এডিনয়েড কি?
নাকের পেছনে এডিনয়েড গ্রন্থি থাকে। মূলত গলায় নাকের যেখানে ছিদ্র থাকে, তার পিছনে উপর তালুতে এর অবস্থান। এই গ্রন্থিতে প্রদাহ হয়ে ফুলে উঠে। এটি গঠনগত দিক থেকে টনসিলের মতো। আর এই জন্যই অধিকাংশ মা-বাবা টনসিল মনে করে ভুল করে। এতে শিশুর শ্বাসকষ্ট সহ অনেক রকম উপসর্গ দেখা দেয়। বাচ্চা মুখ হ্যাঁ করে ঘুমায়। 15 বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের এই এডিনয়েড সমস্যা হতে পারে। এই এডিনয়েড গ্রন্থি শিশুদের জন্য যেমন উপকারী তেমনি গ্রন্থি বৃদ্ধি হয়ে ক্ষতিৱ কারণও হতে পারে।
** এডিনয়েড হলে শিশুৱ মধ্যে যে লক্ষণ গুলো দেখতে পাবেন-
# শিশু ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে ভোগে। একবার সদি-কাশি হলে তা সহজে সারতে চায় না। সারাবছর যেন সর্দি-কাশিতে লেগেই থাকে।
# ঘুমের মধ্যে শিশু হঠাৎ চিৎকার দিয়ে উঠে, কান্নাকাটি কৱে।
# সমস্যা গলার পেছন থেকে ইউস্টেশিয়ান টিউবের মাধ্যমে কানে চলে যায়। ফলে ঘন ঘন কানে ব্যথা, কানে ইনফেকশন, কানের পর্দা ফেটে যাওয়া, কানের ভেতর পানি জমে।
# ঘন ঘন গলার ইনফেকশন, খুসখুসে কাশি, গলার স্বর বসে যাওয়া হতে পারে।
# শরীরের ভেতর অক্সিজেনের স্বল্পতার জন্য ঘুম ঘুম ভাব, পড়াশোনা ও স্কুলে অমনোযোগী হওয়া, বুদ্ধিমত্তা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। রাতে বিছানায় প্রস্রাবও করতে পারে।
OMG!
উত্তরমুছুন