আমাদেৱ মুখে ছয়টি লালা গ্রন্থি থাকে । যা থেকে সর্বদা লালা নিঃসরণ হয়। সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর মুখ থেকে লালা বের হয় না। কারণ এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত শিশুরা সাধারণত চিত হয়ে শুয়ে থাকে। ফলে মুখ উপরে থাকায় লালা বের হয় না। কিন্তু তিন মাসের পর থেকে চার বছর অব্দি মুখ দিয়ে লালা বের হতে পারে। এটা শিশুদের জন্য একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু চার বছরের পরেও যদি শিশুদের মুখ থেকে লালা বের হয়। তাহলে অবশ্যই চিকিৎসা নেওয়া দরকার। যাহোক বিভিন্ন কারণে তিন মাস বয়সের পর থেকে শিশুদের মুখ থেকে লালা বের হয় । এখন এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
* মুখের পেশি গঠনেৱ কারণে- কোন কোন শিশুদের ক্ষেত্রে শিশুদের মুখের চারপাশের পেশির গঠন হতে একটু বেশি সময় লাগে। ফলে শিশুদের মুখে লালা নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষমতা থাকে কম। ফলে মুখ থেকে লালা বের হয়। কিছুদিন পরে মুখের পেশিৱ গঠন সম্পন্ন হলে লালা ঝৱা আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যায়।
* ঠোঁট ফাঁক থাকাৱ কাৱনে- যখন শিশুরা নড়াচড়া শুরু করে, হামাগুড়ি দেয় দেয় তখন লক্ষ্য করলে দেখা যায় শিশুদের ঠোঁট দুটো ফাঁক থাকে। ফলে মুখে উৎপন্ন লালা ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে আসে। যেহেতু অবুঝ শিশু তাই কিছুই করার নেই। এই কারণে যদি লালা ঝরে তাহলে কিছুদিন পরে এমনি ঠিক হয়ে যাবে।
* নাক বন্ধ থাকার কারণ- যদি কোন কারনে শিশুর নাক বন্ধ থাকে তাহলে শিশুটি মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস করে থাকে। ফলে মুখটি খোলা থাকে এবং মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে আসে। তাই তাই শিশুর নাক যাতে বন্ধ না থাকে তার ব্যবস্থা করা উচিত।
* শিশু লালা গিলে ফেলতে না পাৱলে- লালা গ্রন্থী থেকে সব সময় লালা নিঃসরণ হয় এবং আমার সাথে সাথে তা গিলে ফেলি। কিন্তু ছোট শিশুটি যদি লালা গিলে খেতে না পারে সেক্ষেত্রে মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে আসতে পারে। এসব ক্ষেত্রেও সময়ের ব্যবধানে আপনি আপনি ঠিক হয়ে যায়।
* * শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি- মুখ দিয়ে লালা গড়িয়ে বের হওয়া শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি বুঝায়। মানে শিশুর সময় মত দাঁত ওঠা, শরীরের অন্যান্য গঠন ঠিকমত হওয়া বুঝায়।
* কোন জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বেখেয়াল অবস্থায়- এটা শুধু ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে নয় বড় মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যখন কেউ কোন একটা বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বা বেখেয়াল অবস্থায় থাকে। তখন হঠাৎ মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে আসে।
উপৱোক্ত কারণে শিশুর লালা নিঃসরণ হলে সামান্য একটু সচেতনতাই মুখ থেকে লালা নিঃসরন কমানো যেতে পারে । চার বছর পর্যন্ত কোন শিশুর ক্ষেত্রে এটা চিন্তার কোন ব্যাপার না। চার বছরের ঊর্ধ্বে অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এক্ষেত্রে এলোপতি হোমিওপ্যাথিতে খুব ভালো চিকিৎসা রয়েছে।