আমাদের চারপাশে অনেক কেই বিভিন্ন কারণে অজ্ঞান/ মুর্ছা যেতে দেখি। কোন কারণবশত মূর্ছা গেলে হোমিওপ্যাথিতে এর খুবই কার্যকরী কিছু মেডিসিন আছে। যার মাধ্যমে খুব সহজেই আমরা উপকৃত হতে পারি। তবে কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে মাঝে মাঝে মূর্ছা যায় মানে মৃগী রোগী হয়, সে ক্ষেত্রে ধাতুগত চিকিৎসা উত্তম। আজকে যে আলোচনাটা করব তা হলো কারণ ভিত্তিক অজ্ঞান বা মূর্ছা যাওয়া রোগীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই মেডিসিন গুলো যে কেউ খুব সহজে ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারেন।
# শোকে বারবার মূর্ছা যাওয়া-
কারণ ভিত্তিক হোমিও চিকিৎসা ম্যাজিকের মতো ফল দেয়। যেমন কেউ( মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়) যদি শোকের ( ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির মৃত্যু বা দুর্ঘটনা) কারণে বা শোক সইতে না পেরে বারবার মূর্ছা যায়। সে ক্ষেত্রে মূর্ছা যাওয়া রোগীকে ইগ্নেশিয়া 30 ঘন্টা অন্তর 2/3 বাৱ খাওয়াইলে দেখবেন শোক কাটিয়ে উঠে রোগী আৱ মূর্ছা যাবে না।
# আনন্দে মূর্ছা যাওয়া-
মানুষ শুধু শোকে নয়, বড় রকমের আশ্চর্যজনক আনন্দেৱ খবরেও মূর্ছা যায়। অকল্পনীয় কিছু সুখবরে কিছু মানুষ বেহুশ হয়ে যায়, এরকম রোগীর ক্ষেত্রে কফিয়া ক্রুডা 30 ।
# ভয় পেয়ে অজ্ঞান-
যারা একটু ভীতু স্বভাবের মানুষ এবং কিছু লোকের হার্ট দুর্বল থাকে। এরকম মানুষ ভয়ে শুধু অজ্ঞান হন না, অনেকে মারা যান। হঠাৎ ভয় পেয়ে কেউ যদি অজ্ঞান হয়ে যায় এবং দেখেন যে হাত পা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে, দাঁতের সাথে দাঁত লেগে আছে, মুখে ফেনা উঠছে। তাহলে তাকে হাইড্রোসিয়ানিক এসিড 30 বিশ মিনিট অন্তর অন্তর 2/3 ডোজ প্রয়োগ করুন দেখবেন রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছে। আবার কিছু রোগী আছে দেখবেন সামান্য একটু ভয় পেলেই অজ্ঞান হয়ে যায়। এদের ভয় কাটানোর জন্য একোনাইট ন্যাপ 30 খাওয়াবেন। ইনশাল্লা ঠিক হয়ে যাবে।
# আঘাতের কারণে অজ্ঞান-
যেকোনো কারণে শারীরিক আঘাত পেয়ে বা দুর্ঘটনায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হলে আর্নিকা 30 ঘনঘন খাওয়ান। এতে আঘাতের ব্যথা থেকে সে মুক্তি পাবে এবং আঘাতের স্থানটি দ্রুত সেরে উঠবে। তবে আঘাত পেয়ে যদি রক্তক্ষরণ হয়। আৱ রক্তক্ষরণ দেখে রোগী যদি অজ্ঞান হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে রোগীকে চায়না 3x ঘনঘন খাওয়াতে হবে। এতে রোগী শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে এবং সুস্থ হয়ে যাবে।
# তাপে অজ্ঞান হলে-
অনেক মানুষই আছেন যারা বেশি তাপে মানে সূর্যের তাপে বা আগুনের তাপে(Sun stroke/heat stroke) সংজ্ঞা লোপ পায়। এসব ক্ষেত্রে কার্বোভেজ/গ্লোনইন-30 বিশ মিনিট পর পর দুই তিন মাত্রাই যথেষ্ট।
এছাড়াও যে কোনো কারণে যদি কেউ অজ্ঞান হয়ে যায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করার পরও সংজ্ঞা ফিরে না পায়। এমন অবস্থায় এমিল নাইট্রেট এৱ কয়েক ফোটা একটা পরিস্কার কাপড়ে নিয়ে রোগীর নাকের সামনে ধরলে শ্বাস/ ঘ্রাণ নেওয়ার মাধ্যমে রোগী সংজ্ঞা ফিরে পায়।























.jpeg)






0 comments:
Thanks a million for visiting and your valuable review.