শিশুদের মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা বের হওয়ার কারণ এবং করণীয় কি?




আমাদেৱ মুখে ছয়টি লালা গ্রন্থি থাকে । যা থেকে সর্বদা লালা নিঃসরণ হয়। সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর মুখ থেকে লালা বের হয় না। কারণ এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত শিশুরা সাধারণত চিত হয়ে শুয়ে থাকে। ফলে মুখ উপরে থাকায় লালা বের হয় না। কিন্তু তিন মাসের পর থেকে চার বছর অব্দি মুখ দিয়ে লালা বের হতে পারে। এটা শিশুদের জন্য একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু চার বছরের পরেও যদি শিশুদের মুখ থেকে লালা বের হয়। তাহলে অবশ্যই চিকিৎসা নেওয়া দরকার। যাহোক বিভিন্ন কারণে তিন মাস বয়সের পর থেকে শিশুদের মুখ থেকে লালা বের হয় । এখন এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

* মুখের পেশি গঠনেৱ কারণে- কোন কোন শিশুদের ক্ষেত্রে শিশুদের মুখের চারপাশের পেশির গঠন হতে একটু বেশি সময় লাগে। ফলে শিশুদের মুখে লালা নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষমতা থাকে কম। ফলে মুখ থেকে লালা বের হয়। কিছুদিন পরে মুখের পেশিৱ গঠন সম্পন্ন হলে লালা ঝৱা আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যায়।

* ঠোঁট ফাঁক থাকাৱ কাৱনে- যখন শিশুরা নড়াচড়া শুরু করে, হামাগুড়ি দেয় দেয় তখন লক্ষ্য করলে দেখা যায় শিশুদের ঠোঁট দুটো ফাঁক থাকে। ফলে মুখে উৎপন্ন লালা ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে আসে। যেহেতু অবুঝ শিশু তাই কিছুই করার নেই। এই কারণে যদি লালা ঝরে তাহলে কিছুদিন পরে এমনি ঠিক হয়ে যাবে।

* নাক বন্ধ থাকার কারণ- যদি কোন কারনে শিশুর নাক বন্ধ থাকে তাহলে শিশুটি মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস করে থাকে। ফলে মুখটি খোলা থাকে এবং মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে আসে। তাই তাই শিশুর নাক যাতে বন্ধ না থাকে তার ব্যবস্থা করা উচিত। 

*  শিশু লালা গিলে ফেলতে না পাৱলে- লালা গ্রন্থী থেকে সব সময় লালা নিঃসরণ হয় এবং আমার সাথে সাথে তা গিলে ফেলি। কিন্তু ছোট শিশুটি যদি লালা গিলে খেতে না পারে সেক্ষেত্রে মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে আসতে পারে। এসব ক্ষেত্রেও সময়ের ব্যবধানে আপনি আপনি ঠিক হয়ে যায়।

* * শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি- মুখ দিয়ে লালা গড়িয়ে বের হওয়া  শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি  বুঝায়।  মানে শিশুর সময় মত দাঁত ওঠা, শরীরের অন্যান্য গঠন ঠিকমত হওয়া বুঝায়।

* কোন জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বেখেয়াল অবস্থায়- এটা শুধু ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে নয় বড় মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যখন কেউ কোন একটা বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বা বেখেয়াল অবস্থায় থাকে। তখন হঠাৎ মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে আসে। 

উপৱোক্ত কারণে শিশুর লালা নিঃসরণ হলে সামান্য একটু সচেতনতাই  মুখ থেকে লালা নিঃসরন কমানো যেতে পারে । চার বছর পর্যন্ত কোন শিশুর ক্ষেত্রে এটা চিন্তার কোন ব্যাপার না। চার বছরের ঊর্ধ্বে অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এক্ষেত্রে এলোপতি হোমিওপ্যাথিতে খুব ভালো চিকিৎসা রয়েছে।

Read more →

আইবিএস (IBS) কত প্রকাৱ ও কি কি?


 

আইবিএস সাধাৱনত তিন প্রকাৱ। যথা-
(1) আইবিএস সি (IBS-C) : যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে এবং পায়খানা ক্লিয়ার না হয়, মনে হবে পায়খানা হবে হবে ভাব, কিন্তু হয় না- এ ধরনের আইবিএস কে সাধাৱণত C  বলা হয়।

(2)  আইবিএস ডি ( IBS-D) : যে সমস্ত আইবিএস রোগীর দিনে বেশ কয়েকবার পাতলা পায়খানা হয়, খেতে বসলেই কিংবা খাওয়া শেষ হলেই পায়খানায় চাপ দেয়, খুব সকালে ঘুম ভাঙা মাত্রই পায়খানার খুব চাপ দেয় এবং পাতলা পায়খানা হয়- এটাকে আইবিএস D বলা হয়।

(3) আইবিএস এম ( IBS-M) :   আর যখন কোন আইবিএস রোগীর কয়েকদিন ধৱে খুব কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে এবং কয়েকদিন ধৱে ডায়রিয়া থাকে, মানে যখন কোন রোগীর মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া দুইটি বিদ্যমান থাকে। সাধারণত এই আইবিএস কে মিক্স বা M বলা হয়।

Read more →

আইবিএস (IBS), আইবিডি(IBD) রোগীর লাইফস্টাইল ও কোন খাবাৱ থেকে দূৱে থাকবেন?।




আইবিএস, আইবিডি এবং গ্যাসট্রোএন্টাৱলজির অন্তর্ভুক্ত যেকোনো রোগের ক্ষেত্রেই লাইফস্টাইল ও খাবার রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা বেশিরভাগ বাঙালি খাবার খেতে খুব পছন্দ করি এবং মজা করে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করি এবং সেই ধরনের খাবারই খেতে বেশি পছন্দ করি যা খাওয়া ঠিক নয়, ক্ষতিকারক। কিন্তু জ্বীহবা কে কন্ট্রোল করা তো সবাৱ জন্য অনেক কঠিন কাজ। তারপরও সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে নিয়ন্ত্রণ করে চলা উচিত। আর আমরা যারা এ সম্পর্কীয় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছি তাদের ক্ষেত্রে নিয়মমাফিক চলা ও খাওয়া অবশ্যই মেনে চলা উচিত।
 
যাহোক এখন আমি কথা বলবো আইবিএস ও আইবিডি ৱোগীদেৱ  জীবন যাপন ও খাবার দাবার সম্পর্কে। অনেকেই বিষয়গুলো জানেন কিন্তু যারা নতুন রোগী বা পরিবারেৱ কেউ এইসব রোগে আক্রান্ত, তাদের অনেকেই জানতে চান। তাদের জন্যই আমার  আজকের এই লেখাটা। যে ভাই ও বোনেরা আইবিএস ও আইবিডি ৱোগে আক্রান্ত তাদের অবশ্যই জীবন যাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন কারো যদি রাত্রি জেগে থাকার অভ্যাস থাকে, কিছু বদভ্যাস যেমন ধূমপান, মদ্যপান, গোপনীয় কিছু কু অভ্যাস ইত্যাদি থেকে থাকে তাহলে তা বর্জন করতে হবে। সকাল সন্ধ্যায় একটু শরীরচর্চা (যেমন হাঁটা) অনেক বেশি উপকার বয়ে আনে। সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে। এক কথায় সুশৃংখল নিয়মে জীবন যাপনে অভ্যস্ত হতে হবে।

খাবারের ব্যাপারে অনেক সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে তিনটি খাবার বেশিৱ ভাগ আইবিএস এবং আইবিডি রোগীদের জন্য ক্ষতি করে। তা হলো

 (1) দুধ: দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় যেকোনো খাবার। যেমন দুধ, মিষ্টি, পিঠা, পায়েস প্রভৃতি। 

 (2) গম: গমে থাকে গ্লুটেনিন যা অন্ত্র সমূহেৱ জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই গম থেকে তৈরি করা যেকোন খাবার যেমন রুটি, পরোটা বিস্কুট, চানাচুর, ফাস্টফুড সহ যেকোনো খাবার না খাওয়া উত্তম। 

(3) মাংস: মাংস গাটেৱ জন্য ক্ষতিকাৱক। বিশেষ করে গো মাংস, খাসিৱ মাংস, কবুতৱ মাংস । তবে মুৱগীৱ মাংস খাওয়া যেতে পাৱে।

এরপরেও কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো রোগের লক্ষণকে ত্বরান্বিত করে। যেমন উচ্চ আঁশযুক্ত শাক-সবজি, ড্রাই ফ্রুট যেমন: খেজুর, কিসমিস। এছাড়াও কাঁচা ফলমূল, যতটা কম খাওয়া যায়। ইনফ্লামেশন একটিভ থাকা আইবিডি রোগীদের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল যেমন লেবু,কমলালেবু, মালটা, আঙ্গুৱ, আমলকি ইত্যাদি ফল থেকে দূরে থাকা উত্তম। অনেকেই জানি যে, ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে কোন ক্ষত থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সহায়তা করে। তাই বেশি বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু এই সত্যটা যে সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, এটা মাথায় রাখতে হবে। আইবিডি রোগীদের অন্ত্রসমূহে যে আলসাৱ/ক্ষত থাকে, তা অটোইমিউনি সিস্টেমেৱ আলসাৱ। তাই ভিটামিন সি খেলে এই আলসার উল্টো বৃদ্ধি পাবে। তাই ভুল করেও এই ভুলটা করবেন না। তবে নিয়ন্ত্রণ থাকলে একটু একটু খেতে পারেন। এছাড়াও বেশি তৈলাক্ত ও মসলাদার খাবাৱ, দানাদাৱ শস্য যেমন ডাল, ভুট্টা, বাদাম ইফতার থেকে দূরে থাকতে হবে।

তবে সকল রোগীর ক্ষেত্র একরকম  না। কারণ অনেক রোগী বলে যে তার মাংস বা দুগ্ধ খাবার খেলে কোন সমস্যা হয় না।  তাই সবচেয়ে ভালো হয় যে, প্রত্যেকটা রোগী যদি নিজে নিজে বের করতে পারে কোন কোন খাবারে তার সমস্যা হচ্ছে? সেই খাবারগুলো সে এড়িয়ে চললো।


Read more →

হৱমোন কি? মানব দেহে স্বচিত্র অবস্থান সহ বিভিন্ন হৱমোন গ্রন্থির নাম।


# হৱমোন---
হরমোন হচ্ছে এক প্রকার জৈব-রাসায়নিক তরল যা শরীরের কোনো কোষ বা গ্রন্থি থেকে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশে নিঃসরিত হয়। হরমোন হল একটি আভ্যন্তরীন উদ্দীপক। হরমোনের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অংশের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পরিবর্তনের সংকেত পাঠানো হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিপাকক্রিয়ার পরিবর্তনের জন্য অল্প একটু হরমোনই যথেষ্ট। এটি একটি রাসায়নিক বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে যা এক কোষ থেকে অপর কোষে বার্তা বহন করে। সকল বহুকোষীয় জীবই হরমোন নিঃসরণ করে। প্রাণীর ক্ষেত্রে বেশির ভাগ হরমোনই রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়।

Read more →

মানবদেহে হরমোন এর ব্যালেন্স ঠিক রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

 


শরীরের স্বাভাবিক কার্যাবলী ঠিক রাখতে হরমোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইন্সুলিন, ইস্ট্রোজেন, ডোপামিন, এফএসএইচ, টিএসএইচ ইত্যাদি জৈবিক রাসায়নিক উপাদান মেজাজ, চুলের বৃদ্ধি, ওজন, প্রজনন ক্ষমতা, মানসিক অবস্থা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে।
হরমোনের সঠিক সরবরাহ বজায় রাখতে শরীরের সকল গ্রন্থি একই তালে তাল মিলিয়ে কাজ করে। আর এর সামান্য ঘাটতিই স্বাস্থ্যগত জটিলতা ডেকে আনতে পারে যার জন্য ছুটতে হয় চিকিৎসকের কাছে, খেতে হয় ওষুধ।
এই ওষুধেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যা বয়ে আনতে পারে আরও বড় বিপদ।
তবে প্রাকৃতিক উপায়েও হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো সেই উপায়গুলো।

# স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তার প্রভাব শরীরে চোখে পড়বেই আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি। তাই গ্রন্থিগুলোর সক্রিয়তা যাতে অতিরিক্ত বা অতি সামান্য না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদানের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
সেখানে থাকতে হবে পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ভোজ্য আঁশ আর কমাতে হবে কার্বোহাইড্রেট এবং চিনির পরিমাণ। সেই সঙ্গে হরমোনের উৎপাদন বাড়াতে চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি।
‘ক্যাফেইন’ ও দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ করলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।
অপরদিকে ‘গ্রিন টি’ শরীরে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ সরবরাহের মাধ্যমে ‘ঘ্রেলিন’, ‘ইন্সুলিন’য়ের মাত্রা কমায় এবং শরীরে ‘কর্টিসল’ হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

# কম কিংবা বেশি খাওয়া: শরীরের চাহিদার তুলনায় কম কিংবা বেশি খাবার খাওয়ার কারণেও হরমোনে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল অতিরিক্ত খাওয়া কিংবা অতিসামান্য খাওয়ার কারণে ‘ইন্সুলিন’য়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, ‘কর্টিসল’য়ের উৎপাদন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। যা শরীরের বিপাকক্রিয়ার উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর তাই লিঙ্গ, বয়স এবং স্বাস্থ্য বিবেচনা করে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।


# নিয়মিত শরীরচর্চা: ব্যায়াম করলে শুধু শরীর গঠনই হয় না সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্যও বজায় থাকে। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের মধ্যে থাকলে শরীর সুঠাম হওয়ার পাশাপাশি ঝরবে বাড়তি চর্বি, উৎপাদন বাড়বে প্রদাহরোধক হরমোনের এবং ‘ইন্সুলিন’য়ের সংবেদনশীলতা বাড়বে।
অ্যারোবিকস’, ‘স্ট্রেংথ ট্রেইনিং’, ‘এন্ডুরেন্স ট্রেইনিং’ ইত্যাদি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর।
# মানসিক চাপ সামলান: ব্যস্ত জীবনযাত্রা, সময়ের সামঞ্জস্যতার অভাব ইত্যাদি মানসিক চাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আর শরীর যখন চাপে থাকে তখন হরমোনের উৎপাদন প্রক্রিয়াও শৃঙ্খলা হারায়। তাই নির্দিষ্ট রুটিন মেনটেন করে মানসিক চাপ সামলাতে হবে।
# পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের অভাব থাকলে মেজাজ খারাপ থাকে, তার পেছনে একটি বড় কারণ হরমোনজনীত সমস্যা। তাই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।

Read more →

মানবদেহের বিভিন্ন স্থানে সিস্ট এবং তা ভালো করার ঘরোয়া উপায়

 


# সিস্ট ত্বকের নীচে মসৃণ, গোলাকার এবং শক্ত গঠনের হয়। শরীরের যে কোনো স্থানে সিস্ট হতে পারে।
সিস্ট সাধারণত ইনফেকশনের জন্য, সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড ব্লক হয়ে গেলে, বাহ্যিক কোনো উপাদান প্রবেশ করলে এবং টক্সিনের কারণে হয়ে থাকে।
শরীরের টিস্যুর ভেতরে হয় সিস্ট এবং এর মধ্যে তরল বা আধা তরল পদার্থ থাকে।
কখনো কখনো সিস্ট ব্যথামুক্ত হয় এবং খুব ধীরে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এ সিস্ট যদি সংক্রমিত হয় তাহলে সিস্টে ব্যথা, চুলকানি বা জ্বলুনি হতে পারে। কখনো কখনো সিস্ট ফেটেও যেতে পাৱে।
সিস্ট যদি অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন- কিডনি, লিভার এবং অগ্নাশয়ে হয় তাহলে তা ছোট হয় এবং কোনো লক্ষণ প্রকাশ করেনা বলে বোঝাও যায় না। কিন্তু যদি ত্বকের নীচে হয় তাহলে তা চামড়ার নীচে বিশ্রী লাল ফোলা দেখায় যা স্পর্শ করলে নরম অনুভূত হয় এবং ব্যথা করে।
ত্বকের এই সিস্ট ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। সিস্ট ভালো করার ঘরোয়া প্রতিকারের উপায় –
** ইজি লাইফ স্টাইল & হোমিও**
(১) অ্যালোভেরা :
দিনে কয়েকবার অ্যালোভেরা জেল সিস্টের উপরে ঘষুন। এছাড়াও শরীর থেকে অপদ্রব্য বের হয়ে যাওয়ার জন্য এবং সিস্টকে সংকুচিত করার জন্য ১ কাপ অ্যালোভেরার জুস পান করুন।
# অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার :
সিস্ট থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার অত্যন্ত কার্যকরী। ত্বকের পিএইচ এর ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে, যে কোনো ইনফেকশন দূর করতে এবং চুলকানি ও জ্বালা-পোড়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার।
একটি তুলার বল অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে ভিজিয়ে নিয়ে সিস্টটি মুছে নিন। দিনে কয়েকবার এটা করুন। এছাড়াও ১ গ্লাস পানিতে ২ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।
# হলুদ :
সিস্ট দূর করতে চমৎকারভাবে কাজ করে হলুদ। ১ কাপ উষ্ণ দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন। এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং পরিপাকের উন্নতি ঘটায়। ভালো ফল পাওয়ার জন্য ১০ দিন হলুদ মেশানো দুধ পান করুন।


# মধু :
সাময়িক ভাবে ক্ষত ভালো করতে পারে মধু। ত্বকের নীচের সিস্ট ভালো করার জন্য মধুর প্রলেপ অত্যন্ত কার্যকরী।
গম ও ঘাস ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এর সাথে মধু মিশিয়ে সিস্টের উপর প্রলেপ দিন এবং একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। সারারাত এভাবে রেখে দিন। কিছুদিনের মধ্যেই খুব ভালো একটা ফল পাবেন।
** ইজি লাইফ স্টাইল & হোমিও**

Read more →

পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত, এর কারণ ও হোমিও চিকিৎসায় সমাধান

 

# দ্রুত বীর্যপাত কি?
     যৌনসঙ্গমকালে পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত যাকে ইংরেজিতে বলা হয় প্রিম্যাচিওর ইজ্যাকিউলেইশন। এটি একটি সাধারণ যৌনগত সমস্যা। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজনকে এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে দেখা যায়। স্ত্রী যোনীতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশের পর অঙ্গ চালনার পরিণতি হিসেবে বীর্যপাত হয়ে থাকে। যোনীতে লিঙ্গ প্রবেশের সময় থেকে বীর্যপাত অবধি সময়কে বলা হয় বীর্যধারণ কাল। কতক্ষণ অঙ্গচালনার পর বীর্যপাত হবে তার কোন সুনির্দ্দিষ্ট বা আদর্শস্থানীয় সময় নেই। পুরুষে পুরুষে, বয়সের তারতম্যে বা পরিবেশভেদে বীর্যধারণ ক্ষমতা বিভিন্ন হতে দেখা যায়। তবে নিয়মিত যদি যোনীতে লিঙ্গ প্রবেশের পূর্বে বা প্রবেশের এক মিনিটের মধ্যেই বীর্যপাত হয়ে যায় তবে তাকে দ্রুতস্খলন সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হবে। এর ফলে পুরুষ প্রযোজনীয় সময় ধরে অঙ্গচালনার সুখ থেকে বঞ্চিত হয় এবং স্ত্রীর চরমানন্দ লাভের আগেই সঙ্গমের সমাপ্তি হয়।
# দ্রুত বীর্যপাতের কারণ: পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের সঠিক কারণ এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে-
* মনমরা ও মনে বিষণ্নতা থাকায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়। তাই মানসিক কারণে ও পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে।
* শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা বা রোগ-বালাইয়ের কারনেও দ্রুত বীর্যপাত হয়
* বিভিন্ন ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন স্টোরয়েড জাতীয় ওষুধ দীর্ঘদিন খেলে বীর্য পাতলা হয়ে যায় এবং দ্রুত বীর্য পাত হয়
* কিশোর বয়স থেকে হস্তমৈথুন কিংবা অতিরিক্ত যৌন মিলনেৱ কারনেও দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে
এছাড়াও জিনগত কারণে পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে।
# দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান: পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত একটি মারাত্মক সমস্যা। আর এই সমস্যার সমাধানে দুটি পথ অবলম্বন করলে সহজেই সমাধান করা সম্ভব। প্রথমত মানসিক ও নৈতিক পরিবর্তন আনতে হবে এবং সেইসাথে জীবন যাপনেও পরিবর্তন আনতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি একজন ভাল ক্লাসিকাল হোমিওপ্যাথিৱ চিকিৎসা নিতে পারেন। কারন অনেকেই দেখেছি যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এমন ঔষধ ইন্টারনেট থেকে, বই পড়ে অথবা কারো পরামর্শ কিনে খায়। যেমন ডমিয়ানা, জিনসেং, এগনাস কাস্ট, অশ্বগন্ধা, বিউফো রানা, টিটেনিয়াম , পেটেন্ট আর ফরটি ওয়ান ইত্যাদি। কিন্তু এরকম চিকিৎসায় আপনার সমাধান হবে না। কারণ এই ওষুধগুলো শুধু উত্তেজনা বৃদ্ধি করে ঠিকই কিন্তু বীর্যপাত দ্রুতই হয়। তাই এই সময়টাই আপনার যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির দরকার নেই। কারণ দ্রুত বীর্যপাত হয় এমন রোগীর উত্তেজনা এমনিতেই বেশি থাকে। সমস্যা উত্তেজনা ধরে রাখতে পারে না অতি দ্রুত বীর্যপাত হয়। তাই আপনার দরকার স্টাবিলিটি অর্থাৎ সময় নিয়ে যেন বীর্যপাত হয়। এজন্য আপনাকে হোমিওপ্যাথির গঠনগত মায়াজমিক চিকিৎসা নিতে হবে।

আর যেসব পুরুষ/নাৱীৱ যৌন চাহিদা কম বা সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা কমে গেছে, তাদেৱ চিকিৎসা অনেক সহজ এবং 100% সফল। হোমিও চিকিৎসায় আপনাৱ যৌন চাহিদা প্রায় 22 বছৱেৱ ন্যায় হবে। ইনশাল্লাহ।

Read more →

আঁচিল সাৱিয়ে তুলুন, খুব সহজে, সেৱা কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধে।



আঁচিল প্রতিরোধে ও সারিয়ে তুলতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং ফলপ্রদ। কোন কাটা ছেঁড়া,কোন অপারেশন কিংবা কোন রক্তপাত ও ব্যথা ছাড়াই খুব সহজেই আঁচিল থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। ত্বক ঠিক আগেৱ অবস্থা ফিরে পায়। তাই আঁচিল সারিয়ে তুলতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এক বিশাল স্থান দখল করে আছে। নিম্নে আঁচিলেৱ চিকিৎসায় ব্যবহৃত সেরা কয়েকটি হোমিও ঔষধের লক্ষণ ভিত্তিক আলোচনা করা হল:

# থুজা অক্সি-
আঁচিল যদি ফুলকপির মতো দানা দানা খাঁজ কাটা হয় তখন থুজা ব্যবহার করা হয়। সাধারণ মানুষের কাছে থুজা আঁচিলের একমাত্র ঔষধ হিসবে বিবেচিত। প্রায় সব ধরনের আঁচিল ভালো করার ক্ষমতা রয়েছে থুজাৱ।
# নাইট্রিক এসিড-
আঁচিল ফুলকপির মতো দেখতে হয় কিন্তু সামান্য নড়াচড়া লাগলেই রক্তপাত হয় এবং যৌনাঙ্গের আশেপাশে যে সমস্ত আঁচিল হয়, তখন নাইট্রিক অ্যাসিড ব্যবহারে আঁচিল সেরে যায়।
# কস্টিকাম-
অনেকদিন আগের অর্থাৎ পুরাতন আঁচিলের জন্য কস্টিকাম। নরম ক্ষুদ্র আকৃতির এবং দেখতে চেপ্টা এরকম আঁচিল। আরও স্পষ্ট করে বললে যেসব আঁচিল চোখের পাতায়, নাকের ডগায়, ঘারে, হাতের আংগুলে ও নখের ধারে হয় এবং দেখতে কিছুটা শিংয়ের মত, এসব আঁচিলে কষ্টিকাম খুব ভালো কাজ করে। তবে থুজাও ব্যবহার করা যায়। বিফলে কস্টিকাম।


# ষ্ট্যাফেসাইগ্রিয়া-
যদি কোন রোগীর পারদের অপব্যবহারের মাধ্যমে উৎপন্ন সাইকোটিক দোষযুক্ত ফুলকপির মতো বড় ধরণের আঁচিলের সঙ্গে একজিমা ও দাঁতের রোগ/ দাঁতে ক্ষয় থাকে সেক্ষেত্রে ষ্ট্যাফেসাইগ্রিয়া ভাল কাজ করে। এছাড়াও চোখের পাতায় আঁচিলেৱ ক্ষেত্রেও স্ট্যাফিসেগ্রিয়া খুব ভালো কাজ করে।
# সেবাইনা-
শিশুদের শরীরে গুড়ি গুড়ি আঁচিলের ভিতর থেকে ভাতের মতো পদার্থ বের হলে সেবাইনা প্রয়োগ করা যাবে। সেবাইনাতে ফল না হলে কস্টিকাম প্রয়োগ করতে হবে।
# ব্যারাইটা কার্ব-
যারা সহজ সরল ও লাজুক প্রকৃতির। শিশুৱ ন্যায় আচরণ করে এবং মিষ্টি অপছন্দ, এসব মানুষের শরীরের আঁচিল ভাল কৱতে ব্যারাইটা কার্ব।
# ক্যালকেরিয়া কার্ব-
যাদের দেহ মোটাসোটা এবং মাথা ও পেটটা বড়। সিদ্ধ ডিম ও মিষ্টি খেতে পছন্দ করে এবং শীতকাতর । এসব রোগীর দেহে আঁচিল ভালো করতে ক্যালকেরিয়া কার্ব।
এছাড়াও মানবদেহের আঁচিল ভালো করতে হোমিওপ্যাথিক লক্ষণ বিচারে আরো অনেক ঔষধ আসতে পাৱে। তাই একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করবেন।
**ইজি লাইফ স্টাইল & হোমিও**
সহজ চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি
দূর হয় কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধি।

Read more →

All posts

জেনে নিন, হোমিও চিকিৎসা কখন সেৱা ও সর্বোচ্চ কার্যকরী চিকিৎসা?

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ও জীবনযাপন নৱমাল ভাবে চলে।  কিন্তু হঠাৎ করেই যদি শরীরে কোন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তখন স্...