বন্ধ্যাত্ব কি? বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

  • at ৫/১৫/২০২২ ০৪:২৭:০০ AM -
  • 1 comments


-
  

একটি পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সন্তান। যে পৱিবাৱে স্বামী স্ত্রীর মাঝে কোন সন্তান জন্ম গ্রহণ করেনি, ঠিক সেই পরিবারই অনুধাবন করতে পারে একটি সন্তান কত গুরুত্বপূর্ণ।  কোন দাম্পত্যজীবনে যখন সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেও সন্তান হয় না।  তখন আমরা এটাকে  বন্ধ্যাত্ব হিসাবে গণ্য করি।  হ্যাঁ  সন্তান গর্ভধারন না হওয়ার মুখ্য কারণই হচ্ছে
বন্ধ্যাত্ব ।  এই বন্ধ্যাত্ব সমস্যা টা ছেলে অথবা মেয়ে যে কারো হতে পারে।  বন্ধ্যাত্ব হল শরীরের একটি প্রজননগত অসুখ। যার ফলে শরীরের একটা প্রধান কাজ করা সম্ভব হয় না। সন্তানের জন্ম দেওয়া যায় না। গর্ভধারণ হল একটি জটিল পদ্ধতি, যা বহু কারণের উপর নির্ভরশীল: পুরুষের সুস্থ শুক্রাণু ও মহিলার সুস্থ ডিম্বাণু উত্পাদন; অবাধ ডিম্বনালী, যার সাহায্যে শুক্রাণু ডিন্বাণুর কাছে পৌঁছতে পারে; মিলনের সময় শুক্রাণুর ডিম্বাণুকে প্রজননক্ষম করার ক্ষমতা; নিষিক্ত ডিন্বাণুটির (ভ্রূণবীজ) গর্ভাশয়ে স্থাপিত হওয়ার ক্ষমতা ও সেটির ভ্রূণে পরিণত হওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা।

# বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি-

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে  সক্ষম।  বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জের অসংখ্য গরিব  জনগোষ্ঠী প্রাথমিক বন্ধ্যাত্বে  হোমিও চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে  এবং প্রায় শতভাগ সফলতা আসে। প্রাথমিক বন্ধ্যাত্বে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদের ঋতু গোলযোগ  ও সঠিক জ্ঞানের অভাবে হয়ে থাকে। ফলে  ঔষধ ও কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললেই  সমাধান হয়ে যায়।  কিন্তু বন্ধ্যাত্ব সমস্যা টা যদি জটিল হয়। সে ক্ষেত্রে  স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই বেশ কিছু টেস্ট করে নিশ্চিত হওয়া দরকার বন্ধ্যাত্ব সমস্যাটা কাৱ?  মেয়েদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের পিছনে অনেকগুলো কারণ থাকে। যেমন:  জরায়ু দুর্বল, জৱায়ুৱ তাপমাত্রা বেশি,  জরায়ুতে টিউমার, ডিম্বাণু পরিস্ফুটন না হওয়া,  অকার্যকৱী ডিম্বাণু, শরীরে  নিয়ন্ত্রিত হরমোন নিঃসরণ  সমস্যা সহ অনেক সমস্যা দেখা দেয়।  বর্তমান সময়ে দিনদিন পুরুষের বন্ধ্যাত্ব হার ও বাড়ছে। পুরুষের বন্ধ্যাত্বের পিছনে রয়েছে শুক্রাণু সমস্যা। যেমন শুক্রাণু সংখ্যায় কম,  জীবিত শুক্রাণুর সংখ্যা কম,  শুক্রাণুর গতি কম, মানসিক চাপ ও ধূমপান।  তাই বন্ধ্যাত্বের সঠিক কারণ নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী ক্লাসিকাল হোমিও ট্রিটমেন্ট নিলে বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।  ধাতুগত চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে কোন হোমিও মেডিসিন আসতে পারে। তবে বন্ধ্যাত্ব সমস্যা টা যেহুতু সাইকোসিস মায়াজমের অন্তর্ভুক্ত। তাই  সর্ব দৈহিক, মানসিক  লক্ষণ ও পারিবারিক ইতিহাস কে বিবেচনায় রেখে  অ্যান্টিসাইকোটিক কোন  ঔষধ নির্বাচন উত্তম। বন্ধ্যাত্ব রোধে মেডোরিনাম, থুজা পালসেটিলা, গসিপিয়াম, কলোফাইলাম, নেট্রাম কার্ব,  নেট্রাম মিউর, সিপিয়া,  অরাম মেট, ক্যালকেরিয়া কার্ব, লাইসিন সহ  আরো অনেক হোমিও ঔষুধ ব্যবহার হয়।

Author

Written by Admin

.

1 টি মন্তব্য:

Thanks a million for visiting and your valuable review.

All posts

জেনে নিন, হোমিও চিকিৎসা কখন সেৱা ও সর্বোচ্চ কার্যকরী চিকিৎসা?

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ও জীবনযাপন নৱমাল ভাবে চলে।  কিন্তু হঠাৎ করেই যদি শরীরে কোন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তখন স্...