যাদের বয়স ও শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন অনেক কম, খুবই শুকনা, শীর্ণ দেখায়, কোন পোশাক পরিচ্ছদে মানানসই হয় না, বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়-স্বজন সবসময়ই রোগা বলে টিটকাৱী কৱে, তাদের ক্ষেত্রে মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে। আসলে তাদের একটু মোটা হওয়া উচিত। কারণ স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং বিভিন্ন রোগ বেশি হওয়ার প্রবণতা থাকে। তাছাড়া ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই প্রত্যেকটা মানুষেরই উচিত বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিক ওজন ধৱে রাখা। স্বাভাবিক ওজন থাকলে সেই মানুষটি কাজকর্ম, পড়াশোনা, মন মানসিকতা সহ সবদিক থেকেই ফিট থাকে। এ সমস্ত মানুষের রোগবালাইও খুব কম হয়। ফলে জীবনের গতি একটি ছন্দময়ে চলে। পাতলা মানুষ মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে থাকে। তবে এমন কোন পথ অবলম্বন কৱা উচিত নয়, যে পথে মোটা হওয়ার কারনেই আপনি আপনার শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে রোগ বাসা বাঁধে বা মৃত্য ঝুঁকি বাড়ে। এজন্য ধীরগতি হলেও প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করতে হবে।
# মোটা হওয়ার জন্য করণীয়- মোটা হতে চাইলে সর্বপ্রথম শরীরেৱ ওজন স্বাভাবিক না হওয়ার পিছনে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা খুঁজে বের করতে হবে। যেমন:
* পূর্বে মোটা ছিলেন কিন্তু কোন রোগ হওয়ার পর থেকে তিনি পাতলা।
* মানবদেহের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিকেৱ জন্য হরমোনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই হরমোনের কোন তারতম্য আছে কিনা তা নিরূপণ করতে হবে।
* বংশানুক্রমিক ভাবে তিনি শীর্ণ, পাতলা কি না?
* পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য, পানি পান কৱেন কি না
* নিদ্রার কোন সমস্যা আছে কি না
* বর্তমানে কোন রোগে আক্রান্ত আছে কি না?
যদি এগুলো প্রতিবন্ধকতা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আগে সমাধান করতে হবে।
# প্রাকৃতিক ও হোমিও টনিক এর মাধ্যমে সহজে মোটা হওয়ার উপায়- প্রাকৃতিক ও হোমিও টনিক বা চিকিৎসার মাধ্যমে মোটা হতে হলে হয়তো একটু সময় লাগবে। কিন্তু এটি হবে চিরস্থায়ী এবং সম্পূর্ন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া। এজন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
প্রথমত: আপনাকে সময়মত তিনবেলা সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আমিষ ও শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। কারণ আমিষ আপনার শরীরের পেশী গুলো গঠন করবে এবং শর্করা শরীরের ওজন বৃদ্ধি করবে। সাথে কমপক্ষে 4 থেকে 5 লিটার পানি পান করতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ খেলাধুলা বা শরীর চর্চার মাধ্যমে মনকে প্রফুল্ল করতে হবে। চিন্তা ভাবনা মুক্ত ও সর্বদা হাসিখুশি থাকতে হবে।
তৃতীয়তঃ পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও কমপক্ষে ছয়-আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
চতুর্থতঃ সাথে কিছু প্রাকৃতিক হোমিও টনিক যেমনঃ আলফালফা Q, এভেনা স্যাটাইভা Q, ফাইভ ফস 6x থেকে খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরেৱ শক্তি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়া উত্তম।























.jpeg)






0 comments:
Thanks a million for visiting and your valuable review.