উঠতি বয়সের যুবকদের মধ্যে হস্তমৈথুনের মত কু অভ্যাস অত্যন্ত বেশি। যুবতীদের ক্ষেত্রে এটা অনেক কম। বর্তমানে এই কু অভ্যাসের কারণে যুবকরা তাদের ভবিষ্যত জীবনে সর্বনাশ ডেকে নিয়ে আসছেন। পরবর্তী জীবনে ধ্বজভঙ্গ, দ্রুত বীর্যপাত, টেস্টরেন হরমোন সমস্যা, শুক্রাশয় ক্ষতিগ্রস্ত, উত্থান জনিত সমস্যা, ভেরিকোসিল সহ আরো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে বিভিন্ন চিকিৎসার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ছেন। তাই এই কু অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে নিজে নিজেই কিছু কৌশল অবলম্বন করুন এবং দরকার হলে হোমিও চিকিৎসার সহযোগিতা নিতে পারেন।
# সর্ব প্রথম ধর্মের প্রতি অনুরাগী হতে হবে। তাহলে অবশ্যই পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে সহজ হবে।
# হস্তমৈথুনের ফলে যে সর্বনাশ গুলো হয়, তা নিজে নিজে উপলব্ধি করতে হবে। ভবিষ্যতে যে অন্ধকার হয়ে আসবে এবং পুরুষত্বের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। এটা মনকে জানান দিতে হবে।
# ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনের একটা নেশা থেকে মুক্ত পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়।
# যখন তখন বিছানায় যাবেন না। কোথাও বসলে অন্যদের সঙ্গ নিয়ে বসুন।
# বাথরুমে শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন।
# যখনি মনে শারীরিক মিলনুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন।
# মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেন। নিজের মা বা বোন মনে করবেন।
# শারীরিক মিলনুয়াল চিন্তার উদয় হলে তুড়ি বাজাতে পারেন, পা দোলাতে পারেন- এতে কুচিন্তা দূর হয়ে যাবে।
# কোনদিন করেন নাই, এমন নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন।
# উপুর হয়ে ঘুমাবেন না। বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না।
# গার্লফ্রেণ্ড বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাম করবেন না ফোনো শারীরিক মিলন এড়িয়ে চলুন।
হস্তমৈথুন রোধে হোমিও চিকিৎসা------
বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও যদি হস্তমৈথুন থেকে বেরিয়ে আসতে না পারেন, সেক্ষেত্রে হোমিও চিকিৎসা আপনাকে অনেক টা সহযোগিতা করবে। একজন হোমিও ডাক্তার আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত শুনবেন এবং কারণ নির্ণয় করে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিলে আপনি অবশ্যই এই কু অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। যেমন আপনার অতিরিক্ত যৌন চাহিদা থাকলে, তার সাময়িক প্রশমিত করে ৱোধ কৱা সম্ভব। আবার মনকে কন্ট্রোল করতে না পারলে, কাউন্সিলিং ও ওষুধ দিয়ে হস্তমৈথুনের মত অভ্যাস থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব। এতে যুব সমাজ ধ্বংসের হাত থেকে মুক্তি পাবে।
























.jpeg)






0 comments:
Thanks a million for visiting and your valuable review.