হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় পাইলস/ অর্শ, ফিস্টুলা, হার্নিয়া, মৃগী,ITP, IBS, IBD, এইচ পাইলোরি,হেপাটাইটিস , লিভার ও স্তন ক্যান্সার, পিত্তথলি ও কিডনি পাথর, সিস্ট, , বাত-ব্যথা, সায়েটিকা ও হাঁড়ের ব্যথা, যৌনসমস্যা, বীর্যপাতলা, দ্রুত বীর্যপাত, জরায়ুতে ফাইব্রয়েড, ওভারিয়ান ,চকলেট সিস্ট, অনিয়মিত ঋতু, বন্ধ্যাত্ব, স্তনে চাকা, টিউমার,আচিঁল, হাঁপানি/এ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, পলিপাস, নাক বন্ধ, শিশুর নিউমোনিয়া,চর্মরোগ, সোরাইসিস, চুলকানি,এলার্জি ভেরিকোসিল ও যেকোন মানসিক ৱোগী সুস্থ হয় । হোমিও চিকিৎসা নিন, সুস্থ থাকুন।
সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকতে প্রত্যেকটা প্রাণীরই ঘুমের বিকল্প নেই। যাৱ ঠিক মত রাতে ঘুম হয় না সে জানে যে ঘুমেৱ কত মূল্য। এক রাত ঘুম না হলে সাৱাদিন অসুস্থ অসুস্থ লাগে। কথায় বলে, যে মানুষ সারারাত খুব সুন্দর একটা ঘুম দিতে পারে সে সুখী মানুষ। ঘুমের সমস্যা কমবেশি অনেকেরই হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় মধ্য বয়সী লোকদের মধ্যে। কারণ এই সময় পরিবার ও পরিবারের লোকজনদের নিয়ে নানান রকম চিন্তায় থাকেন। তাছাড়া সব বয়সী লোকদের মধ্যে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় বিভিন্ন কারণে। তাই কারণ কে কেন্দ্র করে ঘুমের সমস্যায় হোমিও চিকিৎসায় বেশকিছু ভালো ৱিমিডি আছে। যেমন:
# প্যাসিফ্লোৱা- যারা মানসিক পরিশ্রম কিংবা বিভিন্ন মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে বা ভালো ঘুমাইতে পারেন না, তারা এই ঔষুধের মাদার দিনের বেলা 2/3 ডোজ খেলে রাতে ভালো ঘুম হবে।
# নাক্স ভোম- অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রম বা অতিরিক্ত অধ্যায়ন কৱে কিংবা অনিদ্রা বশত অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘুমের জন্য ব্যাকুল অথচ ঘুম আসেনা। ঘুম কেন আসে না এটাও একটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য রাগ ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এরূপ ক্ষেত্রে নাক্স খুব ভালো কাজ করে।
# এভেনা স্যাটাইভা- যে সমস্ত লোক মদ কিংবা নেশা না করলে ঘুম পায় না। তাদের নেশাৱ অভ্যাস ত্যাগ করতে ও ঘুমের জন্য এভেনা স্যাটাইভা।
# কেলি ব্রোম- যে সমস্ত মানুষ তাদের ছেলে মেয়ে, ধন-সম্পদ, বংশের মান মর্যাদা ইত্যাদি বৈষয়িক চিন্তা নিয়ে মাথায় ঘুরপাক খায় এবং রাতের বেলা শুইলে এসব কথা বেশি মনে পৱে। এমন লোকদের ঘুমের সমস্যা দূর করতে কেলি ব্রোম।
# ক্যালকেরিয়া কার্ব- দারুন নিদ্রাহীনতায় ভুগছেন কিংবা যে সমস্ত যুবক যৌন উত্তেজনা বশত বা যৌন চিন্তার কারণে ঘুমাতে পারেন না, তাদের জন্য ঘুমের সমস্যা দূর করতে ক্যালকেরিয়া কার্ব।
# কলোসিন্থ- পেটে জ্বালা যন্ত্রণা বা শরীরের কোথাও স্নায়ুশূল হওয়ার কারণে ঘুমাতে না পারলে কলোসিন্থ।
# ক্যামোমিলা- শিশুদের নিদ্রা জনিত কারণে ক্যামোমিলা খুব ভালো কাজ করে। রাতে শিশুদের পেটের যেকোনো সমস্যায় কান্নাকাটি করলে বা অনিদ্রা হলে ক্যামোমিলা খুব সহজেই সমাধান দিতে পারে।
# কার্সিনোসিন- দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সমস্যা। কোন কিছুতেই এই সমস্যার সমাধান হয় না। সকল চিকিৎসায় যখন ব্যর্থ হতে চলেছে, তখন কার্সিনোসিন আপনাকে নিরাশ করবে না।
তবে মানসিক ও শারীরিক দিক বিবেচনা করে ধাতুগত চিকিৎসা় সর্বোত্তম। তাই ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ সেবন করা উত্তম।
#Insomonia
#ঘুমসমস্যা
যাদের বিছানায় শুয়ে দীর্ঘসময়ে ও ঘুম আসতে চায়না। ঠিক তাদের ক্ষেত্রে এই কৌশলটি কাজে লাগবে।
কর্মব্যস্ত দিনের শেষে বিছানায় গড়িয়ে লম্বা ঘুম। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের পর ফের চাঙ্গা হয়ে নতুন করে কাজে লেগে পড়া। এ স্বপ্ন আমরা অনেকেই দেখি। কিন্তু বাস্তবে আর তেমনটা হয়ে ওঠে না সবার ক্ষেত্রে। বিছানায় শুয়েই সহজে ঘুম আসতে চায় না অনেকের। আর তার উপর স্মার্টফোনের নেশায় আসক্ত হলে তো আর কথাই নেই। ঘরের আলো নিভিয়েই দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোনের দিকে চেয়ে থেকে নষ্ট হয় আরও খানিকটা সময়। রাতে আবার অনেকেৱ বার বাৱ ঘুম ভেঙে যায়। তাহলে উপায়? এ সমস্যা থেকে কিভাবে পরিত্রান পাওয়া যেতে পারে? আৱ ঘুম না হওয়ার চিন্তা যদি মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। তাহলে তো ঐ রাত নির্ঘুম কাটাতে হয়। তাই বিছানায় শোয়ার মিনিট খানেকের মধ্যেই ঘুম আসার একটি অত্যন্ত সহজ কৌশল রপ্ত করে দেখতে পারেন।
একটি বিশেষ শ্বাসক্রিয়ার অভ্যাস মনোযোগ সহকারে করে ফেলতে পারলেই তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যাবে। যে অভ্যাসের পোশাকি ভাষা ‘৪-৭-৮’। যাদের রাতে ঘুম আসে না তাদের জন্য এই সহজ উপায়ের পথ বাতলেছেন লেখক ডক্টর অ্যান্ড্রু ওয়েইল। ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘুমের দেশে পৌঁছে যেতে কীভাবে নিঃশ্বাস নিতে হবে?
লেখক জানান, প্রথমে নাক দিয়ে চার সেকেন্ড শ্বাস নিন। তারপর সাত সেকেন্ড শ্বাসক্রিয়া আটকে রাখুন। আর আগামী ৮ সেকেন্ড মুখ দিয়ে আস্তে করে রিলাক্স মুডে নিঃশ্বাস ত্যাগ করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত ঘুম না আসে এভাবেই শ্বাসক্রিয়া চালান। বেশিক্ষণ না, মিনিট খানেকের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়বেন।
লেখকের মতে, এর ফলে হৃদপিণ্ডে কেমিক্যালের প্রভাব কমে যায়। আর তাতেই চটজলটি ঘুম এসে যায়।
আরেক লেখক আলিনা গোঞ্জালেজ বলছেন, “এমন অদ্ভুত অভ্যাসে যে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে, বিষয়টা প্রথমে আমার কিছুতেই বিশ্বাস হয়নি। একপ্রকার পরীক্ষা করতেই ট্রিকটা করে দেখি। কিন্তু পরের দিন সকালে উঠে মনেই করতে পারলাম না শেষ আট সেকেন্ডের পর আর জেগেছিলাম কিনা। এতটাই গভীর ঘুম এসে গিয়েছিল। এই টেকনিকটা যেন ড্রাগের মতো কাজ করল।” আসলে এভাবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিলে দেহ-মন দুইই শান্ত হয়ে যায়। আর উত্তেজনা থেকে আপনাকে অনেকখানি দূরে নিয়ে যায়। তাই রাতে নিশ্চিন্ত ভাল ঘুমের জন্য একবার ‘৪-৭-৮’ ট্রিকটি ট্রাই করেই দেখুন না। ওদের মত আপনিও নিমিষেই ঘুমের দেশে চলে যেতে পারেন।
#Insomonia
#Sleepingproblem
#ঘুমেৱসমস্যা
# শোকে বারবার মূর্ছা যাওয়া-
কারণ ভিত্তিক হোমিও চিকিৎসা ম্যাজিকের মতো ফল দেয়। যেমন কেউ( মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়) যদি শোকের ( ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির মৃত্যু বা দুর্ঘটনা) কারণে বা শোক সইতে না পেরে বারবার মূর্ছা যায়। সে ক্ষেত্রে মূর্ছা যাওয়া রোগীকে ইগ্নেশিয়া 30 ঘন্টা অন্তর 2/3 বাৱ খাওয়াইলে দেখবেন শোক কাটিয়ে উঠে রোগী আৱ মূর্ছা যাবে না।
# আনন্দে মূর্ছা যাওয়া-
মানুষ শুধু শোকে নয়, বড় রকমের আশ্চর্যজনক আনন্দেৱ খবরেও মূর্ছা যায়। অকল্পনীয় কিছু সুখবরে কিছু মানুষ বেহুশ হয়ে যায়, এরকম রোগীর ক্ষেত্রে কফিয়া ক্রুডা 30 ।
# ভয় পেয়ে অজ্ঞান-
যারা একটু ভীতু স্বভাবের মানুষ এবং কিছু লোকের হার্ট দুর্বল থাকে। এরকম মানুষ ভয়ে শুধু অজ্ঞান হন না, অনেকে মারা যান। হঠাৎ ভয় পেয়ে কেউ যদি অজ্ঞান হয়ে যায় এবং দেখেন যে হাত পা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে, দাঁতের সাথে দাঁত লেগে আছে, মুখে ফেনা উঠছে। তাহলে তাকে হাইড্রোসিয়ানিক এসিড 30 বিশ মিনিট অন্তর অন্তর 2/3 ডোজ প্রয়োগ করুন দেখবেন রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছে। আবার কিছু রোগী আছে দেখবেন সামান্য একটু ভয় পেলেই অজ্ঞান হয়ে যায়। এদের ভয় কাটানোর জন্য একোনাইট ন্যাপ 30 খাওয়াবেন। ইনশাল্লা ঠিক হয়ে যাবে।
# আঘাতের কারণে অজ্ঞান-
যেকোনো কারণে শারীরিক আঘাত পেয়ে বা দুর্ঘটনায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হলে আর্নিকা 30 ঘনঘন খাওয়ান। এতে আঘাতের ব্যথা থেকে সে মুক্তি পাবে এবং আঘাতের স্থানটি দ্রুত সেরে উঠবে। তবে আঘাত পেয়ে যদি রক্তক্ষরণ হয়। আৱ রক্তক্ষরণ দেখে রোগী যদি অজ্ঞান হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে রোগীকে চায়না 3x ঘনঘন খাওয়াতে হবে। এতে রোগী শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে এবং সুস্থ হয়ে যাবে।
# তাপে অজ্ঞান হলে-
অনেক মানুষই আছেন যারা বেশি তাপে মানে সূর্যের তাপে বা আগুনের তাপে(Sun stroke/heat stroke) সংজ্ঞা লোপ পায়। এসব ক্ষেত্রে কার্বোভেজ/গ্লোনইন-30 বিশ মিনিট পর পর দুই তিন মাত্রাই যথেষ্ট।
এছাড়াও যে কোনো কারণে যদি কেউ অজ্ঞান হয়ে যায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করার পরও সংজ্ঞা ফিরে না পায়। এমন অবস্থায় এমিল নাইট্রেট এৱ কয়েক ফোটা একটা পরিস্কার কাপড়ে নিয়ে রোগীর নাকের সামনে ধরলে শ্বাস/ ঘ্রাণ নেওয়ার মাধ্যমে রোগী সংজ্ঞা ফিরে পায়।
আমৱা দৈনন্দিন জীবনে ছোটখাটো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। যেমন মাথাব্যথা, কান ব্যথা, দাঁত ব্যথা, পেট ব্যাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ব্যথাৱ সম্মুখীন হয়। এসব ক্ষেত্রে প্রথমেই আমরা ডাক্তারের কাছে যেতে চাই না। তাই আমৱা প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কিছু ঘরোয়া কার্যকরী চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারি। যেমন হুটহাট করে অনেকেই দাঁত ব্যথায় ভোগেন। ঠিক তাদের জন্য আজকে ঘরোয়া দশটি দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য কার্যকরী টোটকা-
1. লবণের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। দাঁতে লাগিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট, দিনে কয়েকবার। দাঁতের ব্যথা কমে যাবে। ব্যথা কমে গেলেও কয়েকদিন এটা করুন।
2. এক কোয়া রসুন থেঁতলে নিয়ে অল্প একটু লবণ মিশিয়ে দাঁতে লাগান। বেশি যন্ত্রণা হলে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খান, চমৎকার রেজাল্ট পাবেন।
3. দুটি লবঙ্গ থেঁতো করে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। অথবা দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে ব্যথার স্থানে জিভ দিয়ে চেপে রাখুন। দেখবেন ব্যাথা অনেক কমে গেছে।
4. এক টুকরা কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে খেয়ে নিন।
যদি বেশি ঝাঁঝ লাগে তবে দাঁতের ওপর পেঁয়াজ চেপে রাখলে আরাম পাওয়া যাবে।
5. আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এক টেবিল চামচ সরিষার তেল ও লবণেৱ সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। দু মিনিটেই ব্যথা শেষ।
6. দাঁত, মাড়ি, গলার ব্যথা কমাতে খুব ভাল কাজ করে লবণ পানি। এক গ্লাস অল্প গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন।
7. পেয়ারা পাতা দাঁত ব্যথায় দারুণ উপকারী। দুটি পেয়ারা পাতা চিবিয়ে ব্যথাওয়ালা দাঁতে চেপে রাখুন। আরাম পাবেন।
8. তুলায় কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট নিয়ে দাঁতে চেপে ধরে রাখুন।
9. দূর্বা ঘাসের রস দাঁতের ব্যথা কমাতে পারে। এটা দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সহায়তা করে।
10. সবশেষ উপায় হলো বরফ। হাতের কাছে কোনো কিছু না পেলেও যদি শুধু বরফ পাওয়া যায়, তবে কাজ হবে। এক টুকরা বরফ তুলা বা কাপড়ে মুড়ে দাঁতে চেপে রাখুন, ব্যথা কমতে থাকবে।
#দাঁত
#Dental
আইটিপি (ITP) হলো মানবদেহের রক্তের ইমিউন সিস্টেমেৱ ডিজঅর্ডার বা ৱোগ। এৱ পূর্ণাঙ্গ অর্থ হলো আইডিওপ্যাথিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পুরপুরা বা ইমিউন থ্রম্বোসাইটোপেনিক পুরপুৱা। আইটিপি রক্তের একধরণের রোগ যার ফলে রক্তের প্লাটিলেট ( অনুচক্রিকা) ইমিউন সিস্টেমের দ্বাৱা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে সংখ্যায় কমে যায়। একজন সুস্থ মানুষের রক্তে প্লাটিলেট এর সংখ্যা 150000- 400000 থাকে। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হলে দেখা যায় স্বাভাবিক সংখ্যার চাইতে অনেক নিচে 10000- 15000 নেমে আসে। এর কোনো চিকিৎসাযোগ্য কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এই রোগ রক্তের প্লাটিলেটেৱ সংখ্যার উপর প্রভাব ফেলে কিন্তু তাদের কাজের উপর নয়।
# আইটিপি ৱোগেৱ লক্ষণ-
আইটিপি হলে একজন রোগীর দেহে রক্তের প্লাটিলেট বা অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যায়। প্রথমে আমাদেৱ জানতে হবে প্লাটিলেট বা অনুচক্রিকার ৱক্তে ভূমিকা কি? এই উপাদানটি সাৱা দেহে রক্তচলাচলের সহায়তা করে এবং কোন় স্থানে যদি ক্ষত বা কেটে যায় সেখানে রক্ত জমাট বেধে রক্ত পড়া বন্ধে সাহায্য করে। নিম্নে আইটিপি রোগের কিছু লক্ষণ দেওয়া হল-
* শরীরেৱৱ যেকোনো স্থান থেকে খুব সহজে রক্ত বের হওয়ার প্রবণতা থাকে। যেমন চোখ, কান, মুখ।
* খুব ছোট্ট ক্ষত বা কেটে গেলে তা থেকে অনেক রক্ত বের হয় এবং তা সহজে বন্ধ হতে চায় না।
* ৱোগী সকালে ঘুম থেকে উঠলে জিহ্বায় রক্তের স্বাদ পায়।
* শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ার নিচে রক্তের দাগ বা ৱাশ দেখতে পাওয়া যায়।
* প্রসাবের সাথে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে পারে।
* থুথুর সাথে রক্ত আসে। দাঁতের মাড়ি থেকেও রক্ত বের হয়।
# আইটিপি রোগের চিকিৎসা: যেহেতু এটি একটি ইমিউন সিস্টেম এর রোগ। তাই এই রোগ থেকে পুরোপুরি পরিত্রান পাওয়ার কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো পৃথিবীতে আবিষ্কার হয়নি। তবে ইমিউন সিস্টেমকে কিছু মেডিকেশন এর মাধ্যমে দুর্বল করে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ রেখে রোগী স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন।
ক্লাসিকাল হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে আইটিপি রোগের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব এবং ভাগ্য প্রসন্ন হলে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারে ( যদিও সম্ভাবনা খুবই কম)। হোমিও চিকিৎসায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই বললেই চলে। তাই হোমিও চিকিৎসায় আইটিপি রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে আর্থিক দিক থেকেও সাশ্রয়। কারণ এলোপ্যাথি চিকিৎসায় এটা খুবই ব্যয়বহুল।
#EasyLifestyleandHomeo
#ClassicalHomeo
#ITP
#আইটিপি
ক্যান্সার: মানবদেহ অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষ দ্বারা গঠিত। সুস্থ’ দেহে এ কোষগুলো নিয়মিত ও সুনিয়ন্ত্রিত কোষবিভাজন পদ্ধতির মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয় রোধ করে। কিন্তু কোন কারণবশত এৱ অনিয়ম বা অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন শুরু হয়, তখন ওই অঙ্গে ক্যান্সার দেখা দেয়।
## ক্যান্সার যেভাবে মানবদেহে বাসা বাঁধে বা সৃষ্টিৱ পেছনে কারণ গুলো-
# কারসিনোজেনের প্রভাব:
যেসব ভৌত ও রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি হয় তাদের কারসিনোজেন বলে।
* ভৌত পদার্থ: অতিবেগুনি রশ্মি বা আলট্রা ভায়োলেট রে থেকে ত্বকে ক্যান্সার হয়। তাছাড়া ও আছে এক্স রশ্মি, গামা রশ্মি, কসমিক রশ্মি প্রভৃতি।
* রাসায়নিক পদার্থ:
কোলটার- ত্বক ও ফুসফুস এর ক্যান্সার
সিগারেট ধোঁয়া- ফুসফুসের ক্যান্সার
ক্যাডমিয়াম অক্সাইড- প্রস্টেট গ্রন্থিতে ক্যান্সার
আলফাটক্সিন- যকৃতের ক্যান্সার
বেনডিজাইন- মূত্রথলির ক্যান্সার
ডাইইথাইলস্টিবেটরল- ভ্যাজাইনার ক্যান্সার
ভিনাইল ক্লোরাইড- যকৃতের ক্যান্সার।
# অঙ্কোভাইরাস: ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ভাইরাসকে অঙ্কোভাইরাস বলে।
* হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (ডিএনএ) - যকৃতের ক্যান্সার
* হারপিস ভাইরাস (ডিএনএ)- ক্যাপোসিস সারকোমা
* রেট্রোভাইরাস HTLV- 1(আরএনএ)- টি সেল লিউকেমিয়া
# অঙ্কোজিন: আমাদের দেহে প্রোটোঅঙ্কজিন থাকে যা স্বাভাবিক কোশ বিভাজন ও প্রোটিন সংশ্লেষ নিয়ন্ত্রণ করে। মিউটেশনের ফলে প্রোটোঅঙ্কজিন, অঙ্কজিনে পরিণত হয় যার ফলে স্বাভাবিক কোষ ক্যান্সার কোশে পরিণত হয়।
* C-myc অঙ্কজিন- স্তন ও ফুসফুসের ক্যান্সার।
* ABLঅঙ্কজিন- ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া।
* টিউমর সাপ্রেসর জিন:
এই জিন শরীরে টিউমর সৃষ্টি হতে দেয় না। কিন্তু এই জিনের মিউটেশন হলে এটি আর টিউমর তৈরিতে বাধাদান করতে পারে না। মানবদেহের ৫ম ক্রোমোজোম জোড়ায় অবস্থিত এপিসি (APC) এরকমই একটি জিন যার মিউটেশন হলে অন্ত্র ও মলাশয়ের ক্যান্সার দেখা যায়।
# জিনগত কাৱণ: পরিবাৱে কারো ক্যান্সার থাকলে পরবর্তী প্রজন্মেৱ যেকারোৱ জিনগত কারণে ক্যান্সার দেখা দিতে পারে।
#EasyLifestyleandHomeo
#ClassicalHomeo
বর্তমান যুগে যৌন সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে অনেকেৱ মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন অনেকেই। এদের মাঝে শতকরা ৯৯ ভাগই পুরুষ। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সকলেই কমবেশি একই ধরনের সমস্যার কথা বলেন এসময়। প্রত্যেকেই মনে করেন তার সমস্যা আর কারো হয় না এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি নেই। তখন দু:চিন্তার কারণে শারীরিক সমস্যার থেকে বড় হয়ে দেখা দেয় মানসিক সমস্যা। অথচ কিছু সাধারণ খাবারেই আছে অধিকাংশ যৌন সমস্যার ভালো সমাধান।
সমস্যায় পড়লে আমরা ওষুধের মাঝে মুক্তি খুঁজি, অথচ আশেপাশের কত খাবারে যে রয়েছে যাদুকরী কেরামতি সেটা আমরা অনেকেই জানি না।
সবুজ শাকপাতা দিয়ে শুরু করা যাক। দেশি সবুজ শাক, পালং শাক, লাল শাক ইত্যাদি পাতা অবহেলা করবেন না। ব্রুকলি, স্পিনেচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি এসব সবজিতে রয়েছে ভিটামিন বি সহ অন্যান্য এন্টি অক্সিডেন্ট যেগুলো সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অপরিহার্য।
ডিম খাবেন। ডিমে পাবেন শরীরের বৃদ্ধির জন্য আমিষ এবং বিভিন্ন ভিটামিন। সুস্থ যৌন জীবন যাপনে আমিষের প্রয়োজন রয়েছে। আমিষ ছাড়া দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয় পূরণ হয় না।
প্রতিদিন ফল খেতে হবে। দেশি টক ফল খেতে পারেন। লেবু, বাতাবি লেবু, কমলা লেবু, মাল্টা ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল প্রয়োজন প্রতিদিন। গরমের দিনে খাবেন তরমুজ। তরমুজে রয়েছে মহা উপকারী এক রাসায়নিক সিট্রুলিন; পুরুষের জন্য যার ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত। দেশি জাম, বিদেশি স্ট্রবেরি ইত্যাদি ফলেও রয়েছে এধরণের গুণাবলীচা পান করবেন প্রতিদিন। দিনে এক বা দুই কাপ চা পান করলে দেহে প্রবেশ করে বিভিন্ন এন্টি অক্সিডেন্ট, যা পুরুষের নানা সমস্যার সমাধানে সিদ্ধহস্ত।
পুরুষের সক্ষমতার পেছনে জিঙ্ক বা দস্তার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। মাংসে পাবেন জিঙ্ক। অনেকেই খাবারের মেনু থেকে প্রাণীজ আমিষ তথা মাংস বাদ দিয়ে দেন, এটা ঠিক না। মাংস খাবেন পরিমিত পরিমাণে। এর সাথে সুষম খাদ্য দুধ পান করবেন। দুধেও পাবেন জিঙ্ক।
নিয়মিত বাদাম খাওয়া খুব ভালো একটা অভ্যাস। বাদামের তেল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। এটা পুরুষদের জন্য খুব উপকারী। দেশি বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি যেকোনো বাদামেই এই উপকার পাবেন। বাদামে আরো রয়েছে ভিটামিন ই যার সুনাম রয়েছে বার্ধক্যের সাথে যুদ্ধে।
সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ জীবনের অন্যতম উপাদান। জাতীয় মাছ ইলিশ এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডে ভরপুর, অন্যান্য সামুদ্রিক মাছেও পাবেন প্রচুর পরিমাণে এই তেল। মাছে আরো রয়েছে আরজিনিন নামে একধরনের যৌগ যার একটি কাজ হচ্ছে পুরুষদের সক্ষমতায় সহায়তা করা।
চকোলেটের মাঝে ডার্ক বা কালো রঙের চকোলেটে রয়েছে ফেনথায়লামিন নামের রাসায়নিক পদার্থ যা শরীরে বাড়তি উদ্দিপনা যোগায়।
যাদের বয়স ও শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন অনেক কম, খুবই শুকনা, শীর্ণ দেখায়, কোন পোশাক পরিচ্ছদে মানানসই হয় না, বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়-স্বজন সবসময়ই রোগা বলে টিটকাৱী কৱে, তাদের ক্ষেত্রে মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে। আসলে তাদের একটু মোটা হওয়া উচিত। কারণ স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং বিভিন্ন রোগ বেশি হওয়ার প্রবণতা থাকে। তাছাড়া ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই প্রত্যেকটা মানুষেরই উচিত বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিক ওজন ধৱে রাখা। স্বাভাবিক ওজন থাকলে সেই মানুষটি কাজকর্ম, পড়াশোনা, মন মানসিকতা সহ সবদিক থেকেই ফিট থাকে। এ সমস্ত মানুষের রোগবালাইও খুব কম হয়। ফলে জীবনের গতি একটি ছন্দময়ে চলে। পাতলা মানুষ মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে থাকে। তবে এমন কোন পথ অবলম্বন কৱা উচিত নয়, যে পথে মোটা হওয়ার কারনেই আপনি আপনার শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে রোগ বাসা বাঁধে বা মৃত্য ঝুঁকি বাড়ে। এজন্য ধীরগতি হলেও প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করতে হবে।
# মোটা হওয়ার জন্য করণীয়- মোটা হতে চাইলে সর্বপ্রথম শরীরেৱ ওজন স্বাভাবিক না হওয়ার পিছনে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা খুঁজে বের করতে হবে। যেমন:
* পূর্বে মোটা ছিলেন কিন্তু কোন রোগ হওয়ার পর থেকে তিনি পাতলা।
* মানবদেহের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিকেৱ জন্য হরমোনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই হরমোনের কোন তারতম্য আছে কিনা তা নিরূপণ করতে হবে।
* বংশানুক্রমিক ভাবে তিনি শীর্ণ, পাতলা কি না?
* পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য, পানি পান কৱেন কি না
* নিদ্রার কোন সমস্যা আছে কি না
* বর্তমানে কোন রোগে আক্রান্ত আছে কি না?
যদি এগুলো প্রতিবন্ধকতা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আগে সমাধান করতে হবে।
# প্রাকৃতিক ও হোমিও টনিক এর মাধ্যমে সহজে মোটা হওয়ার উপায়- প্রাকৃতিক ও হোমিও টনিক বা চিকিৎসার মাধ্যমে মোটা হতে হলে হয়তো একটু সময় লাগবে। কিন্তু এটি হবে চিরস্থায়ী এবং সম্পূর্ন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া। এজন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
প্রথমত: আপনাকে সময়মত তিনবেলা সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আমিষ ও শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। কারণ আমিষ আপনার শরীরের পেশী গুলো গঠন করবে এবং শর্করা শরীরের ওজন বৃদ্ধি করবে। সাথে কমপক্ষে 4 থেকে 5 লিটার পানি পান করতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ খেলাধুলা বা শরীর চর্চার মাধ্যমে মনকে প্রফুল্ল করতে হবে। চিন্তা ভাবনা মুক্ত ও সর্বদা হাসিখুশি থাকতে হবে।
তৃতীয়তঃ পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও কমপক্ষে ছয়-আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
চতুর্থতঃ সাথে কিছু প্রাকৃতিক হোমিও টনিক যেমনঃ আলফালফা Q, এভেনা স্যাটাইভা Q, ফাইভ ফস 6x থেকে খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরেৱ শক্তি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়া উত্তম।
কোন বিবাহিত নারী তার মাসিকের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর এই চিন্তায় পড়েন তিনি অন্তঃসত্ত্বা কিনা? আসলেই কি তিনি মা হতে চলেছেন? তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনেক সময় ডাক্তারের নিকট যেতে হয়। তো ডাক্তারের নিকট আগেই না গিয়ে বাড়িতেই ঘরোয়াভাবে এই টেস্ট করা যায় খুব সহজে বিনা খরচে। আসলে কোন নাৱী গর্ভধারণ কৱলে শরীরে বিটা এইচসিজি নামে একটি হরমোন তৈরি হয়। যার উপস্থিতি প্রস্রাবেও নির্ণয় করা যায়। তাই বাড়িতে থাকা টুথপেস্ট বা ভিনেগার দিয়ে খুব সহজেই পরীক্ষা করা যায়
# টুথপেয়স্ট: টুথপেস্ট সবার বাড়িতেই থাকে। তাই আপনি গর্ভবতী কিনা এটা বুঝতে সবচেয়ে সহজে এবং ঘরোয়া ভাবে পৱিক্ষা কৱে নিতে পাৱেন এই টুথপেস্ট দিয়ে। একটি পরিষ্কার কন্টেইনারে আপনার সকালের ইউরিনের সাথে অল্প কিছু টুথপেস্ট মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন। যদি ইউরিন নীল রং ধারণ করে অথবা ফেনা উঠে যায় তবে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী। তবে হ্যাঁ অব্যশই সাদা টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন।
# ভিনেগাৱ: ভিনেগার দিয়ে খুব সহজেই পরীক্ষা করা যায়। সকালের প্রথম ইউরিনের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। যদি এর রং পরিবর্তন হয় তবে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী। আর যদি কোন রং পরিবর্তন না হয় তাহলে আপনি গর্ভবতী না।
# শীতকালে কেন পা ফাটে??
পা ফাটা ত্বকের ধরনের ওপর নির্ভর করে না। বরং ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৩ ও ভিটামিন ই–এর ঘাটতি, অতিরিক্ত ওজন, খোলা জুতা ব্যবহার, শুষ্ক ত্বক, একজিমার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়াও যাদের হাতে পায়ের তালু একেবারে ঘামেনা।
# পা ফাটা থেকে সহজে মুক্তির উপায়-
অতিরিক্ত পা ফাটা কমাতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে গোড়ালিতে পুরু করে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। পাতলা মোজা পরে নিতে হবে। এতে পায়ের ত্বক আর্দ্রতা পাবে। আবাৱ বহুল প্রচলিত প্রত্যেকদিন গোসলের পর নাভিতে এক ফোঁটা অলিভ অয়েল দেওয়া ত্বকের ফাটা রোধ করে।
# পা ফাটাৱ সহজ হোমিও চিকিৎসা-
সাধারণত পা ফাটার জন্য কেউ তেমন চিকিৎসা নেয়না। কিন্তু পা ফাটার কারণে যাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয় তাদের অবশ্যই চিকিৎসা নেওয়া উচিত-
* স্যানিকিউলা- যাদের মাথা ঘামে কিন্তু পা ঘামে না। পায়ের তালু জ্বালা কৱে। রাতে মাথা ঢেকে রাখে কিন্তু পা বাহির কৱে ৱাখে। এমন লক্ষণযুক্ত পা ফাটার রোগীর জন্য স্যানিকিউলা।
* পেট্রলিয়াম- শীতকালীন পা ফাটার একটি চমৎকার ঔষধ পেট্রলিয়াম। প্রত্যেক শীত কালে ভীষন ভাবে হাত-পা ফাটে। ফাটা অনেক গভীর ও হালকা রক্তপাত হতে দেখা যায়। ফাটা স্থান খুব ব্যাথা হয় ও চুলকায়
পদতলে প্রচুর দূর্গন্ধ যুক্ত ঘাম হয়।শীত কালে চর্মপীড়ার বৃদ্ধি।পেট্রলের ধোয়ার গন্ধ ভাল লাগে।
* গ্রাফাইটিস- চর্মৱোগেৱ আৱেকটি গুরুত্বপূর্ণ হোমিও ঔষধ গ্রাফাইটিস। এৱ
ধাতুগত বৈশিষ্ট হল- মোটা চটা ফাটা (Fair, Flabby, Fatty) । শরীরে ঘাম হয় না বললেই চলে। এজন্য পায়ের গোড়ালী সহ সাৱা শৱীৱ ফেটে যায়। ফেটে যাওয়া জায়গা চুলকায় ও ব্যাথা হয়।
শীতকালে রোগ লক্ষণ বাড়ে।
* সালফার- গাত্র চর্ম নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন। হাত পা ও মাথার তালু ব্জালা। চর্মরোগ প্রবন শরীর।গোসলে রোগ লক্ষণ বাড়ে। পায়ের ফাটা জায়গা খুব চুলকায়। অনেক সময় রক্তপাত হয়। এমন লক্ষণে সালফাৱ।
* এগাৱিকাস- যাদের নাক, ঠোঁট, ঠোটের কোনা, চোখের পাতা ও কোনা, গাল লাল হয়ে থাকে ও চুলকায় এবং শীতকালে পা ফেটে যায় ও অনেক কষ্ট হয়। ঠিক এমন রোগীর জন্যই এগারিকাস।
#পাফাটা
#ইজিলাইফস্টাইলহোমিও
আমাদের শরীর থেকে যখন অনেক ঘাম হয় কিংবা দীর্ঘ সময় পানি পান না করায় বেশ তেষ্টা পায়( রমজান মাসে ইফতারের সময়)। তখন আমরা ইচ্ছামতো পানি পান করে তেষ্টা মেটায়। এটা মোটেও ঠিক নয়। কাৱণ আপনি যদি অল্প সময়ে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার হাইপোনাট্রামিয়া দেখা দিতে পারে। এর ফলে রক্তে সোডিয়ামের ঘনত্ব কমতে থাকবে। আর সোডিয়ামের ঘনত্ব অতিরিক্ত কোমে যাওয়া মানে বিপদের আশঙ্কা।
পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়ে থাকে পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু জানেন কি প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি পান করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে?
তাহলে মনে প্রশ্ন আসতে পারে কতটুকু পানি পান করলে সঠিক হবে আর কতটুকুতে সেটা অতিরিক্ত হবে? মানুষের শারীরিক অবস্থা, বয়স ও জীবনযাপনের ওপর নির্ভর করে কতটুকু পানি খাওয়া তার জন্য নিরাপদ?
পানি আমাদের কিডনির জন্য খুব উপকারী। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কিডনি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১ লিটার পানি নিঃসরণ করতে সক্ষম। এখন আপনি যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি পান করে ফেলেন তাও কিডনি ১ লিটারই নিঃসরণ করবে। তাহলে অতিরিক্ত পানিটুকু আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হচ্ছে নাকি??
এছাড়াও আপনি যদি অল্প সময়ে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার হাইপোনাট্রামিয়া দেখা দিতে পারে। এর ফলে রক্তে সোডিয়ামের ঘনত্ব কমতে থাকবে। আর সোডিয়ামের পরিমাণ মাত্রারিক্ত কমে গেলে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে। আর রক্তক্ষরণ থেকে কোমা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে 2- 4 লিটার পানি একসাথে একই সময়ে পান না কৱে অল্প অল্প করে সময় নিয়ে বেশি বাৱে পান করুন। অতিরিক্ত কম পানি পান কিংবা বেশি পানি পান করাৱ অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করুন।
#EasyLifestyleandHomeo
#ClassicalHomeo
একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ও জীবনযাপন নৱমাল ভাবে চলে। কিন্তু হঠাৎ করেই যদি শরীরে কোন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তখন স্...