মন ভাল তো সব ভালো। মন ভাল না থাকলে দেখবেন আপনার কোন কিছুই ভালো লাগবে না। আৱ এই মন হুটহাট অল্পতেই খারাপ হয়ে যায়। তাই মনকে সবসময় ভালো রাখতে চাইলে কিছু কৌশল অবলম্বন করা উচিত। আগে জানতে হবে আমার মন কি চায়? কোন ব্যাপার গুলো মনে দোলা দেয়। কারণ ছোট ছোট কারণে যেমন মন খারাপ হয়ে যায়। তেমনি ছোট্ট ছোট্ট কিছু কারণে মন অনেক ভাল হয়ে যায়। তাই আমাদের সবকিছুতেই ভাল লাগা খুঁজে বের করতে হবে। যেমন চা পান কৱলেন। এমনটা না করে দরকার হলে একটু বেশি করে চা নিয়ে আয়েশ করে ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে চা টা পান করুন। দেখবেন, আগের চেয়ে ভালো লাগছে। অবসর সময়ে জনস্বার্থে ছোটখাটো কিছু করার চেষ্টা করুন। দেখবেন মনে অনেক ভালোলাগা আসবে। প্রিয়জনকে নিয়ে ভাবুন। সুন্দর কিছু সময় কাটানোর কল্পনা ভেবে রাখতে পারেন। ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে থাকুন এবং সে অনুযায়ী এগুতে থাকুন। দেখবেন মনে ভালোলাগাৱ বাতাস বইছে। কোন কারণে মন বেশি খারাপ থাকলে আরও কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। যেমন-
# হাসির অনুষ্ঠান দেখুন: প্রিয় ড্রামা বা ট্র্যাজেডি সিরিজগুলো বাদ দিয়ে কমেডি সিরিজ দেখুন। হাসির সিরিয়াল বা সিনেমা মন ভালো করে তুলতে সাহায্য করে। ফানি ভিডিও ক্লিপগুলো অনেক সহায়ক হতে পারে।
# মন ভালো করা গান: ‘স্যাড সং’ বা মৃদু লয়ের গান যতই প্রিয় হোক না কেনো মন খারাপ থাকলে এই ধরনের গানগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। বরং মজার ও মন ভালো করা গানগুলো শোনার চেষ্টা করুন। ভালো গান শোনার ফলে শরীরে ডোপামাইন নামক একটি হরমোন নিঃসৃত হয় যা মন ভালো করে তুলতে সাহায্য করে।
# প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলুন-
ফোনে কথা বলুন অথবা ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে পরিবারের সঙ্গে বা প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে আসুন। তাদের সঙ্গে নিজের সমস্যা এবং মন খারাপের কারণ নিয়ে কথা বলুন। মানসিক চাপের বিষয়গুলো নিয়ে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কথা বললে মন অনেক হালকা মনে হয়। তাছাড়া কথা বলার মাধ্যমে অনেক সময় সমস্যার সমাধানও বেরিয়ে আসে।
# শখের কাজ করুন: ছবি আঁকা, গান গাওয়া বা পছন্দের বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখা, বাগান করা ইত্যাদি যেকোনো পছন্দের কাজ বেছে নিতে পারেন শখ হিসাবে। তাছাড়া নতুন কোনো খাবারও রান্না করতে পারেন নিজের ও পরিবারের জন্য। এ ধরনের কাজগুলো আপনাকে ব্যস্ত রাখবে এবং মানসিক অবসাদও দূর করবে।
# ব্যায়াম করুন: শুধু সুস্বাস্থ্যের জন্য নয়, মন ভালো রাখতেও ব্যায়াম বেশ উপযোগী। মাত্র পাঁচ মিনিট টানা ব্যায়াম করলে এন্ড্রোফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। যা ১২ ঘণ্টা মন ভালো রাখতে সহায়তা করে। এর জন্য জিমে যাওয়া তেমন জরুরিনয়। ঘরেও করা যায় এমন ব্যায়াম করলেও তা মানসিক অবস্থার উন্নতিতে সহায়তা করবে।
মন ভালো থাকলে পুরো দেহ সুস্থ থাকে। রোগবালাই কাছে ঘেঁষতে পারে না। আর সুস্থ মন, সুস্থ দেহ ভবিষ্যতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে একধাপ এগিয়ে দেয়।
দাৱুণ।
উত্তরমুছুন