হেপাটাইটিস সি পৃথিবীর সবচেয়ে কয়েকটি নীরব ঘাতক ব্যাধির একটি। হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের মতোই লিভারের আর একটি রোগ হল হেপাটাইটিস সি। এই রোগের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এটির লক্ষণ উপসর্গ খুব কম, তাই এতে আক্রান্ত হলেও সহজে ধরা পড়ে না। দীর্ঘদিন ধরে এটা শরীরের ভেতরে নীরবে থেকে যায়, সেটাই এই ভাইরাসের সবচেয়ে মারাত্মক দিক। রোগী কিছু বুঝতেই পারেন না। আস্তে আস্তে সেটা লিভারের ক্ষতি করতে শুরু করে। ফলে একসময় লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সার তৈরি হয়।''
''ফলে বাংলাদেশে যেটা দেখা যায়, রোগীদের রোগটি এমন সময়ে শনাক্ত হয়েছে, যখন অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছে বা লিভার সিরোসিস বা ক্যান্সারে পরিণত হয়, তখন মৃত্যু প্রায় অবধারিত হয়ে যায়।
# হেপাটাইটিস সি'র লক্ষণ ও উপসর্গ:
হেপাটাইটিস সিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোন উপসর্গ দেখা দেয় না। অনেক সময় লক্ষণ বুঝতে আট-দশ বছর পার হয়ে যায়। ততদিনে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়।
তবে যেসব উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই অন্যান্য পরীক্ষার পাশাপাশি হেপাটাইটিস পরীক্ষা করাতে হবে, সেগুলো হলো:
* জ্বর
* দুর্বলতা ও অবসাদ
* খাবারে অরুচি
*বমিবমি ভাব
* ক্লান্তি বোধ হওয়া
* জন্ডিস হওয়া, পেটে পানি আসা
# যেভাবে মানুষ হেপাটাইটিস সি-তে আক্রান্ত হতে পারেন:
*স্ক্রিনিং ছাড়া রক্ত-রক্তজাত সামগ্রী পরিসঞ্চালন
এবং এই একই কনজেকশন বহুবার ব্যবহার
* সার্জারির সময়
* নাক-কান ছিদ্র করার সময়েও রক্তের সংস্পর্শে এসে ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
* মাদক নেয়া
* অরক্ষিত যৌনমিলন
* সমকামিতা
* শিশুর জন্মের সময় মায়ের হেপাটাইটিস থাকা
* এইচআইভির রোগী
* কারাগারে থাকা ব্যক্তিরা
* ট্যাটু করার মাধ্যমে
তাই আমরা এসব থেকে একটু সাবধান অবলম্বন করতে পাৱলেই প্রাণঘাতী নিরব ঘাতক হেপাটাইটিস সি ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পারি।























.jpeg)






0 comments:
Thanks a million for visiting and your valuable review.