটি রাসায়নিক বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে যা এক কোষ থেকে অপর কোষে বার্তা বহন করে। সকল বহুকোষীয় জীবই হরমোন নিঃসরণ করে। প্রাণীর ক্ষেত্রে বেশির ভাগ হরমোনই রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়।

Read more →

মানবদেহে হরমোন এর ব্যালেন্স ঠিক রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

 


শরীরের স্বাভাবিক কার্যাবলী ঠিক রাখতে হরমোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইন্সুলিন, ইস্ট্রোজেন, ডোপামিন, এফএসএইচ, টিএসএইচ ইত্যাদি জৈবিক রাসায়নিক উপাদান মেজাজ, চুলের বৃদ্ধি, ওজন, প্রজনন ক্ষমতা, মানসিক অবস্থা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে।
হরমোনের সঠিক সরবরাহ বজায় রাখতে শরীরের সকল গ্রন্থি একই তালে তাল মিলিয়ে কাজ করে। আর এর সামান্য ঘাটতিই স্বাস্থ্যগত জটিলতা ডেকে আনতে পারে যার জন্য ছুটতে হয় চিকিৎসকের কাছে, খেতে হয় ওষুধ।
এই ওষুধেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যা বয়ে আনতে পারে আরও বড় বিপদ।
তবে প্রাকৃতিক উপায়েও হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো সেই উপায়গুলো।

# স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তার প্রভাব শরীরে চোখে পড়বেই আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি। তাই গ্রন্থিগুলোর সক্রিয়তা যাতে অতিরিক্ত বা অতি সামান্য না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদানের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
সেখানে থাকতে হবে পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ভোজ্য আঁশ আর কমাতে হবে কার্বোহাইড্রেট এবং চিনির পরিমাণ। সেই সঙ্গে হরমোনের উৎপাদন বাড়াতে চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি।
‘ক্যাফেইন’ ও দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ করলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।
অপরদিকে ‘গ্রিন টি’ শরীরে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ সরবরাহের মাধ্যমে ‘ঘ্রেলিন’, ‘ইন্সুলিন’য়ের মাত্রা কমায় এবং শরীরে ‘কর্টিসল’ হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

# কম কিংবা বেশি খাওয়া: শরীরের চাহিদার তুলনায় কম কিংবা বেশি খাবার খাওয়ার কারণেও হরমোনে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল অতিরিক্ত খাওয়া কিংবা অতিসামান্য খাওয়ার কারণে ‘ইন্সুলিন’য়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, ‘কর্টিসল’য়ের উৎপাদন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। যা শরীরের বিপাকক্রিয়ার উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর তাই লিঙ্গ, বয়স এবং স্বাস্থ্য বিবেচনা করে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।


# নিয়মিত শরীরচর্চা: ব্যায়াম করলে শুধু শরীর গঠনই হয় না সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্যও বজায় থাকে। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের মধ্যে থাকলে শরীর সুঠাম হওয়ার পাশাপাশি ঝরবে বাড়তি চর্বি, উৎপাদন বাড়বে প্রদাহরোধক হরমোনের এবং ‘ইন্সুলিন’য়ের সংবেদনশীলতা বাড়বে।
অ্যারোবিকস’, ‘স্ট্রেংথ ট্রেইনিং’, ‘এন্ডুরেন্স ট্রেইনিং’ ইত্যাদি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর।
# মানসিক চাপ সামলান: ব্যস্ত জীবনযাত্রা, সময়ের সামঞ্জস্যতার অভাব ইত্যাদি মানসিক চাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আর শরীর যখন চাপে থাকে তখন হরমোনের উৎপাদন প্রক্রিয়াও শৃঙ্খলা হারায়। তাই নির্দিষ্ট রুটিন মেনটেন করে মানসিক চাপ সামলাতে হবে।
# পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের অভাব থাকলে মেজাজ খারাপ থাকে, তার পেছনে একটি বড় কারণ হরমোনজনীত সমস্যা। তাই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।

Read more →

মানবদেহের বিভিন্ন স্থানে সিস্ট এবং তা ভালো করার ঘরোয়া উপায়

 


# সিস্ট ত্বকের নীচে মসৃণ, গোলাকার এবং শক্ত গঠনের হয়। শরীরের যে কোনো স্থানে সিস্ট হতে পারে।
সিস্ট সাধারণত ইনফেকশনের জন্য, সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড ব্লক হয়ে গেলে, বাহ্যিক কোনো উপাদান প্রবেশ করলে এবং টক্সিনের কারণে হয়ে থাকে।
শরীরের টিস্যুর ভেতরে হয় সিস্ট এবং এর মধ্যে তরল বা আধা তরল পদার্থ থাকে।
কখনো কখনো সিস্ট ব্যথামুক্ত হয় এবং খুব ধীরে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এ সিস্ট যদি সংক্রমিত হয় তাহলে সিস্টে ব্যথা, চুলকানি বা জ্বলুনি হতে পারে। কখনো কখনো সিস্ট ফেটেও যেতে পাৱে।
সিস্ট যদি অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন- কিডনি, লিভার এবং অগ্নাশয়ে হয় তাহলে তা ছোট হয় এবং কোনো লক্ষণ প্রকাশ করেনা বলে বোঝাও যায় না। কিন্তু যদি ত্বকের নীচে হয় তাহলে তা চামড়ার নীচে বিশ্রী লাল ফোলা দেখায় যা স্পর্শ করলে নরম অনুভূত হয় এবং ব্যথা করে।
ত্বকের এই সিস্ট ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। সিস্ট ভালো করার ঘরোয়া প্রতিকারের উপায় –
** ইজি লাইফ স্টাইল & হোমিও**
(১) অ্যালোভেরা :
দিনে কয়েকবার অ্যালোভেরা জেল সিস্টের উপরে ঘষুন। এছাড়াও শরীর থেকে অপদ্রব্য বের হয়ে যাওয়ার জন্য এবং সিস্টকে সংকুচিত করার জন্য ১ কাপ অ্যালোভেরার জুস পান করুন।
# অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার :
সিস্ট থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার অত্যন্ত কার্যকরী। ত্বকের পিএইচ এর ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে, যে কোনো ইনফেকশন দূর করতে এবং চুলকানি ও জ্বালা-পোড়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার।
একটি তুলার বল অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে ভিজিয়ে নিয়ে সিস্টটি মুছে নিন। দিনে কয়েকবার এটা করুন। এছাড়াও ১ গ্লাস পানিতে ২ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।
# হলুদ :
সিস্ট দূর করতে চমৎকারভাবে কাজ করে হলুদ। ১ কাপ উষ্ণ দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন। এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং পরিপাকের উন্নতি ঘটায়। ভালো ফল পাওয়ার জন্য ১০ দিন হলুদ মেশানো দুধ পান করুন।


# মধু :
সাময়িক ভাবে ক্ষত ভালো করতে পারে মধু। ত্বকের নীচের সিস্ট ভালো করার জন্য মধুর প্রলেপ অত্যন্ত কার্যকরী।
গম ও ঘাস ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এর সাথে মধু মিশিয়ে সিস্টের উপর প্রলেপ দিন এবং একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। সারারাত এভাবে রেখে দিন। কিছুদিনের মধ্যেই খুব ভালো একটা ফল পাবেন।
** ইজি লাইফ স্টাইল & হোমিও**

Read more →

মেদযুক্ত শরীরের ওজন কমানোৱ খুব সহজ কৌশল।

 

ওজন কমানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন। না খেয়ে থাকাসহ বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেন অনেকে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করে যদি ওজন কমাতে না পারেন তাহলে আগের পরিকল্পনাগুলো ছেড়ে দিন। নিতে পারেন নতুন কোনো পদ্ধতি। আপনার খাওয়া কমিয়ে দিন। তবে কখনোই না খেয়ে থাকবেন না। আপনি ৩ বেলা খাবারকে ৫ বা ৬ বেলা করে খেতে পারেন। এর ফলে আপনার শরীরও আগের চেয়ে ভালো থাকবে

ওজন কমানোর তিনটি কার্যকরী উপায়।
১. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওজন বৃদ্ধি পায় এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা। বিশেষ করে চিনি এবং অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার। যখন আপনি ওজন কমাতে চাইবেন, তখন আপনার ক্ষুধার মাত্রা নিচে নামিয়ে আনুন। আপনার শরীরে জমে থাকা চর্বি কমাতে কাজ করুন। চর্বি কমানোর অন্যতম ভালো উপায় হলো পানি পান করা। বিশেষ করে হালকা গরম পানি। বেশি করে পানি খাওয়ার ফলে আপনার কিডনি ভালো থাকবে। এটি পেট মোটা হওয়া কমাবে।
এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে প্রথম সপ্তাহে ১০ পাউন্ড বা তারও বেশি ওজন কমানো সম্ভব। এতে আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী ওজন কমবে। এর ফলে আপনার কম ক্যালরিযুক্ত খাবারে অভ্যাস তৈরি হবে। সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিয়ে নিতে পারবেন। চর্বি কমানো এ পদ্ধতি সহজভাবেই আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। সবচেয়ে বড় কথা শর্করাজাতীয় খাবার এবং স্টেক খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
২. খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনুন। আপনার খাদ্যতালিকায় এমন খাবার যুক্ত করুন যাতে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনার খাবারের তালিকায় একটি প্রোটিনযুক্ত খাবার, একটি চর্বিযুক্ত এবং সবুজ শাকসবজি রাখুন। পুষ্টির এ উপকরণগুলো রেখে প্রতিদিন ২০ থেকে ৫০ গ্রাম রাখুন। আপনার খাবারের তালিকার প্রোটিনের উৎসগুলোও রাখুন। এগুলো হলো গরু ও মুরগির মাংস, চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ এবং ডিম। ওজন কমানোর সময় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া উচিত না।
উচ্চ প্রোটিন আছে এমন ৬০ শতাংশ খাবার বাদ দিলে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। রাতে ঘুমানোর আগে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করে ওজন কমালেও একটি জিনিস আপনাকে মানতে হবে। প্রোটিন হলো পুষ্টির রাজা। ফুলকপি, টমেটো, পাতাকপি, লেটুস পাতা, শসা ইত্যাদি কম কার্বনযুক্ত সবজি। আপনি কম কার্বনযুক্ত উপকরণ দিয়ে প্লেট ভর্তি করে ফেলেন। এ উপকরণগুলো দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ খাবার খেলেও ওজন বাড়বে না। মাংস, মাছ, সবজি, ভিটামিন এবং খনিজ খেলে আপনার শরীর ভালো থাকবে।
৩. ব্যায়াম করতে পারেন। এটি খুবই কার্যকর। সপ্তাহে আপনাকে দুই থেকে তিনবার জিমে যেতে হবে। শুধু গিয়ে বসে থাকলে হবে না। আপনাকে ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত ব্যায়ামগুলোও করতে হবে। যদি জিমে নতুন যাওয়া শুরু করেন তাহলে প্রথম দিনেই কষ্টকর ব্যায়াম করা উচিত নয়। এতে উল্টো ফল হতে পারে। তাই ব্যায়াম করার আগে প্রশিক্ষকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। তাহলে আপনি যার জন্য ব্যায়াম করবেন সেই ফলটা পাবেন।

Read more →

খুব সহজেই জন্মনিয়ন্ত্রণ- হোমিওপ্যাথিতে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন, ঝুকিমুক্ত ও স্বাস্থ্য সম্মত।

 

বিজ্ঞানের এই মহাজগতে দিন দিন নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির জন্য ও হরেক রকম প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে। হরেক রকমের পিল, কনডম, ইঞ্জেকশন, কপার টি, রিং সহ অসংখ্য পদ্ধতি। আৱ পদ্ধতিগুলোর বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তারপরও পরিবার পরিকল্পনার জন্য পদ্ধতি গুলো গ্রহন করতে হয়। কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত ও 99% ঝুকিহীন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। কিন্তু হোমিও সম্পর্কে/ হোমিও সেবা সবার দ্বারপ্রান্তে এখনো পৌঁছাতে পারেনি। যার ফলে হোমিওৱ এই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটা সবাই ব্যবহার করে না। তাই এত সহজ পদ্ধতি একবার ব্যবহার করে দেখেন।
হোমিওতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি করবেন যেভাবে- খুব অল্প খরচে, খুব সহজে, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন, ঝামেলাহীন হোমিওপ্যাথিৱ এই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। খাবার লবণ থেকে তৈরি এই ওষুধটিৱ নাম নেট্রাম মিউর। এই ওষুধটির 200 শক্তি ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পৱ দিন সকাল থেকে পরপর তিনদিন ওষুধ খেলেই সারা মাস আর চিন্তা নেই। ওষুধ চলাকালে এই তিন দিন স্বামী স্ত্রীর মিলন থেকে দূরে থাকতে হবে ও স্ত্রীকে কাঁচা লবণ ও তেঁতুল/টক জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। কোন পরিবার যতদিন কোন সন্তান নিতে ইচ্ছুক নয় । ঠিক ততদিনই উপরের নিয়ম অনুসারে প্রতি ঋতুর পৱ ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। একবার ওষুধ কিনলেই বছরের পর বছর চলে যাবে। এর চেয়ে সহজ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আর হতে পারে না। এ বিষয়ে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে কিংবা বুঝতে পারেন নাই। তাহলে পেজের ইনবক্সে সরাসরি নক দিবেন।
সহজ চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি
দূর হয় কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধি

Read more →

ঘুমের সমস্যা??? অতি সহজে ঘুমের সমস্যা দূর করতে হোমিও চিকিৎসা



সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকতে  প্রত্যেকটা প্রাণীরই ঘুমের বিকল্প নেই।  যাৱ  ঠিক মত রাতে ঘুম হয় না সে জানে যে ঘুমেৱ কত মূল্য। এক রাত ঘুম না হলে  সাৱাদিন  অসুস্থ অসুস্থ লাগে। কথায় বলে, যে মানুষ সারারাত খুব সুন্দর একটা ঘুম দিতে পারে সে সুখী মানুষ।  ঘুমের সমস্যা কমবেশি অনেকেরই হয়ে থাকে।  তবে সবচেয়ে বেশি  দেখা দেয় মধ্য বয়সী লোকদের মধ্যে।  কারণ এই সময় পরিবার ও পরিবারের লোকজনদের নিয়ে  নানান রকম চিন্তায় থাকেন।  তাছাড়া সব বয়সী লোকদের মধ্যে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়  বিভিন্ন কারণে।  তাই কারণ কে কেন্দ্র করে  ঘুমের সমস্যায় হোমিও চিকিৎসায়  বেশকিছু ভালো ৱিমিডি আছে।  যেমন:

#  প্যাসিফ্লোৱা-  যারা মানসিক পরিশ্রম  কিংবা বিভিন্ন মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে  রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে বা ভালো ঘুমাইতে পারেন না,  তারা এই ঔষুধের মাদার  দিনের বেলা 2/3 ডোজ খেলে রাতে ভালো ঘুম হবে।

# নাক্স ভোম-  অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রম বা অতিরিক্ত অধ্যায়ন কৱে  কিংবা অনিদ্রা বশত অসুস্থ হয়ে পড়েন।  ঘুমের জন্য ব্যাকুল অথচ ঘুম আসেনা।  ঘুম কেন আসে না এটাও একটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।  এজন্য রাগ ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।  এরূপ ক্ষেত্রে নাক্স খুব ভালো কাজ করে।

#  এভেনা স্যাটাইভা-  যে সমস্ত লোক মদ কিংবা নেশা না করলে ঘুম পায় না।  তাদের নেশাৱ অভ্যাস ত্যাগ করতে ও  ঘুমের জন্য এভেনা স্যাটাইভা।

#  কেলি ব্রোম-  যে সমস্ত মানুষ তাদের ছেলে মেয়ে, ধন-সম্পদ,  বংশের মান মর্যাদা  ইত্যাদি বৈষয়িক চিন্তা নিয়ে মাথায় ঘুরপাক খায়  এবং রাতের বেলা শুইলে এসব কথা বেশি মনে পৱে।  এমন লোকদের ঘুমের সমস্যা দূর করতে কেলি ব্রোম।

# ক্যালকেরিয়া কার্ব-  দারুন নিদ্রাহীনতায়  ভুগছেন কিংবা  যে সমস্ত যুবক যৌন উত্তেজনা বশত বা যৌন চিন্তার কারণে ঘুমাতে পারেন না,  তাদের জন্য  ঘুমের সমস্যা দূর করতে  ক্যালকেরিয়া কার্ব।

#  কলোসিন্থ-  পেটে জ্বালা যন্ত্রণা বা  শরীরের কোথাও  স্নায়ুশূল হওয়ার কারণে ঘুমাতে না পারলে কলোসিন্থ।

#  ক্যামোমিলা-  শিশুদের নিদ্রা জনিত কারণে ক্যামোমিলা খুব ভালো কাজ করে।  রাতে শিশুদের পেটের যেকোনো সমস্যায় কান্নাকাটি করলে বা অনিদ্রা হলে  ক্যামোমিলা  খুব সহজেই সমাধান দিতে পারে।

#  কার্সিনোসিন-  দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সমস্যা।   কোন কিছুতেই এই সমস্যার সমাধান হয় না।  সকল চিকিৎসায় যখন ব্যর্থ হতে চলেছে,  তখন কার্সিনোসিন আপনাকে নিরাশ করবে না।

তবে মানসিক ও শারীরিক দিক বিবেচনা করে ধাতুগত চিকিৎসা় সর্বোত্তম।  তাই ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ সেবন করা উত্তম।

#Insomonia
#ঘুমসমস্যা

Read more →

এক মিনিটেই ঘুমিয়ে যাওয়াৱ দাৱুণ কৌশল।

 



যাদের বিছানায় শুয়ে দীর্ঘসময়ে ও ঘুম আসতে চায়না।  ঠিক তাদের ক্ষেত্রে এই কৌশলটি কাজে লাগবে।
কর্মব্যস্ত দিনের শেষে বিছানায় গড়িয়ে লম্বা ঘুম। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের পর ফের চাঙ্গা হয়ে নতুন করে কাজে লেগে পড়া। এ স্বপ্ন আমরা অনেকেই দেখি। কিন্তু বাস্তবে আর তেমনটা হয়ে ওঠে না  সবার ক্ষেত্রে। বিছানায় শুয়েই সহজে ঘুম আসতে চায় না অনেকের। আর তার উপর স্মার্টফোনের নেশায় আসক্ত হলে তো আর কথাই নেই। ঘরের আলো নিভিয়েই দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোনের দিকে চেয়ে থেকে নষ্ট হয় আরও খানিকটা সময়। রাতে আবার অনেকেৱ বার বাৱ ঘুম ভেঙে যায়। তাহলে উপায়?  এ সমস্যা থেকে কিভাবে পরিত্রান পাওয়া যেতে পারে? আৱ  ঘুম না হওয়ার চিন্তা  যদি মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।  তাহলে তো ঐ রাত নির্ঘুম কাটাতে হয়। তাই বিছানায় শোয়ার মিনিট খানেকের মধ্যেই ঘুম আসার একটি অত্যন্ত সহজ কৌশল রপ্ত করে দেখতে পারেন।

একটি বিশেষ শ্বাসক্রিয়ার অভ্যাস  মনোযোগ সহকারে করে ফেলতে পারলেই তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যাবে। যে অভ্যাসের পোশাকি ভাষা ‘৪-৭-৮’। যাদের রাতে ঘুম আসে না তাদের জন্য এই সহজ উপায়ের পথ বাতলেছেন লেখক ডক্টর অ্যান্ড্রু ওয়েইল। ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘুমের দেশে পৌঁছে যেতে কীভাবে নিঃশ্বাস নিতে হবে?

লেখক জানান, প্রথমে নাক দিয়ে চার সেকেন্ড শ্বাস নিন। তারপর সাত সেকেন্ড শ্বাসক্রিয়া আটকে রাখুন। আর আগামী ৮ সেকেন্ড মুখ দিয়ে আস্তে করে  রিলাক্স মুডে নিঃশ্বাস ত্যাগ করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত ঘুম না আসে এভাবেই শ্বাসক্রিয়া চালান। বেশিক্ষণ না, মিনিট খানেকের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়বেন।

লেখকের মতে, এর ফলে হৃদপিণ্ডে কেমিক্যালের প্রভাব কমে যায়। আর তাতেই চটজলটি ঘুম এসে যায়।

আরেক লেখক আলিনা গোঞ্জালেজ বলছেন, “এমন অদ্ভুত অভ্যাসে যে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে, বিষয়টা প্রথমে আমার কিছুতেই বিশ্বাস হয়নি। একপ্রকার পরীক্ষা করতেই ট্রিকটা করে দেখি। কিন্তু পরের দিন সকালে উঠে মনেই করতে পারলাম না শেষ আট সেকেন্ডের পর আর জেগেছিলাম কিনা। এতটাই গভীর ঘুম এসে গিয়েছিল। এই টেকনিকটা যেন ড্রাগের মতো কাজ করল।” আসলে এভাবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিলে দেহ-মন দুইই শান্ত হয়ে যায়। আর উত্তেজনা থেকে আপনাকে অনেকখানি দূরে নিয়ে যায়। তাই রাতে নিশ্চিন্ত ভাল ঘুমের জন্য একবার ‘৪-৭-৮’ ট্রিকটি ট্রাই করেই দেখুন না। ওদের মত আপনিও নিমিষেই ঘুমের দেশে চলে যেতে পারেন।

#Insomonia
#Sleepingproblem
#ঘুমেৱসমস্যা

Read more →

অজ্ঞান/ মূর্ছা যাওয়া ৱোগীৱ কার্যকরী হোমিও চিকিৎসা।


আমাদের চারপাশে অনেক কেই  বিভিন্ন কারণে অজ্ঞান/ মুর্ছা যেতে দেখি।  কোন কারণবশত মূর্ছা গেলে হোমিওপ্যাথিতে এর খুবই কার্যকরী কিছু মেডিসিন আছে। যার মাধ্যমে খুব সহজেই  আমরা উপকৃত হতে পারি।  তবে কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে মাঝে মাঝে  মূর্ছা যায় মানে মৃগী রোগী হয়,  সে ক্ষেত্রে ধাতুগত চিকিৎসা উত্তম।  আজকে যে আলোচনাটা করব  তা হলো কারণ ভিত্তিক অজ্ঞান বা মূর্ছা যাওয়া রোগীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই মেডিসিন গুলো যে কেউ  খুব সহজে ব্যবহার করে  উপকৃত হতে পারেন।

# শোকে বারবার মূর্ছা যাওয়া- 

কারণ ভিত্তিক হোমিও চিকিৎসা ম্যাজিকের মতো ফল দেয়।  যেমন কেউ( মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়) যদি শোকের ( ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির মৃত্যু বা দুর্ঘটনা) কারণে বা শোক সইতে না পেরে বারবার মূর্ছা যায়। সে ক্ষেত্রে মূর্ছা যাওয়া রোগীকে ইগ্নেশিয়া 30  ঘন্টা অন্তর 2/3 বাৱ খাওয়াইলে দেখবেন শোক কাটিয়ে উঠে  রোগী  আৱ মূর্ছা যাবে না।

#  আনন্দে মূর্ছা যাওয়া-

মানুষ শুধু শোকে নয়, বড় রকমের আশ্চর্যজনক আনন্দেৱ খবরেও মূর্ছা যায়।  অকল্পনীয় কিছু সুখবরে কিছু মানুষ বেহুশ হয়ে যায়,  এরকম রোগীর ক্ষেত্রে কফিয়া ক্রুডা 30 ।

#  ভয় পেয়ে অজ্ঞান-

যারা একটু ভীতু স্বভাবের মানুষ  এবং কিছু লোকের হার্ট দুর্বল থাকে।  এরকম মানুষ ভয়ে শুধু অজ্ঞান হন না, অনেকে মারা যান।  হঠাৎ ভয় পেয়ে কেউ যদি অজ্ঞান হয়ে যায়  এবং দেখেন যে হাত পা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে, দাঁতের সাথে দাঁত লেগে আছে, মুখে ফেনা উঠছে।  তাহলে তাকে হাইড্রোসিয়ানিক এসিড 30  বিশ মিনিট অন্তর অন্তর 2/3 ডোজ  প্রয়োগ করুন দেখবেন রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছে।   আবার কিছু রোগী আছে দেখবেন সামান্য একটু ভয় পেলেই অজ্ঞান হয়ে যায়।  এদের ভয় কাটানোর জন্য  একোনাইট ন্যাপ 30 খাওয়াবেন। ইনশাল্লা ঠিক হয়ে যাবে।

#  আঘাতের কারণে অজ্ঞান-

যেকোনো কারণে শারীরিক আঘাত পেয়ে  বা দুর্ঘটনায়  আঘাত পেয়ে  অজ্ঞান হলে  আর্নিকা 30 ঘনঘন খাওয়ান।  এতে আঘাতের ব্যথা থেকে সে মুক্তি পাবে  এবং আঘাতের স্থানটি দ্রুত সেরে উঠবে।  তবে আঘাত পেয়ে যদি রক্তক্ষরণ হয়। আৱ রক্তক্ষরণ দেখে রোগী যদি অজ্ঞান হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে রোগীকে চায়না 3x ঘনঘন খাওয়াতে হবে।  এতে রোগী শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে এবং সুস্থ হয়ে যাবে।

#  তাপে অজ্ঞান হলে-

অনেক মানুষই আছেন যারা বেশি তাপে মানে সূর্যের তাপে বা আগুনের তাপে(Sun stroke/heat stroke)  সংজ্ঞা লোপ পায়। এসব ক্ষেত্রে কার্বোভেজ/গ্লোনইন-30 বিশ  মিনিট পর পর দুই তিন মাত্রাই যথেষ্ট।

এছাড়াও যে কোনো কারণে যদি কেউ  অজ্ঞান হয়ে যায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে  বিভিন্নভাবে চেষ্টা করার পরও সংজ্ঞা ফিরে না পায়।  এমন অবস্থায় এমিল নাইট্রেট এৱ  কয়েক ফোটা একটা পরিস্কার কাপড়ে  নিয়ে রোগীর নাকের সামনে ধরলে  শ্বাস/  ঘ্রাণ নেওয়ার মাধ্যমে  রোগী  সংজ্ঞা ফিরে পায়।

Read more →

দাঁত ব্যথা কমানোর কার্যকরী ঘরোয়া চিকিৎসা।



আমৱা  দৈনন্দিন জীবনে  ছোটখাটো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়।  যেমন মাথাব্যথা, কান ব্যথা, দাঁত ব্যথা, পেট ব্যাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ব্যথাৱ সম্মুখীন হয়।  এসব ক্ষেত্রে প্রথমেই আমরা ডাক্তারের কাছে যেতে চাই না। তাই আমৱা প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কিছু ঘরোয়া কার্যকরী চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারি।  যেমন হুটহাট করে অনেকেই  দাঁত ব্যথায় ভোগেন।  ঠিক তাদের জন্য আজকে ঘরোয়া দশটি   দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য কার্যকরী টোটকা-

1.    লবণের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। দাঁতে লাগিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট, দিনে কয়েকবার। দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।  ব্যথা কমে গেলেও কয়েকদিন এটা করুন। 

2.     এক কোয়া রসুন থেঁতলে নিয়ে অল্প একটু লবণ মিশিয়ে দাঁতে লাগান। বেশি যন্ত্রণা হলে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খান,  চমৎকার রেজাল্ট পাবেন।

3.   দুটি লবঙ্গ থেঁতো করে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। অথবা দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে ব্যথার স্থানে জিভ দিয়ে চেপে রাখুন।  দেখবেন ব্যাথা অনেক কমে গেছে।

4.     এক টুকরা কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে খেয়ে নিন।
যদি বেশি ঝাঁঝ লাগে তবে দাঁতের ওপর পেঁয়াজ চেপে রাখলে আরাম পাওয়া যাবে। 

5.    আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এক টেবিল চামচ  সরিষার তেল ও লবণেৱ সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। দু মিনিটেই ব্যথা শেষ। 

6.   দাঁত, মাড়ি, গলার ব্যথা কমাতে খুব ভাল কাজ করে লবণ পানি। এক গ্লাস অল্প গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন। 

7.    পেয়ারা পাতা দাঁত ব্যথায় দারুণ উপকারী। দুটি পেয়ারা পাতা চিবিয়ে ব্যথাওয়ালা দাঁতে চেপে রাখুন। আরাম পাবেন।

8.   তুলায় কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট নিয়ে দাঁতে চেপে ধরে রাখুন। 

9.   দূর্বা ঘাসের রস দাঁতের ব্যথা কমাতে পারে। এটা দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সহায়তা করে। 

10. সবশেষ উপায় হলো বরফ। হাতের কাছে কোনো কিছু না পেলেও যদি শুধু বরফ পাওয়া যায়, তবে কাজ হবে। এক টুকরা বরফ তুলা বা কাপড়ে মুড়ে দাঁতে চেপে রাখুন, ব্যথা কমতে থাকবে।
#দাঁত
#Dental

Read more →

আইটিপি (ITP) কি/কেমন ধৱনেৱ ৱোগ? এৱ প্রাথমিক লক্ষণ ও চিকিৎসা।



আইটিপি (ITP)  হলো মানবদেহের রক্তের ইমিউন সিস্টেমেৱ ডিজঅর্ডার বা ৱোগ। এৱ  পূর্ণাঙ্গ অর্থ হলো আইডিওপ্যাথিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পুরপুরা বা ইমিউন  থ্রম্বোসাইটোপেনিক পুরপুৱা। আইটিপি রক্তের একধরণের রোগ যার ফলে রক্তের প্লাটিলেট ( অনুচক্রিকা)  ইমিউন সিস্টেমের  দ্বাৱা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে সংখ্যায় কমে যায়। একজন সুস্থ মানুষের রক্তে  প্লাটিলেট এর সংখ্যা 150000- 400000 থাকে।  কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হলে  দেখা যায়  স্বাভাবিক সংখ্যার চাইতে অনেক নিচে 10000- 15000 নেমে আসে। এর কোনো চিকিৎসাযোগ্য কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এই রোগ রক্তের প্লাটিলেটেৱ সংখ্যার উপর প্রভাব ফেলে কিন্তু তাদের কাজের উপর নয়।

# আইটিপি ৱোগেৱ লক্ষণ-
আইটিপি হলে একজন রোগীর দেহে  রক্তের প্লাটিলেট বা অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যায়।  প্রথমে আমাদেৱ জানতে হবে প্লাটিলেট বা অনুচক্রিকার ৱক্তে ভূমিকা কি? এই উপাদানটি সাৱা দেহে রক্তচলাচলের সহায়তা করে  এবং কোন় স্থানে যদি ক্ষত বা কেটে যায় সেখানে রক্ত জমাট বেধে  রক্ত পড়া বন্ধে সাহায্য করে।   নিম্নে আইটিপি রোগের কিছু লক্ষণ দেওয়া হল-

*  শরীরেৱৱ  যেকোনো স্থান থেকে খুব সহজে রক্ত বের হওয়ার প্রবণতা থাকে।  যেমন চোখ, কান, মুখ।

*  খুব ছোট্ট ক্ষত বা কেটে গেলে তা থেকে অনেক রক্ত বের হয়  এবং তা সহজে বন্ধ হতে চায় না।

*  ৱোগী সকালে ঘুম থেকে উঠলে  জিহ্বায় রক্তের স্বাদ পায়।

*  শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ার নিচে  রক্তের দাগ বা ৱাশ  দেখতে পাওয়া যায়।

*  প্রসাবের সাথে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে পারে।

*  থুথুর সাথে রক্ত আসে।  দাঁতের মাড়ি থেকেও  রক্ত বের হয়।

# আইটিপি রোগের চিকিৎসা: যেহেতু এটি একটি ইমিউন সিস্টেম এর রোগ।  তাই এই রোগ থেকে পুরোপুরি পরিত্রান পাওয়ার কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো পৃথিবীতে আবিষ্কার হয়নি।  তবে ইমিউন সিস্টেমকে  কিছু মেডিকেশন এর মাধ্যমে দুর্বল করে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চিকিৎসার মাধ্যমে  নিয়ন্ত্রণ রেখে রোগী স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন।

     ক্লাসিকাল হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে আইটিপি রোগের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব এবং ভাগ্য প্রসন্ন হলে পুরোপুরি  সুস্থ হতে পারে ( যদিও সম্ভাবনা খুবই কম)।  হোমিও চিকিৎসায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই বললেই চলে।  তাই হোমিও চিকিৎসায় আইটিপি রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে আর্থিক  দিক থেকেও সাশ্রয়।  কারণ এলোপ্যাথি চিকিৎসায় এটা খুবই  ব্যয়বহুল।

#EasyLifestyleandHomeo
#ClassicalHomeo
#ITP
#আইটিপি

Read more →

ক্যান্সার কি? মানব দেহে ক্যান্সার কিভাবে সৃষ্টি হয় বা কারণ গুলো কি কি??



   ক্যান্সার: মানবদেহ অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষ দ্বারা গঠিত। সুস্থ’ দেহে এ কোষগুলো নিয়মিত ও সুনিয়ন্ত্রিত কোষবিভাজন পদ্ধতির মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয় রোধ করে। কিন্তু কোন কারণবশত এৱ  অনিয়ম বা অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন শুরু হয়,  তখন ওই অঙ্গে ক্যান্সার দেখা দেয়।

## ক্যান্সার যেভাবে মানবদেহে বাসা বাঁধে বা সৃষ্টিৱ পেছনে কারণ গুলো-

# কারসিনোজেনের প্রভাব:
যেসব ভৌত ও রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি হয় তাদের কারসিনোজেন বলে।

*   ভৌত পদার্থ: অতিবেগুনি রশ্মি বা আলট্রা ভায়োলেট রে থেকে ত্বকে ক্যান্সার হয়। তাছাড়া ও আছে এক্স রশ্মি, গামা রশ্মি, কসমিক রশ্মি  প্রভৃতি।

*   রাসায়নিক পদার্থ:

কোলটার- ত্বক ও ফুসফুস এর ক্যান্সার

সিগারেট ধোঁয়া- ফুসফুসের ক্যান্সার

ক্যাডমিয়াম অক্সাইড- প্রস্টেট গ্রন্থিতে ক্যান্সার

আলফাটক্সিন- যকৃতের ক্যান্সার

বেনডিজাইন- মূত্রথলির ক্যান্সার

ডাইইথাইলস্টিবেটরল- ভ্যাজাইনার ক্যান্সার

ভিনাইল ক্লোরাইড- যকৃতের ক্যান্সার।

# অঙ্কোভাইরাস: ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ভাইরাসকে  অঙ্কোভাইরাস বলে।

* হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (ডিএন‌এ) - যকৃতের ক্যান্সার

*  হারপিস ভাইরাস (ডিএন‌এ)- ক্যাপোসিস সারকোমা

* রেট্রোভাইরাস HTLV- 1(আর‌এন‌এ)- টি সেল লিউকেমিয়া ‌

# অঙ্কোজিন: আমাদের দেহে প্রোটোঅঙ্কজিন থাকে যা স্বাভাবিক কোশ বিভাজন ও প্রোটিন সংশ্লেষ নিয়ন্ত্রণ করে। মি‌উটেশনের ফলে প্রোটোঅঙ্কজিন, অঙ্কজিনে পরিণত হয় যার ফলে স্বাভাবিক কোষ ক্যান্সার কোশে পরিণত হয়।

* C-myc অঙ্কজিন- স্তন ও ফুসফুসের ক্যান্সার।

* ABLঅঙ্কজিন- ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া।

* টিউমর সাপ্রেসর জিন:
এই জিন শরীরে টিউমর সৃষ্টি হতে দেয় না। কিন্তু এই জিনের মিউটেশন হলে এটি আর টিউমর তৈরিতে বাধাদান করতে পারে না। মানবদেহের ৫ম ক্রোমোজোম জোড়ায় অবস্থিত এপিসি (APC) এরকমই একটি জিন যার মিউটেশন হলে অন্ত্র ও মলাশয়ের ক্যান্সার দেখা যায়।

# জিনগত কাৱণ:  পরিবাৱে  কারো ক্যান্সার থাকলে  পরবর্তী প্রজন্মেৱ  যেকারোৱ  জিনগত কারণে ক্যান্সার দেখা দিতে পারে।

#EasyLifestyleandHomeo
#ClassicalHomeo

Read more →

জানুন,খাবারেই লুকিয়ে আছে যৌন সমস্যার সমাধান।




বর্তমান যুগে যৌন সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে অনেকেৱ  মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন অনেকেই। এদের মাঝে শতকরা ৯৯ ভাগই পুরুষ। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সকলেই কমবেশি একই ধরনের সমস্যার কথা বলেন এসময়। প্রত্যেকেই মনে করেন তার সমস্যা আর কারো হয় না এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি নেই। তখন দু:চিন্তার কারণে শারীরিক সমস্যার থেকে বড় হয়ে দেখা দেয় মানসিক সমস্যা। অথচ কিছু সাধারণ খাবারেই আছে অধিকাংশ যৌন সমস্যার ভালো সমাধান।

সমস্যায় পড়লে আমরা ওষুধের মাঝে মুক্তি খুঁজি, অথচ আশেপাশের কত খাবারে যে রয়েছে যাদুকরী কেরামতি সেটা আমরা অনেকেই জানি না।

সবুজ শাকপাতা দিয়ে শুরু করা যাক। দেশি সবুজ শাক, পালং শাক, লাল শাক ইত্যাদি পাতা অবহেলা করবেন না। ব্রুকলি, স্পিনেচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি এসব সবজিতে রয়েছে ভিটামিন বি সহ অন্যান্য এন্টি অক্সিডেন্ট যেগুলো সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অপরিহার্য।

ডিম খাবেন। ডিমে পাবেন শরীরের বৃদ্ধির জন্য আমিষ এবং বিভিন্ন ভিটামিন। সুস্থ যৌন জীবন যাপনে আমিষের প্রয়োজন রয়েছে। আমিষ ছাড়া দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয় পূরণ হয় না।

প্রতিদিন ফল খেতে হবে। দেশি টক ফল খেতে পারেন। লেবু, বাতাবি লেবু, কমলা লেবু, মাল্টা ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল প্রয়োজন প্রতিদিন। গরমের দিনে খাবেন তরমুজ। তরমুজে রয়েছে মহা উপকারী এক রাসায়নিক সিট্রুলিন; পুরুষের জন্য যার ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত। দেশি জাম, বিদেশি স্ট্রবেরি ইত্যাদি ফলেও রয়েছে এধরণের গুণাবলীচা পান করবেন প্রতিদিন। দিনে এক বা দুই কাপ চা পান করলে দেহে প্রবেশ করে বিভিন্ন এন্টি অক্সিডেন্ট, যা পুরুষের নানা সমস্যার সমাধানে সিদ্ধহস্ত।

পুরুষের সক্ষমতার পেছনে জিঙ্ক বা দস্তার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। মাংসে পাবেন জিঙ্ক। অনেকেই খাবারের মেনু থেকে প্রাণীজ আমিষ তথা মাংস বাদ দিয়ে দেন, এটা ঠিক না। মাংস খাবেন পরিমিত পরিমাণে। এর সাথে সুষম খাদ্য দুধ পান করবেন। দুধেও পাবেন জিঙ্ক।

নিয়মিত বাদাম খাওয়া খুব ভালো একটা অভ্যাস। বাদামের তেল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। এটা পুরুষদের জন্য খুব উপকারী। দেশি বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি যেকোনো বাদামেই এই উপকার পাবেন। বাদামে  আরো রয়েছে ভিটামিন ই যার সুনাম রয়েছে বার্ধক্যের সাথে যুদ্ধে।

সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ জীবনের অন্যতম উপাদান। জাতীয় মাছ ইলিশ এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডে ভরপুর, অন্যান্য সামুদ্রিক মাছেও পাবেন প্রচুর পরিমাণে এই তেল। মাছে আরো রয়েছে আরজিনিন নামে একধরনের যৌগ যার একটি কাজ হচ্ছে পুরুষদের সক্ষমতায় সহায়তা করা।

চকোলেটের মাঝে ডার্ক বা কালো রঙের চকোলেটে রয়েছে ফেনথায়লামিন নামের রাসায়নিক পদার্থ যা শরীরে বাড়তি উদ্দিপনা যোগায়।

Read more →

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া প্রাকৃতিক টনিক হোমিও চিকিৎসায় ওজন বৃদ্ধি করে সহজে মোটা হোন।



যাদের বয়স ও শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন অনেক কম, খুবই শুকনা,  শীর্ণ দেখায়,  কোন পোশাক পরিচ্ছদে মানানসই হয় না,  বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়-স্বজন সবসময়ই রোগা বলে টিটকাৱী কৱে,  তাদের ক্ষেত্রে মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে।  আসলে তাদের একটু মোটা হওয়া উচিত।  কারণ  স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং বিভিন্ন রোগ  বেশি হওয়ার প্রবণতা থাকে।  তাছাড়া ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই প্রত্যেকটা মানুষেরই উচিত বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিক ওজন ধৱে রাখা।  স্বাভাবিক ওজন থাকলে সেই মানুষটি  কাজকর্ম, পড়াশোনা, মন মানসিকতা সহ সবদিক থেকেই ফিট থাকে। এ সমস্ত মানুষের রোগবালাইও খুব কম হয়। ফলে জীবনের গতি একটি ছন্দময়ে চলে।  পাতলা মানুষ মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে থাকে। তবে এমন কোন পথ  অবলম্বন কৱা উচিত নয়, যে পথে মোটা হওয়ার  কারনেই আপনি আপনার শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে  রোগ বাসা বাঁধে বা  মৃত্য ঝুঁকি বাড়ে।  এজন্য ধীরগতি হলেও প্রাকৃতিক উপায়ে  ওজন বৃদ্ধি করতে হবে।

# মোটা হওয়ার জন্য করণীয়-  মোটা হতে চাইলে সর্বপ্রথম শরীরেৱ ওজন স্বাভাবিক না হওয়ার পিছনে কোন  প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা খুঁজে বের করতে হবে।   যেমন: 

*   পূর্বে মোটা ছিলেন কিন্তু কোন রোগ হওয়ার পর থেকে তিনি পাতলা।

*    মানবদেহের  সকল কার্যক্রম স্বাভাবিকেৱ জন্য হরমোনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই হরমোনের কোন তারতম্য আছে কিনা তা নিরূপণ করতে হবে।

*  বংশানুক্রমিক ভাবে তিনি  শীর্ণ, পাতলা কি না?

*   পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য, পানি পান কৱেন কি না

*   নিদ্রার কোন সমস্যা আছে কি না

*   বর্তমানে কোন রোগে আক্রান্ত আছে কি না?

যদি এগুলো প্রতিবন্ধকতা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আগে সমাধান করতে হবে।

# প্রাকৃতিক ও হোমিও টনিক এর মাধ্যমে সহজে মোটা হওয়ার উপায়-  প্রাকৃতিক ও হোমিও টনিক বা চিকিৎসার মাধ্যমে মোটা হতে হলে হয়তো একটু সময় লাগবে।  কিন্তু এটি হবে চিরস্থায়ী  এবং সম্পূর্ন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া।  এজন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

প্রথমত: আপনাকে সময়মত তিনবেলা সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আমিষ ও শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।  কারণ আমিষ আপনার শরীরের পেশী গুলো গঠন করবে  এবং শর্করা শরীরের ওজন বৃদ্ধি করবে। সাথে কমপক্ষে 4 থেকে 5 লিটার পানি পান করতে হবে।

দ্বিতীয়তঃ  খেলাধুলা বা শরীর চর্চার মাধ্যমে মনকে প্রফুল্ল করতে হবে।  চিন্তা ভাবনা মুক্ত  ও  সর্বদা হাসিখুশি থাকতে হবে।

তৃতীয়তঃ  পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও কমপক্ষে ছয়-আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

চতুর্থতঃ  সাথে কিছু  প্রাকৃতিক হোমিও টনিক যেমনঃ আলফালফা Q,   এভেনা স্যাটাইভা Q,  ফাইভ ফস 6x থেকে খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে  এবং শরীরেৱ শক্তি  ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।  হোমিও  চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়া উত্তম।

Read more →

খুব সহজে বাড়িতে বসেই ঘরোয়াভাবে প্রেগনেন্সি টেস্ট কৱুন বিনা খৱচে।



কোন বিবাহিত নারী তার মাসিকের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর এই চিন্তায় পড়েন তিনি অন্তঃসত্ত্বা কিনা? আসলেই কি তিনি মা হতে চলেছেন? তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনেক সময় ডাক্তারের নিকট যেতে হয়। তো ডাক্তারের নিকট আগেই না গিয়ে বাড়িতেই ঘরোয়াভাবে এই টেস্ট করা যায় খুব সহজে বিনা খরচে। আসলে কোন নাৱী গর্ভধারণ কৱলে শরীরে বিটা এইচসিজি নামে একটি হরমোন তৈরি হয়। যার উপস্থিতি প্রস্রাবেও নির্ণয় করা যায়। তাই বাড়িতে থাকা টুথপেস্ট বা ভিনেগার দিয়ে খুব সহজেই পরীক্ষা করা যায়

# টুথপেয়স্ট: টুথপেস্ট সবার বাড়িতেই থাকে। তাই আপনি গর্ভবতী কিনা এটা বুঝতে সবচেয়ে সহজে এবং ঘরোয়া ভাবে পৱিক্ষা কৱে নিতে পাৱেন এই টুথপেস্ট দিয়ে। একটি পরিষ্কার কন্টেইনারে আপনার সকালের ইউরিনের সাথে অল্প কিছু টুথপেস্ট মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন। যদি ইউরিন নীল রং ধারণ করে অথবা ফেনা উঠে যায় তবে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী। তবে হ্যাঁ অব্যশই সাদা টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন।

# ভিনেগাৱ: ভিনেগার দিয়ে খুব সহজেই পরীক্ষা করা যায়। সকালের প্রথম ইউরিনের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। যদি এর রং পরিবর্তন হয় তবে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী। আর যদি কোন রং পরিবর্তন না হয় তাহলে আপনি গর্ভবতী না।

Read more →

জেনে নিন, শীতকালে কেন পা ফাটে? খুব সহজেই এৱ থেকে মুক্তিৱ উপায় ও সহজ হোমিও চিকিৎসা।


কম বেশি সব জায়গাতেই শীত পড়ে গেছে। আর পৌষ মাস মানে শীতকাল । তাই শীতে অনেকেৱই পা ফাটার সমস্যা শুরু হয়ে গেছে । মুখ বা চুলের যত্ন নেওয়ার মতো পায়ের পাতাও কিন্তু যত্নের দাবিদার। এখন থেকেই যত্ন নিলে পুৱো শীতের সময় পা ফাটার বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।

# শীতকালে কেন পা ফাটে??

পা ফাটা ত্বকের ধরনের ওপর নির্ভর করে না। বরং ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৩ ও ভিটামিন ই–এর ঘাটতি, অতিরিক্ত ওজন, খোলা জুতা ব্যবহার, শুষ্ক ত্বক, একজিমার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়াও যাদের হাতে পায়ের তালু একেবারে ঘামেনা।

# পা ফাটা থেকে সহজে মুক্তির উপায়-

অতিরিক্ত পা ফাটা কমাতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে গোড়ালিতে পুরু করে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। পাতলা মোজা পরে নিতে হবে। এতে পায়ের ত্বক আর্দ্রতা পাবে। আবাৱ বহুল প্রচলিত প্রত্যেকদিন গোসলের পর নাভিতে এক ফোঁটা অলিভ অয়েল দেওয়া ত্বকের ফাটা রোধ করে।

# পা ফাটাৱ সহজ হোমিও চিকিৎসা-

সাধারণত পা ফাটার জন্য কেউ তেমন চিকিৎসা নেয়না। কিন্তু পা ফাটার কারণে যাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয় তাদের অবশ্যই চিকিৎসা নেওয়া উচিত-

* স্যানিকিউলা- যাদের মাথা ঘামে কিন্তু পা ঘামে না। পায়ের তালু জ্বালা কৱে। রাতে মাথা ঢেকে রাখে কিন্তু পা বাহির কৱে ৱাখে। এমন লক্ষণযুক্ত পা ফাটার রোগীর জন্য স্যানিকিউলা।

* পেট্রলিয়াম- শীতকালীন পা ফাটার একটি চমৎকার ঔষধ পেট্রলিয়াম। প্রত্যেক শীত কালে ভীষন ভাবে হাত-পা ফাটে। ফাটা অনেক গভীর ও হালকা রক্তপাত হতে দেখা যায়।  ফাটা স্থান খুব ব্যাথা হয় ও চুলকায়
পদতলে প্রচুর দূর্গন্ধ যুক্ত ঘাম হয়।শীত কালে চর্মপীড়ার বৃদ্ধি।পেট্রলের ধোয়ার গন্ধ ভাল লাগে।

* গ্রাফাইটিস- চর্মৱোগেৱ আৱেকটি  গুরুত্বপূর্ণ হোমিও ঔষধ গ্রাফাইটিস। এৱ
ধাতুগত বৈশিষ্ট হল- মোটা চটা ফাটা (Fair, Flabby, Fatty) । শরীরে ঘাম হয় না বললেই চলে। এজন্য পায়ের গোড়ালী সহ সাৱা শৱীৱ ফেটে যায়। ফেটে যাওয়া জায়গা চুলকায় ও ব্যাথা হয়।
শীতকালে রোগ লক্ষণ বাড়ে।

* সালফার- গাত্র চর্ম নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন। হাত পা ও মাথার তালু ব্জালা। চর্মরোগ প্রবন শরীর।গোসলে রোগ লক্ষণ বাড়ে। পায়ের ফাটা জায়গা খুব চুলকায়। অনেক সময় রক্তপাত হয়। এমন লক্ষণে সালফাৱ।

* এগাৱিকাস- যাদের নাক, ঠোঁট, ঠোটের কোনা, চোখের পাতা ও কোনা, গাল লাল হয়ে    থাকে ও চুলকায় এবং শীতকালে পা ফেটে যায় ও অনেক কষ্ট হয়। ঠিক এমন রোগীর জন্যই এগারিকাস।

#পাফাটা
#ইজিলাইফস্টাইলহোমিও

Read more →

জানেন কি?? ইফতার কিংবা যে কোন সময় অতিরিক্ত পানি পানে শরীর নিস্তেজ হয়, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে? Easy Lifestyle & Homeo

আমাদের শরীর থেকে যখন  অনেক ঘাম হয়  কিংবা দীর্ঘ সময় পানি পান না করায়  বেশ তেষ্টা পায়( রমজান মাসে ইফতারের সময়)। তখন আমরা ইচ্ছামতো পানি পান করে তেষ্টা মেটায়।  এটা মোটেও ঠিক নয়। কাৱণ আপনি যদি অল্প সময়ে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার হাইপোনাট্রামিয়া দেখা দিতে পারে। এর ফলে রক্তে সোডিয়ামের ঘনত্ব কমতে থাকবে।  আর সোডিয়ামের ঘনত্ব অতিরিক্ত কোমে যাওয়া মানে বিপদের আশঙ্কা।

পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  বলা হয়ে থাকে পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু জানেন কি প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি পান করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে?

তাহলে মনে প্রশ্ন আসতে পারে কতটুকু পানি পান করলে সঠিক হবে আর কতটুকুতে সেটা অতিরিক্ত হবে? মানুষের শারীরিক অবস্থা, বয়স ও জীবনযাপনের ওপর নির্ভর করে কতটুকু পানি খাওয়া তার জন্য নিরাপদ?

পানি আমাদের কিডনির জন্য খুব উপকারী। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কিডনি  প্রতি ঘণ্টায়  প্রায় ১ লিটার পানি নিঃসরণ করতে  সক্ষম। এখন আপনি যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি পান করে ফেলেন তাও কিডনি ১ লিটারই নিঃসরণ করবে। তাহলে অতিরিক্ত পানিটুকু আপনার  শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হচ্ছে নাকি?? 

এছাড়াও আপনি যদি অল্প সময়ে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার হাইপোনাট্রামিয়া দেখা দিতে পারে। এর ফলে রক্তে সোডিয়ামের ঘনত্ব কমতে থাকবে। আর সোডিয়ামের পরিমাণ মাত্রারিক্ত কমে গেলে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে। আর রক্তক্ষরণ থেকে কোমা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে 2- 4 লিটার পানি একসাথে একই সময়ে পান না কৱে অল্প অল্প করে সময় নিয়ে বেশি বাৱে পান করুন। অতিরিক্ত কম পানি পান কিংবা বেশি পানি পান করাৱ  অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করুন।

#EasyLifestyleandHomeo
#ClassicalHomeo

Read more →

All posts

জেনে নিন, হোমিও চিকিৎসা কখন সেৱা ও সর্বোচ্চ কার্যকরী চিকিৎসা?

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ও জীবনযাপন নৱমাল ভাবে চলে।  কিন্তু হঠাৎ করেই যদি শরীরে কোন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তখন স্...